তাজকিয়া আত্মশুদ্ধি বিষয়ক বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। আত্ম সংশোধন ও সমাজ সংশোধনের কর্মপন্থা – মুসাভী লারী
২। আত্মশুদ্ধি – খালেদ ইবন আব্দুল্লাহ আল মুসলেহ
৩। আত্মশুদ্ধি – মুহাম্মাদ শফী উসমানী
৪। আত্মশুদ্ধির পথ – শহীদ হাসানুল বান্না
৫। আত্মার আলোকমণি – ইমাম গাযযালী রহঃ
৬। আত্মার ব্যাধি ও প্রতিকার – শাহ্ হাকীম মুহাম্মাদ আখতার
৭। আলআকীদাহ আততাহাবীয়া – আবু যাফর আহমাদ
৮। আল্লাহর দুয়ারে ধরণা – অধ্যাপক গোলাম আযম
৯। আল্লাহর নৈকট্য লাভের অনন্য উপায় তাওবা – জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
১০। আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় – মতিউর রহমান নিজামী
১১। আল্লাহর প্রিয় বান্দা হবেন কিভাবে – আবু আহমাদ সাইফুদ্দীন বেলাল
১২। আল্লাহর ভয়ে কাঁদা – হুসাইন আল আওয়াইশাহ
১৩। আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের ১০ উপায় – ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম
১৪। আল্লাহরর উপর তাওয়াক্কুলঃ গুরুত্ব ও তাৎপর্য – আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
১৫। ইসলামী আচরণ – অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
১৬। ইসলামী আদর্শ ও শিষ্টাচার
১৭। ইসলামী নৈতিকতা
১৮। ইসলামের চারিত্রিক বিধান – ক্বারী মাওলানা তাইয়্যেব
১৯। ইসলামের নৈতিক দৃষ্টিক্ষণ – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
২০। একজন মানুষঃ যিনি দুনিয়া ও আখিরাতে অত্যাবশ্যক – অধ্যাপক গোলাম আযম
২১। একমাত্র ধর্ম – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
২২। একমাত্র বার্তা – ড. নাজী ইবন ইবরাহিম আল আরফাজ
২৩। এহইয়াউ উলুমিদ্দীন – ইমাম গাযযালী রহঃ
২৪। কম হাসো বেশী কাঁদো – অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
২৫। কাশফুশ শুবহাত (সংশয় নিরসন) – মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব
২৬। কুদৃষ্টি – জুলফিকার আহমদ দা. বা.
২৭। কুরআনে নৈতিক মুল্যবোধ – হারুন ইয়াহিয়া
২৮। ক্রোধ হিংসা অনিষ্ট ও প্রতিকার – ইমাম গাযযালী রহঃ
২৯। ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্মৃতিচারণ – ড. মুহম্মাদ আব্দুর রহমান আল আরিফী
৩০। গাফেলদের জন্য সতর্ক বার্তা – আবুল লায়ছ সমরকন্দী
৩১। গীবত – ইমাম গাযযালী রহঃ
৩২। গীবত একটি ঘৃণ্য অপরাধ – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৩৩। গীবত চোগলখোরি, যবান ও ঈমান বিনষ্টকারী কুসংস্কার থেকে সাবধান – মুহাম্মদ আইয়ুব বিন ইদু মিয়া
৩৪। গীবত বা পিছনে নিন্দা – আব্দুল হাই লাখনৌৌবী
৩৫। গুনাহর অপকারীতা – মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয
৩৬। গুনাহর চিকিৎসা – মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয
৩৭। গোনাহ ও তাওবা অভিশাপ ও রহমত – মুহম্মদ তাকি উসমানী
৩৮। ঘুরে দাঁড়াও – ওয়ায়েল ইব্রাহিমাা
৩৯। চরিত্র গঠনে নামাযের অবদান – দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
