ঈমান বিষয়ক বই: Bengali books on faith pdf

ঈমান বিষয়ক বই

ঈমান বিষয়ক বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। আন্তরিক তাওবা – ইমাম ইবনুল ক্যাইয়ুম ও আবু হামীদ গাযালী
২। আমি তাওবা করতে চাই কিন্তু – মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
৩। আরকানুল ইসলাম ওয়াল ঈমান – মুহাম্মদ বিন জামীল যাইনু
৪। আরকানুল ঈমান বা ঈমানের স্তম্বসমূহ – ইবরাহিম আবদুল হালীম আল মাদানী
৫। আল্লাহর উপর তায়াক্কুলঃ গুরুত্ব ও তাৎপর্য – আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
৬। আল্লাহর উপর ভরসা – মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
৭। আজাবের ভয় ও রহমতের আশা – ইমাম গাযযালী রহঃ
৮। আপনার ঈমান কি আল্লাহর কাছে গ্রহণ যোগ্য – মুহাম্মদ বিন সুলাইমান আত্তামীমী
৯। আপনার পরিচয় জানেন কি – মাওলানা মোঃ আবু তাহের
১০। আপনার প্রচেষ্টার লক্ষ্য দুনিয়া না আখিরাত – আবদুস শহীদ নাসিম
১১। আপানার সমীপে আপানার আমানত – মুহাম্মদ কালীম সিদ্দিক
১২। ইমানের ৭৭ টি শাখা – ইমাম বায়হাকী
১৩। ইমানের দাবী মু মিনের পরিচয় – খন্দকার আবুল খায়ের
১৪। ইমানের মৌলিক নীতিমালা সংক্রান্ত মনিমুক্তা – ড. মুহাম্মদ ইয়োসরী
১৫। ইসলাম ঈমান ও শিক্ষা – অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার
১৬। ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ – আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
১৭। ইসলামী বিশ্বাস
১৮। ইসলামী মূল আকীদাহর বিশ্লেষণ – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন
১৯। ঈমান ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস – মুহাম্মদ বিন জামীল যাইনু
২০। ঈমান ও ইসলাম – ইসলামিক ফাউন্ডেশন
২১। ঈমান ও বস্তুবাদের সংঘাত – আবুল হাসান আলী নাদভী
২২। ঈমান থাকলেই বেহেশত পাওয়া যাবে – মোঃ মতিয়ার রহমান
২৩। ঈমান যখন জাগলো – আবুল হাসান আলী নাদভী
২৪। ঈমান সবার আগে – মুহাম্মদ আবদুল মালেক
২৫। ঈমানদীপ্ত কিশোর কাহিনী – আবুল হাসান আলী নাদভী
২৬। ঈমানী মৃত্যু – ফখরুদ্দীন আহমাদ
২৭। ঈমানের ৭৭ টি শাখা – ইমাম বায়হাকী
২৮। ঈমানের অগ্নিপরিক্ষা – দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
২৯। ঈমানের দাবী – আব্বাস আলী খান
৩০। ঈমানের দাবী – আবুল হাসান আলী নাদভী
৩১। ঈমানের দাবী মুমিনের পরিচয় – খন্দকার আবুল খায়ের
৩২। ঈমানের দূর্বলতা – সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
৩৩। ঈমানের মূলনীতি সমূহের ব্যাখ্যা – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
৩৪। ঈমানের মৌলিক নীতিমালা সংক্রান্ত মণিমুক্তা – মুহাম্মাদ ইয়োসরী ইবরাহীম
৩৫। ঈমানের মৌলিক বিষয় সমূহঃ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে – বিশিষ্ট ওলামাবর্গ
৩৬। ঈমানের রুকন সমূহ – ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদীনা মুনাওয়রা
৩৭। ঈমানের স্তম্ভ সূমহ – ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদীনা মুনাওয়রা
৩৮। ঈমানের হাকীকত – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৩৯। উজ্জীবিত ঈমানের ইতিকথা – আকরাম ফারুক
৪০। কিতাবুল ঈমান – মনসূরুল হক
৪১। কুসংস্কারাচ্ছন্ন ঈমান – মাসুদা সুলতানা রুমী
৪২। খাঁটি মুমিন হতে হলে তাগুতের পাক্কা কাফির হতে হবে – অধ্যাপক গোলাম আযম
৪৩। খাঁটি মুমিনের সহীহ জযবা – অধ্যাপক গোলাম আযম
৪৪। তকদীর কি – আশরাফ আলী থানবী
৪৫। তাকদীরঃ আল্লাহরর এক গোপন রহস্য – আব্দুল আলীম ইবন কাওসার
৪৬। তকদীর কি – আশরাফ আলী থানবী
৪৭। তাকদীর তাওয়াক্কুল সবর শোকর – অধ্যাপক গোলাম আযম
৪৮। তাকদীর পূর্ব নির্ধারিত তথ্যটির প্রচলিত ও প্রকৃত ব্যাখ্যা – মোঃ মতিয়ার রহমান
৪৯। তাকদীরের হাকীকত – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৫০। ফিরেশতা জগত – ড. উমার সুলাইমান
৫১। মযবুত ঈমান – অধ্যাপক গোলাম আযম
৫২। মযবুত ঈমান সহীহ ইলম নেক আমল – অধ্যাপক গোলাম আযম
৫৩। মুখতাসারুল ফিকহিল ইসলামী – তুআইজিরী
৫৪। শুআবুল ঈমান – ইমাম বাইহাকী
৫৫। সহীহ হাদীস সম্বলিত অহি ও ঈমান বিশ্বকোষ – জিয়াউর রহমান আব্দুল্লাহ আল আযামী
৫৬। হক পথ হোক মনের রথ – আব্দুল হামীদ আল মাদানী

