📜 তাফসীরে মাযহারী — আল্লামা কাজী মুহাম্মদ ছানাউল্লাহ পানিপথী রচিত ক্লাসিক ফিকহী ও আধ্যাত্মিক তাফসীর
রচয়িতা: আল্লামা কাজী মুহাম্মদ ছানাউল্লাহ পানিপথী (রহঃ)

“তাফসীরে মাযহারী” (আরবি: تفسير المظهري) — পবিত্র কুরআনের এক বিশিষ্ট ও ক্লাসিক তাফসীরগ্রন্থ, যা ১৩শ হিজরিতে প্রখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত আল্লামা কাজী মুহাম্মদ ছানাউল্লাহ পানিপথী (রহঃ) রচনা করেন। তিনি ছিলেন হানাফী মাযহাবের একজন দৃঢ় অনুসারী, সুফি চিন্তাবিদ, ফকীহ ও মুজতাহিদ। তাঁর এই তাফসীর ইসলামী জ্ঞানের এক মূল্যবান সম্পদ, যেখানে কুরআনের আয়াতসমূহের সহজ, স্পষ্ট ও প্রাঞ্জল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হয়েছে। লেখক তাঁর প্রিয় আধ্যাত্মিক গুরুর নাম অনুসারে গ্রন্থটির নাম রাখেন “আল-তাফসীর আল-মাযহারী”— মির্জা মাজহার জানে জানান দেহলভী (রহঃ)-এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন হিসেবে। এটি একটি মূল্যবান সম্পদ, যা আজও বিশ্বের বহু ভাষায় অনূদিত হয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
রচনার ইতিহাস ও উদ্দেশ্য
আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথী (রহঃ) ভারতবর্ষের পানিপথ অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর সময়ে তিনি ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ হাদীস, তাফসীর ও ফিকহ বিশারদ। “তাফসীরে মাযহারী” রচনার উদ্দেশ্য ছিল — মুসলমানদের মধ্যে কুরআনের প্রতি গভীর উপলব্ধি তৈরি করা এবং জটিল ব্যাখ্যাগুলোকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা। তিনি তাফসীরটি রচনার সময় প্রধানত ইমাম রাযী, ইমাম বায়যাবী ও অন্যান্য শাস্ত্রবিদদের গ্রন্থ থেকে দিকনির্দেশনা গ্রহণ করেন, তবে কোথাও কোথাও তাঁর নিজস্ব ব্যাখ্যাও সংযোজন করেন যা চিন্তা ও যুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। গ্রন্থটির মূল অংশগুলি দীর্ঘ সময় ধরে পানিপথের “খানকায়ে মোজাদ্দেদিয়া” থেকে পাঠ ও সংরক্ষিত ছিল।
রচনার উদ্দেশ্য: “জটিল ব্যাখ্যাগুলোকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করে কুরআনের প্রতি গভীর উপলব্ধি তৈরি করা।”
গ্রন্থের বিষয়বস্তু ও বিন্যাস
তাফসীরে মাযহারী মোট **১২ খণ্ডে** বিভক্ত, যাতে কুরআনের সকল সূরা ও আয়াতের ব্যাখ্যা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রতিটি খণ্ড ও ব্যাখ্যার কেন্দ্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া হয়েছে:
- কুরআনের প্রতিটি আয়াতের সহজার্থ ও তাফসীর।
- হাদীস ও সাহাবাদের ব্যাখ্যা সংযোজন।
- ফিকহী ও আকীদাগত ব্যাখ্যা — বিশেষত হানাফি দৃষ্টিকোণ থেকে।
- আধ্যাত্মিকতা ও সুফিবাদের আলোকে তাফসীরের বিশেষ দিক।
তাফসীরের অনন্য বৈশিষ্ট্য
লেখক বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন যে, এই তাফসীরটির ভাষা সহজ ও ব্যাখ্যা পরিমিত—যা শিক্ষার্থী ও সাধারণ পাঠক উভয়ের জন্য উপযোগী। তাফসীরের প্রতিটি অংশে ভাষাগত শুদ্ধতা ও যুক্তির ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে। এটি হাদীস, ইজমা ও কিয়াসের আলোকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে—যা হানাফি মাজহাবের আদর্শ অনুসারে।
তাফসীরের পদ্ধতি: “হাদীস, ইজমা ও কিয়াসের আলোকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে—যা হানাফি মাজহাবের আদর্শ অনুসারে।”
কেন পড়বেন এই গ্রন্থটি?
এই তাফসীর কুরআনের গভীরতা বুঝতে আগ্রহী যে কোনো পাঠকের জন্য এক অসাধারণ সহায়ক। এটি অপরিহার্য:
- যারা সহজভাবে কুরআনের মর্ম ও ফিকহী দৃষ্টিকোণ (বিশেষত হানাফী) জানতে চান।
- যারা আধ্যাত্মিকতা, নৈতিকতা ও বাস্তব জীবনের প্রয়োগযোগ্য দিকগুলো অনুধাবন করতে আগ্রহী।
- শিক্ষক ও আলেমগণ তাদের পাঠদানে উদাহরণ দিতে পারেন।
লেখক মনে করেন — এটি এমন একটি তাফসীর, যেখানে কুরআনের আয়াতগুলো কেবল তাত্ত্বিক নয়, বরং আত্মার পরিশুদ্ধি ও মানবতার কল্যাণে প্রয়োগযোগ্য করে তোলা হয়েছে।
পাঠকগোষ্ঠী ও উপযোগিতা
“তাফসীরে মাযহারী” ইসলামি জ্ঞানার্জনে আগ্রহী সকল গবেষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ পাঠকের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এটি সংক্ষিপ্ত হলেও তত্ত্বগতভাবে সমৃদ্ধ ও গবেষণাযোগ্য। এটি ইসলামি শিক্ষার প্রচার-প্রসারে এক মূল্যবান সম্পদ এবং পারিবারিক লাইব্রেরির জন্যও এক অপরিহার্য সংযোজন।
উপযোগিতা: “এটি একটি ক্লাসিক তাফসীর যা কুরআনের অভ্যন্তরীণ ধারাবাহিকতা অনুভব করতে সাহায্য করে।”
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
নিচে হাকিমাবাদ খানকায়ে মোজাদ্দেদিয়া হইতে প্রকাশিত **আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথী (রহঃ)** কর্তৃক রচিত “তাফসীরে মাযহারী” গ্রন্থের প্রথম দুটি খণ্ডের ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলো।
“তাফসীরে মাযহারী” pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে খণ্ডগুলোর নামের উপর ক্লিক করুন।
📕 ১ম খণ্ড
📗 ২য় খণ্ড
📘 ৩য় খণ্ড
📒 ৫ম খণ্ড
📗 ৭ম খণ্ড
📙 ৮ম খণ্ড
📘 ৯ম খণ্ড
📕 ১০ম খণ্ড