৪০। চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান – নঈম সিদ্দিকী
৪১। চরিত্র মাধুর্য – বদরে আলম
৪২। জবানের ক্ষতি – ইমাম গাযযালী রহঃ
৪৩। জিভের আপদ – আব্দুল হামীদ আল ফাইযী
৪৪। জিহ্বা যখন জাহান্নমে নিয়ে যাবেঃ Misconception About Islam
৪৫। তওবা – মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন
৪৬। তওবা জান্নাতের সোপান – খালিদ আল ফুরাইজ
৪৭। তরবিয়ত ও চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধন – শামছুল হক ছিদ্দিক ও নোমান আবুল বাশার
৪৮। তাওবা ও পাপ মোচনকারী কিছু আমল – মোঃ আবদুল কাদের
৪৯। তাওবাঃ কেন ও কিভাবে – আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
৫০। তওবা কেন করব কিভাবে করব – মুহাম্মদ আব্দুর রহমান খন্দকার
৫১। তাকওয়া – ড. মুহাম্মদ কাবীরুল ইসলাম
৫২। তাকওয়া অর্জনই হোক মুমিনীনের লক্ষ্য – মাসুদা সুলতানা রুমী
৫৩। তাকওয়ার উপকারিতা – মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন
৫৪। তাম্বীহুল গাফেলীনঃ গাফেলদের জন্য সতর্কবার্তা – আবুল লায়েছ সমরকন্দী
৫৫। তাযকিয়াতুন নাফস – ড. আহমদ আলী<
৫৬। তাসাওউফ ও তথ্য বিশ্লেষণ – মুহাম্মদ আবদুল মালেক
৫৭। তালবীসুল ইবলিসঃ শয়তানের ধোঁকা – আবদুর রহমান ইবনে মুহাম্মদ জাওযী
৫৮। দাউস কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না – মাসুদা সুলতানা রুমী
৫৯। দৈনন্দিন জীবনে ইসলামঃ পবিত্রতা অধ্যায় – শরীফুল ইসলাম বিন যয়নুল আবেদীন
৬০। ধন সম্পদ ও পদমর্যাদা এর প্রতি লোভের মন্দ পরিণতি – আল হাফিজ ইবনে রজব আল হাম্বলী
৬১। ধনসম্পদের লোভ ও কৃপণতা – ইমাম গাযযালী রহঃ
৬২। ধৈর্য হারাবেন না – মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
৬৩। ধৈর্য্য সবর কখন ও কিভাবে – আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
৬৪। নফসের গোলামী ও মুক্তির উপায় – আবু আহমাদ সাইফুদ্দীন বেলাল
৬৫। নবী সাঃ যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন – মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ
৬৬। নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড – মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয
৬৭। নৈতিক চরিত্র গঠনে কুরআনের শিক্ষা – আহমদ শামসুল ইসলাম
৬৮। নৈতিক ভিত্তি ও প্রস্তাবনা – মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব
৬৯। নৈতিক স্বচ্ছতায় আমানতদারির অবদান – মোঃ সিরাজুল ইসলাম তালুকদার
৭০। পাপঃ আকার প্রকৃতি প্রভাব ও প্রতিকার – গবেষণা পরিষদ আল মুনতাদা আল ইসলামী কেন্দ্রীয় কার্যালয়
৭১। প্রবৃত্তি পুজাই সকল ব্যাধির কারণ – ড. আব্দুল আজিজ আব্দুল লতিফ
৭২। প্রবৃত্তির অনুসরণ – মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
৭৩। প্রশান্তচিত্ত মুমিনের ভাবনা – অধ্যাপক গোলাম আযম
৭৪। প্রশান্তির খোঁজে – নোমান আলী খান
৭৫। প্রশান্তির বাণী – নোমান আলী খান
৭৬। ফাজায়েলে আখলাক – ইরশাদ কাসেমী ভাগলপুরী
৭৭। ফাযায়েলে তাওবা – আশেক এলাহী
৭৮। বিপদ যখন নিয়ামাত – মূসা জিবরিল