ঈমান পরিচিতঃ একজন ব্যক্তিকে মুসলিম হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম ঈমানদার হতে হবে। ইসলামের পাঁচটি অন্যতম স্তম্ভের মাঝে ঈমানের স্থান প্রথমে। কোনো ব্যক্তি ঈমানবিহীন যতই আমল করুক না কেন, সেই আমলে কোনো লাভ হবে না। বরং চিরস্থায়ী পরকালের জীবনীতে তাকে ভয়াবহ জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হওয়া লাগবেই। তাই ঈমানকে ইসলামের মূল খুঁটি বললে অত্যুক্তি হবে না।ঈমান শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিশ্বাস, যা ভীতি ও সন্দেহের বিপরীত। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, একটি সন্তান যেমন তার মা-বাবার কাছে নিরাপদ। তদ্রুপ বান্দা ঈমান আনার পরে আল্লাহর জিম্মায় ভরসা করে নিরাপদ থাকে। এর পারিভাষিক অর্থ হলো হৃদয়ে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি ও কাজে বাস্তবায়নের নাম হলো ঈমান। যা আনুগত্যে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং গুনাহ গ্রাসপ্রাপ্ত হয়। ঈমান হলো মূল এবং আমল হলো শাখা।

ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক। ঈমানের ছয়টি স্তম্ভ। (ক) একক ইলাহ হিসেবে আল্লাহকে বিশ্বাস করা। (খ) আল্লাহর ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস করা। (গ) সব আসমানি কিতাবে বিশ্বাস। (ঘ) সব নবী ও রাসুলের প্রতি বিশ্বাস। (ঙ) তাকদির বা ভাগ্যের ভালো-মন্দের প্রতি বিশ্বাস। (চ) আখিরাত বা পরকালের প্রতি বিশ্বাস।

কোনো ব্যক্তি যদি এই ছয়টি বিষয়ের ওপর ঈমান আনয়ন না করে, তাহলে সে কোনো রূপেই মুসলিম হিসেবে গণ্য হবে না। অথবা কেউ যদি বলে আমি পাঁচটির ওপর ঈমান আনয়ন করলাম কিন্তু একটির ওপর নয়, তবুও সে ব্যক্তি ঈমানদার সাব্যস্ত হবে না। ঈমানের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, রাসুল তার প্রতি তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে সে বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং বিশ্বাসিরাও; সবাই আল্লাহতে, তার ফিরিশতাদের, তার কিতাবগুলোতে এবং তার রাসুলদের বিশ্বাস স্থাপন করেছে। (তারা বলেন,) আমরা তার রাসুলদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না। আর তারা বলেন, আমরা শুনলাম ও মান্য করলাম। হে আমাদের প্রতিপালক। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, আর তোমারই দিকে (আমাদের) প্রত্যাবর্তন হবে। এটা একমাত্র প্রকৃত ঈমানদারের লক্ষণ, তারা কোনোরূপ সন্দেহ করবে না। প্রশ্নবিহীন তারা মেনে নিবে আল্লাহ এবং ঈমানের অন্যান্য বিষয়াদি।

শুধু তাই নয়, প্রকৃত ঈমানদাররা কখনো নবী-রাসুলদের মাঝে তারতম্য সৃষ্টি করবে না। এই ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে নবী আপনি বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর ওপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের ওপর, ইব্রাহীম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাদের সন্তানদের ওপর আর যা কিছু পেয়েছেন মুসা ও ইসা এবং অন্য নবী-রাসুলদের তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তারই অনুগত।

পবিত্র কোরআনে ঈমানবিষয়ক আলোচনা করা হয়েছে। তবে ঈমান কী? সেই ব্যাপারে আরো সহজভাবে জানার জন্য রাসুল (সা.) হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী বর্ণনা দিয়েছেন। যেমন, হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন এক ব্যক্তি রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, ঈমান কী? তিনি বললেন, ‘যখন তোমার ভালো কাজ তোমাকে আনন্দিত করবে এবং খারাপ কাজ তোমাকে কষ্ট দেবে তথা অনুতপ্ত করবে তখন তুমি বুঝবে তুমি ঈমানদার ব্যক্তি।’ ওই ব্যক্তি বললেন, অতঃপর গুনাহ কী? রাসুল (সা.) বললেন, ‘যখন তোমার হৃদয়ে কোনো বিষয় সংশয় সৃষ্টি করে, তখন তা তুমি ছেড়ে দাও’- (আলবানি হাদিসটিকে ছিলছিলা সহিহায় উল্লেখ করেছেন ৫৫০)।

অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঈমানদার ব্যক্তি ও ঈমানের দৃষ্টান্ত হচ্ছে খুঁটির সঙ্গে (রশি দিয়ে বাঁধা) ঘোড়া, যা চতুর্দিকে ঘুরতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত খুঁটির দিকেই ফিরে আসে। অনুরূপভাবে ঈমানদার ব্যক্তিরাও ভুল করে থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে ঈমানের দিকেই ফিরে আসে। অতএব তোমরা মুত্তাকি লোকদের তোমাদের খাদ্য খাওয়াও এবং ঈমানদার লোকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো’- (সহিহ ইবনে হিব্বান; বাবুত তাওবাহ, ৬১৮)।

পরিশেষে বলতে হয়, ঈমানদার ব্যক্তি নির্ধিদায় নিশ্চিন্তে একমাত্র আল্লাহ ও অন্যান্য বিষয়াদির ওপর ঈমান রেখে ইসলামের সব কার্যসমূহ মেনে চলবে। আল্লাহ আমাদের ইসলামের সব বিধান মেনে চলে সঠিক ঈমানদার হওয়ার তওফিক দান করুন।

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ

error: Content is protected !!
Scroll to Top