মুহাম্মাদ আবদুর রহীম কর্তৃক রচিত ইসলামী pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।
১। অপরাধ প্রতিরোধে ইসলাম
২। আল কুরআনে নব্যুয়াত ও রিসালাত
৩। আল কুরআনে রাষ্ট্র ও সরকার
৪। আল কুরানের আলোকে উন্নত জীবনের আদর্শ
৫। আল কুরানের আলোকে শিরক ও তওহীদ
৬। আল্লাহর হক বান্দার হক
৭। আসহাবে কাহাফের কিস্সা
৮। ইসলামী রাজনীতির ভূমিকা
৯। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য
১১। ইসলামী শরীয়াতের উৎস
১২। ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
১৩। ইসলামের অর্থনীতি
১৪। ইসলামে জিহাদ
১৫। কালেমা ত্যাইয়েবা
১৬। খেলাফতে রাশেদা
১৭। গণতন্ত্র নয় পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব
১৮। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও শুরায়ী নিজাম
১৯। তাওহীদের ত্বত্ত্বকথা
২০। দাস প্রথা ও ইসলাম
২১। নারী
২২। নারী ও আধুনিক চিন্তাধারা
২৩। পরিবার ও পারিবারিক জীবন
২৪। পাশ্চাত্য সভ্যতার দার্শনিক ভিত্তি
২৫। প্রচলিত রাজনীতি নয় জিহাদই কাম্য
২৬। বিজ্ঞান ও জীবনবিধান
২৭। বিবর্তনবাদ ও সৃষ্টিতত্ত্ব
২৮। মহাসত্যের সন্ধানে
২৯। যাকাত
৩০। রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী দাওয়াত
৩১। শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি
৩২। সুন্নাত ও বিদয়াত
৩৩। হাদীস সংকলনের ইতিহাস
হাদিস শরীফ সংকলনঃ
১। হাদিস শরীফ ১ম খণ্ড
২। হাদিস শরীফ ২য় খণ্ড
৩। হাদিস শরীফ ৩য় খণ্ড
লেখক পরিচিতিঃ বাংলা ১৩২৫ সালের ৬ মাঘ, ইংরেজি ১৯১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার কাউখালি থানার অন্তর্গত শিয়ালকাঠি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় পৈতৃক বাড়িতে স্থাপিত মক্তব ও ইবতেদায়ী মাদরাসায়। পরে শর্ষীণা আলিয়া মাদরাসা থেকে আলিম এরপর কলকাতা আলিয়া মাদরাসা থেকে ১৯৪০ সালে ফাযিল এবং ১৯৪২ সালে কামিল (প্রথম শ্রেণী) ডিগ্রি লাভ করে মুমতাজুল মুহদ্দিসীন উপাধিতে ভূষিত হন।
কৈশোরেই মওলানা আবদুর রহীম এর মধ্যে সাহিত্য প্রতিভার উন্মেষ ঘটে। তাঁর সাহিত্যিক বড় ভাইয়ের উৎসাহ ও প্রেরণায় তিনি বাংলাভাষা ও সাহিত্যচর্চার প্রতি প্রবলভাবে অনুরক্ত হন। এপর্যায়ে ছোটখাট কিছু পত্র-পত্রিকায় তিনি লেখালেখির কাজও শুরু করেন। সাড়ে ১২ বছর বয়সে তাঁর প্রথম রচনা প্রকাশিত হয়, পটুয়াখালীর একটি স্কুল ম্যাগাজিনে। এরপর কলকাতা আলিয়া মাদরাসায় ফাযিল শ্রেণীতে অধ্যায়নকালে আবুল মনসুর আহমদ সস্পাদিত দৈনিক কৃষক, মওলানা আকরম খাঁ সম্পাদিত দৈনিক আজাদ, সুন্নাতুল জামাত ইত্যাকার পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লেখালেখি করতেন।
১৯৫০ সালে তাঁর প্রথম বই ‘কালেমা তাইয়্যেবা’ প্রকাশিত হয়। এদেশের ইসলামী চিন্তার ক্ষেত্রে এ বইটির প্রকাশনা ছিল একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কেননা কালেমা তাইয়্যেবা ইসলামের মূলমন্ত্র হলেও এ দেশের সাধারণ জনগণ এ কালেমার সঠিক তাৎপর্য জানতেন না। তারা শুধু একটা মন্ত্রের মতোই এর উচ্চারণ করতেন। এ কারণে কালেমা-বিশ্বাসীদের জীবন ও চরিত্রে তাওহীদী চেতনার কোনো প্রতিফলন ঘটত না।