৭৯। বিপদ-আপদ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির দুআ – সাঈদ ইবনে আলী আল-কাহতানী
৮০। বিপদাপদের কারণ ও প্রতিকার – মুহাম্মদ আশেকে এলাহি
৮১। বিশ্বাস ও আত্নোন্নয়ন – কাজী মোঃ মোরতুজা আলী
৮২। বিশ্বাসের যৌক্তিকতা – রাফান আহমেদ
৮৩। ভাল মৃত্যুর উপায় – এ এন এম সিরাজুল ইসলাম
৮৪। মনটাকে কাজ দিন – অধ্যাপক গোলাম আযম
৮৫। মনের হাকীকত – হাফেয সালেহ আহমদ
৮৬। মরণ একদিন আসবেই – আব্দুর রাযযক বিন ইউসুফ
৮৭। মরণকে স্মরণ – আব্দুল হামীদ আল মাদানী
৮৮। মাওলানা মওদুদী ও তাসাউফ – আবু মনযূর শায়খ আহমদ
৮৯। মানবচরিত্র বৈশিষ্ট্যের বিচিত্র উপাখ্যান – কাজী মোহাম্মদ সাখাওয়াতউল্লাহ
৯০। মারিফাত ও দীদার-এ-ইলাহী – আলাউদ্দীন খান আল ক্বদমী
৯১। মারেফাতের মর্মকথা – আশরাফ আলী থানবী
৯২। মিনহাজুল আবেদীন – ইমাম গাযযালী রহঃ
৯৩। রহমানের বান্দাদের গুণাবলী – আবুল কাসেম মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ
৯৪। রিয়াঃ গোপন শিরক – আবু আম্মার ইয়াসির আল কাদী
৯৫। রিয়া লোকদেখানো ইবাদত ১ম খণ্ড — ইমাম গাযযালী রহঃ
৯৫। রিয়া লোকদেখানো ইবাদত ২য় খণ্ড — ইমাম গাযযালী রহঃ
৯৬। লা-তাহযানঃ হতাশ হবেন না – ড. আইদ আল কারণী
৯৭। সচ্চরিত্র গঠনের রূপরেখা – জাবেদ মুহাম্মদ
৯৮। সচ্চরিত্রতা ও চারিত্রিক গুণাবলী – আব্দুল হামীদ ফাইজি আল মাদানি
৯৯। সৎ মানুষের হৃদয়ে শয়তান প্রবেশর ধরণ ও প্রকৃতি – ড. আব্দুল্লাহ আল খাতির
১০০। সবর ও শোকর – ইমাম গাযযালী রহঃ
১০১। সবরের পুরস্কার – মাসরূর মাহমুদ
১০২। সুবহে সাদিক – খুররম জাহ মুরাদ
১০৩। হাসি কান্না – আব্দুল হামীদ আল মাদানী
১০৪। হিংসা ও অহংকার – মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব
১০৫। হৃদয়ের ব্যাধি – আবু ফুয়াদ মুফাযযাল হুসাইন
তাজকিয়া আত্মশুদ্ধি পরিচিতি
আত্মশুদ্ধি অর্থ হল নিজের সংশোধন নিজেকে খাঁটি করা পরিশুদ্ধ করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় সর্বপ্রকার অনৈসলামিক কথা ও কাজ থেকে নিজ অন্তরকে মুক্ত ও নির্মল রাখাকে আত্মশুদ্ধি বলা হয়। আল্লাহ তায়ালার স্মরণ আনুগত্য ও ইবাদত ব্যতীত অন্য সমস্ত কিছু থেকে অন্তরকে পবিত্র রাখাকেও আত্মশুদ্ধি বলা হয়।
আত্মশুদ্ধি আরবি পরিভাষা হল তাযকিয়াতুন নাফস৷ একে সংক্ষেপে তাযকিয়াহ ও বলা। স্বীয় আত্মাকে সবধরনের পাপ পংকিলতা ও অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে মুক্ত রাখাই তাযকিয়াহ এর উদ্দেশ্য।
আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তাঃ মানুষের জন্য আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বস্তুত দেহ ও অন্তরের সমন্বয়ে মানুষ গঠিত। দেহ হল মানুষের হাত পা মাথা বুক ইত্যাদি নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সমষ্টি। আর অন্তর হল আত্মা বা কালব। এ দুটোর মধ্যে কালবের ভূমিকাই প্রধান৷ মানুষের অন্তর যেরূপ নির্দেশনা প্রদান করে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তদ্রূপই কাজ করে থাকে।
