তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন: Tafsir Mareful Quran Bangla

Tafsir Mareful Quran Bangla

গ্রন্থ পরিচিতঃ মাআরিফুল কুরআনের পটভূমি এবং সূচনা সম্পর্কে মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি এর ইংরেজি অনুবাদের ভূূূূূমিকাতে লিখেছেন: ১৯৫৪ সালে পবিত্র কোরআনের নির্বাচিত আয়াত ব্যাখ্যা করার জন্য মুফতি শফি উসমানিকে রেডিও পাকিস্তানে সাপ্তাহিক বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই আমন্ত্রণটি লেখক এই শর্তে গ্রহণ করেছিলেন যে তিনি এর বিনিময়ে কোন পারিশ্রমিক গ্রহণ করবেন না এবং কোন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই তাঁর এই বক্তৃতা প্রচারিত হবে। এই সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল মাআরিফুল কুরআন (পবিত্র কোরআনের জ্ঞান) এবং এটি প্রতি শুক্রবার সকালে রেডিও পাকিস্তানের নেটওয়ার্কে প্রচারিত হত। এই ধারাবাহিক বক্তৃতাটি ১৯৬৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত দীর্ঘ দশ বছর অব্যাহত ছিল।

এরপর নতুন কর্তৃপক্ষ তাদের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এই প্রোগ্রামটি বন্ধ করে দিয়েছিল। এই ধারাবাহিক বক্তৃতাগুলিতে পবিত্র কোরআনের শুরু থেকে সূরা ইব্রাহিম (সূরা নং ১৪) অবধি নির্বাচিত আয়াতগুলির উপর বিশদ আলোচনা হয়েছে। রেডিও পাকিস্তানের এই সাপ্তাহিক কর্মসূচিটি বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা উষ্ণভাবে স্বাগত জানিয়েছিল এবং হাজার হাজার মুসলমান কেবল পাকিস্তান, ভারতে নয়, পশ্চিমা ও আফ্রিকান দেশগুলিতেও শ্রবণ করত। অনুষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার পরে বিশ্বজুড়ে অনুরোধের বন্যা হয়েছিল যে এই সিরিজটি বইয়ের আকারে স্থানান্তরিত করতে এবং পবিত্র কোরআনের বাকী অংশটি নিয়মিত ভাষ্য আকারে সম্পূর্ণ করতে।

এই অনুরোধগুলি সম্মানিত লেখককে এই বক্তৃতাগুলিকে সংশোধন করতে এবং মূল বক্তৃতাগুলিতে অন্তর্ভুক্ত নয় এমন পদগুলিকে যুক্ত করার জন্য প্ররোচিত করেছিল। তিনি এই প্রকল্পটি ১৯৬৪ সালে শুরু করেছিলেন এবং সূরা ফাতিহার ভাষ্যকে এর সংশোধিত আকারে সমাপ্ত করে সূরা বাকারার সংশোধন শুরু করেন। যাইহোক, তার অসংখ্য ব্যস্ততার কারণে তাকে এই কাজটি বন্ধ করতে হয়েছিল এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে এটি অপরিবর্তিত ছিল। ১৯৬৯ সালে সম্মানিত লেখক বেশ কয়েকটি রোগে ভুগছিলেন যা তাকে তাঁর বিছানায় সীমাবদ্ধ রেখেছিল। এই অসুস্থতার মধ্যে তিনি বিছানায় থাকার সময় এই কাজটি পুনরায় শুরু করেছিলেন এবং একই অবস্থায় সূরা বাকারা পূর্ণ করেছেন। সেই থেকে তিনি নিজেকে “মাআরিফুল-কুরআন” এর প্রতি নিবেদিত করেছিলেন। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি কাজ চালিয়ে যান এবং কেবল পাঁচ বছরের মধ্যে আটটি খণ্ডে (প্রায় সাত হাজার পৃষ্ঠার সমন্বয়ে) কাজটি সমাপ্ত করেন।

গঠনঃ গ্রন্থটি ৮ খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডের শুরুতে একটি বিশদ ভূমিকা, কুরআনের কিছু প্রাথমিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ ওহি, শানে নুযুল, কুরআন নাজিলের কালানুক্রমিক, প্রথম অবতীর্ণ আয়াত , মক্কা ও মদিনার আয়াত, কুরআন সংরক্ষণ, কুরআনের মুদ্রণ, তাফসিরের উৎস, আরবি ভাষা ইত্যাদি। রচনাশৈলীতে সরল বর্ণনামূলক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথমত, বেশ কয়েকটি আয়াত মূল আরবি থেকে উর্দুতে আক্ষরিক অনুবাদ করা হয়েছে; এরপরে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিষয়-ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে। এই রচনাশৈলী শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করা হয়েছে। নীচে খণ্ড এবং সুরার তালিকা দেওয়া হলঃ

  • প্রথম খন্ড — সূরা আল-ফাতিহা এবং সূরা আল বাকারা
  • দ্বিতীয় খন্ড — সূরা আল-ইমরান থেকে সূরা আন-নিসা পর্যন্ত
  • তৃতীয় খণ্ড — সূরা আল-মায়েদা থেকে সূরা আল-আরাফ পর্যন্ত
  • চতুর্থ খন্ড — সূরা আল-আনফাল থেকে সূরা হুদ পর্যন্ত
  • পঞ্চম খণ্ড — সূরা ইউসুফ থেকে সূরা আল-কাহফ পর্যন্ত
  • ষষ্ঠ খণ্ড — সূরা মারইয়াম থেকে সূরা আর-রুম পর্যন্ত
  • সপ্তম খন্ড — সূরা লোকমান থেকে সূরা আল-আহকাফ পর্যন্ত
  • অষ্টম খণ্ড — সূরা মুহাম্মদ থেকে সুরা নাস পর্যন্ত ।

উৎসঃ এই সূত্রধর্মী রচনাটি সংকলন করতে লেখক যে সূত্রগুলোর সহায়তা নিয়েছেন তা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি হ’ল:

  • তাফসীর আল-তাবারী, আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারির তাবারী রচিত
  • তাফসীরে ইবনে কাসির, ইবনে কাসির রচিত
  • তাফসীর আল-কুরতুবী, আল-কুরতুবী রচিত
  • তাফসীর আল-বাহর আল মুহিত, আবু হায়ান আল- রচিত
  • আহকামুল কুরআন, আবু বকর জাসসাস রচিত
  • তাফসীরে কাবির, ইমাম ফখরুদ্দিন রাযি রচিত
  • দুররে মানসুর, জালালুদ্দীন সুয়ুতী রচিত
  • তাফসীরে মাযহারী, কাজী সানাউল্লাহ পানিপতী রচিত
  • রুহুল মাআনি, মাহমুদ আলুসি রচিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন হইতে প্রকাশিত মুফতি মুহাম্মদ শফী কর্তৃক অনুবাদিত তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।

১। মাআরেফুল কোরআন ১ম খণ্ড
২। মাআরেফুল কোরআন ২য় খণ্ড
৩। মাআরেফুল কোরআন ৩য় খণ্ড
৪। মাআরেফুল কোরআন ৪র্থ খণ্ড
৫। মাআরেফুল কোরআন ৫ম খণ্ড
৬। মাআরেফুল কোরআন ৬ষ্ঠ খণ্ড
৭। মাআরেফুল কোরআন ৭ম খণ্ড
৮। মাআরেফুল কোরআন ৮ম খণ্ড

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ

error: Content is protected !!
Scroll to Top