বাংলা ভাষায় তিনি শুধু ইসলামী সাহিত্যের কলেবরই বৃদ্ধি করেননি, এ ভাষাকে ইসলামী বৈশিষ্ট্যে ম-িত করতেও তিনি অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। চল্লিশের দশক অবধি বাংলা ভাষায় ইসলামী ভাবধারা প্রকাশের উপযোগী কোনো পরিভাষা ছিল না। এর প্রায় সমগ্র পরিভাষাই ছিল শিরক ও পৌত্তলিকতাদুষ্ট। মওলানা আবদুর রহীম নতুন নতুন ইসলামী পরিভাষা উদ্ভাবন করে বাংলা ভাষাকে শিরক ও পৌত্তলিকতার জঞ্জাল থেকে বহুলাংশে মুক্ত করেন এবং ইসলামী সাহিত্যচর্চার পথ সুগম করে তোলেন। তিনিই প্রথম বাংলায় ‘ইসলামী জীবনব্যবস্থা’, ‘ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা’, ‘ইসলামী শাসনতন্ত্র’, ‘ইসলামী অর্থব্যবস্থা’ ইত্যাকার পরিভাষা চালু করেন।
মওলানা আবদুর রহীম এর মৌলিক গ্রন্থের সংখ্যা ৭০ এবং অনূদিত গ্রন্থের সংখ্যাও প্রায় ৭০। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ তাঁর মেধা ও প্রতিভার মূল্যায়ন করে ১৯৭৭ ও ১৯৮৩ সালে তাঁকে মৌলিক গবেষণা ও অনুবাদ কর্মের জন্যে দুটি পুরস্কার দিয়েছে।
মওলানা আবদুর রহীম এর রাবিতা আল-আলম আল-ইসলামীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের সফল প্রতিনিধিত্ব থেকেই তাঁর এই খ্যাতির পরিধি আমরা কিছুটা আঁচ করতে পেরেছি। আশির দশকের প্রথমার্ধে তাঁর এই খ্যাতির পরিধি আরো বৃহত্তর অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময়ে তিনি বাংলাদেশসহ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) অঙ্গ সংগঠন ‘ফিকাহ একাডেমি’র একমাত্র সদস্য নির্বাচিত হন। এ পদটি ছিল অত্যন্ত সম্মানজনক ও দায়িত্বপূর্ণ। ইসলামী শরীয়ার দৃষ্টিতে আধুনিক মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন জটিল সমস্যার যথার্থ বিশ্লেষণ ও তার নির্ভুল সমাধান উদ্ভাবনই ছিল একাডেমির মুখ্য দায়িত্ব। মওলানা আবদুর রহীম এ দায়িত্ব অত্যন্ত সাফল্যের সাথেই পালন করেন এবং এব্যাপারে অনেক সাহসিকতার পরিচয় দেন। পাশ্চাত্য চিন্তাধারার সাথে কোনোরূপ আপস না করে একাডেমির বৈঠকে বিভিন্ন স্পর্শকাতর প্রশ্নে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিকে তিনি অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরেন।
১৯৪৬ সালে তিনি এ ভূখণ্ডে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দােলন শুরু করেন এবং সুদীর্ঘ চার দশক ধরে নিরলসভাবে এর নেতৃত্ব দেন । তিনি ছিলেন একটি জীবন্ত প্রতিষ্ঠান। তিনি জীবদ্দশায় যে বিশাল ইসলামী সাহিত্য রচনা করে গেছেন তার ফিরিস্তি নিচে প্রদান করা হলো।
প্রকাশিত মৌলিক গ্রন্থঃ
- কালেমায়ে তাইয়্যেবা
- ইসলামী রাজনীতির ভুমিকা
- ইমাম ইবনে তাইমিয়া
- কমিউনিজম ও ইসলাম
- ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
- ইসলামের অর্থনীতি
- সমাজতন্ত্র ও ইসলাম
- সূরা ফাতিহার তাফসীর
- পাক-চীন বন্ধুত্বের স্বরূপ
- তওহীদের তত্বকথা
- সুন্নাত ও বিদআত
- হাদীস শরীফ ১ম খন্ড ও ২য় খন্ড
- হাদীস সংকলনের ইতিহাস
- ইকবালের রাজনৈতিক চিন্তাধারা
- পাশ্চাত্য সভ্যতা ও ইসলামী সমাজ
- অর্থনৈতিক সুবিচার ও হযরত মুহাম্মদ (সঃ)
- হযরত মুহম্মদের অর্থনৈতিক আদর্শ
- খিলাফতে রাশেদা
- হাদীস শরীফ ২য় খন্ড ও ৩য় খন্ড
- মহাসত্যের সন্ধানে
- সূদ মুক্ত অর্থনীতি
- নারী
- ইসলামী অর্থনীতির বাস্তবায়ন
- ইসলামের দৃষ্টিতে বিজ্ঞান
- খোদাকে অশ্বীকার করা হচ্ছে কেন?
- আজকের চিন্তাধারা
- আল-কোরআনের আলোকে উন্নত জীবনের আদর্শ
- অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে ইসলাম
- চরিত্র গঠনে ইসলাম
- বিবর্তনবাদ ও সুষ্টিতত্ব
- উমর ইবনে আব্দুল আজিজ
- জিহাদের তাৎপর্য দেহলভীর সমাজ দর্শন
- বিশ্ব সমস্যা ও ইসলাম
- অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে ইসলাম
- আল- কুরআনের আলোকে শিরক ও তাওহীদ
- আল-কুরআনের আলোকে রাষ্ট্র ও সরকার
- আসলাম ও মানবাধিকার
- রাসুলুল্লাহর বিপ্লবী দাওয়াত
- শিক্ষা ও সংস্কৃতি
উর্দু থেকে অনুবাদঃ
- ইসলামের জীবন পদ্ধতি
- ইসলামের হাকীকত
- নামাজ রোজার হাকীকত
- জাকাতের হাকীকত
- হজ্জের হাকীকত
- জিহাদের হাকীকত
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
- আমাদের অভ্যান্তরীন ও বৈদেশিক সমস্যা
- মুসলমানদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত কর্মসূচী
- আল্লাহর পথে জিহাদ
- অর্থনৈতিক সমস্যার ইসলামী সমাধান
- ইসরামী শাষনতন্ত্রের মূলনীতি
- ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রনয়ণ
- একমাত্র ধর্ম
- ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ
- ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
- কাদীয়ানী সমস্যা
- ইসলাম ও আধুনিক অর্থনৈতিক মতবাদ
- তাফহীমুল কুরআন ১৯ খন্ডে
- সমাজ গঠনে ছাত্রদের ভূমিকা
- ইসলাম ও জাহেলিয়াত
- ইসলাম ও জাতীয়াতাবাদ
- হযরত মুহাম্মদ-এর রাষ্ট্র ব্যবস্থা
- ইসলামী রাষ্ট্র সম্ভবপর?
- ঈমানের হাকীকত
আরবী থেকে অনুবাদঃ
- ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা
- জাতির উত্থান পতন ও পুনরুত্থা
- কিতাব-আত্তাওহীদ
- ইসলামের জাকাত বিধান ১ম ও ২য় খন্ড
- ইসলামে হালাল ও হারামের বিধান
- বিংশ শতাব্দির জাহেলিয়াত
- আহ্কামুল কুরআন
- দ্বীন ইসলামের বৈশিষ্ট্য
অপ্রকাশিত গ্রন্থাবলীঃ
- জাতি ও জাতীয়তাবাদ
- অপরাধ দমনে ইসলাম
- ইসলামী শরীয়াতের উৎস
- হাদীছ শরীফ ৫ম খন্ড
- দাস প্রথা ও ইসলাম
- সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবন
- শ্রম ও শান্তি
- উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষার বিকাশ ও বিস্তার
- জাকাত ও উসর
- ইতিহাস বিজ্ঞান
- সৃষ্টিতত্ত্ব
- ইসলামী নীতি দর্শন
- কুরআন কিভাবে পড়তে হবে
- আল-কুরআনে নবুয়্যত ও রিসালাত
- ভাই-বোন প্রিয়া (উপন্যাস)
- চির অনির্বান (হারিয়ে গেছে)
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাঃ মাওলানা আবদুর রহীম নিঃসন্দেহে বিংশ শতাব্দীর একজন সেরা আলিম ছিলেন। তিনি আমাদেরকে রেখে চলে গেছেন। কিন্ত তিনি মরে গিয়েও আমাদের মাঝে তিনি তাঁ জ্ঞানের জগতে সমুজ্জল হয়ে রয়েছেন। জীবিত আবদুর রহীম এর চেয়ে মৃত আবদুর রহীম যেন ফুলে-ফলে সুশোভিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তার জীবন জ্ঞান গবেষণা এবং তার রাজনীতি জবিন নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে ৮টি এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রী সম্পন্ন হয়েছে। তাকে নিয়ে আরো সাতটি পিএইচডি ডিগ্রী হতে পারে বলে প্রাজ্ঞজন মনে করেন। মহাসত্যের সন্ধানে, বিবর্তনবাদ ও সৃষ্টিতত্ত্ব কমিউনিজম ও ইসলাম, ইসলামের দৃষ্টিতে বিজ্ঞান, পাশ্চাত্য সভ্যতা ও ইসলামী সমাজ, পাশ্চাত্য সভ্যতার দার্শনিক ভিত্তি আল-কুরআনে রাষ্ট্র ও সরকার এ গ্রন্থগুলোর এককটির উপর একটি করে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রীহতে পারে। তার অনেক গ্রন্থই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যভুক্ত। এছাড়াও মাওলানার লেখা প্রবন্ধরাজী, চিঠি-পত্র এবং ক্যাসেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (রহ) ১৯৭৭ সালে মক্কায় অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব ইসলামী শিক্ষা সম্মেলন ও রাবেতা আলমে ইসলামীর সম্মেলন, ১৯৭৮ সালে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম দক্ষিণ-পূর্ণ। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ইসলামী দাওয়াত সম্মেলন, একই বছর করাচীতে অনুষ্ঠিত প্রথম এশী। ইসলামী মহাসম্মেলন, ১৯৮০ সালে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত আন্তঃপার্লামেন্টারী সম্মেলন এবং ১৯৮২ সালে তেহরানে অনুষ্ঠিত ইসলামী বিপ্লবের তৃতীয় বার্ষিক উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এই যুগস্রষ্টা মনীষী ১৩৯৪ সনের ১৪ আশ্বিন (১৯৮৭ সালের ১ অক্টোবর) দুনিয়া ছেড়ে মহান আল্লাহর সন্নিধ্যে চলে গেছেন। (ইন্না-লিল্লা-হি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন)
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