সুতরাং মানুষের কাজকর্মের শুদ্ধতার জন্য প্রথমেই কালবের সংশোধন প্রয়োজন। আর কালবের সংশোধনই হল আত্মশুদ্ধি। কালব যদি সৎ ও ভালো কাজের নির্দেশ দেয় তবে দেহও ভালো কাজ করে। একটি হাদিসে মহানবি (স.) সুন্দরভাবে এ বিষয়টি বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেছেন জেনে রেখা শরীরের মধ্যে একটি গোশতপিন্ড রয়েছে। যদি তা সংশোধিত হয়ে যায় তবে গোটা শরীরই সংশোধিত হয়। আর যদি তা কলুষিত হয় তবে গোটা শরীরই কলুষিত হয়ে যায়। মনে রেখো তা হল কালব বা অন্তর। (বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করছেন৷ আর ইবাদতের পূর্বশর্ত হল পবিত্রতা কেননা আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং পবিত্র। তিনি পবিত্রতা ব্যতীত কোন জিনিসই কবুল করেন না। সুতরাং ইবাদতের জন্যও দেহ মন পবিত্র হওয়া আবশ্যক।
দৈহিক পবিত্রতা লাভ করলেই হবে না বরং অন্তরকেও পবিত্র করতে হবে। অন্য সবকিছু থেকে মনকে পবিত্র রেখে কেবল মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদাত করতে হবে। আর অন্তর আত্মার পবিত্রতা আত্মশুদ্ধির মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব।
মানুষের আত্মিক প্রশান্তি উন্নতি ও বিকাশ সাধনের জন্যও আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব অপরিসীম। আত্মশুদ্ধি মানুষের নৈতিক ও মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটায়। সদা সর্বদা ভালো চিন্তা ও সৎকর্মে উৎসাহিত করে। আত্মশুদ্ধি মানুষের চরিত্রে প্রশংসনীয় গুণাবলি চর্চার সুযোগ করে দেয়।
পক্ষান্তরে যার আত্মা কলুষিত সে নানাবিধ পাপ চিন্তা ও অশ্লীল কাজে লিপ্ত থাকে। সে অন্যায় অত্যাচার সন্ত্রাস নির্যাতন করতে দ্বিধাবোধ করে না। ফলে সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলাও বিনষ্ট হয়। অতএব নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষা ও বিকাশের জন্য আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
আত্মশুদ্ধির গুরুত্বঃ আত্মশুদ্ধি মানুষকে বিকশিত করে সফলতা দান করে। ইহজীবনে আত্মশুদ্ধি মানুষকে পূর্ণাঙ্গ মানুষে পরিণত করে। এরূপ মানুষ সবধরনের কুপ্রবৃত্তি থেকে বেঁচে থাকে সকল পাপাচার ও অনৈতিক কাজ থেকে দূরে থাকে। ফলে সমাজে সে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে সকলের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লাভ করে।
বস্তুত আত্মশুদ্ধি হল সফলতা লাভের মাধ্যমে। যে ব্যক্তি আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে ব্যর্থ সে দুর্ভাগা। সে কখনোই সফলতা লাভ করতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
قَدْ اَفْلَحَ مَنْ زَكّٰهَا ٥ وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسّٰهَا
অর্থঃ নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আত্মাকে পূত পবিত্র রাখবে সেই সফলকাম হবে আর সে ব্যক্তিই ব্যর্থ হবে যে নিজেকে কলুষিত করবে। সূরা আশ শামস আয়াত ৯-১০
পরকালীন জীবনের সফলতা এবং মুক্তিও আত্মশুদ্ধির উপর নির্ভরশীল যে ব্যক্তি দুনিয়াতে নিজ আত্মাকে পবিত্র রাখবে পরকালে সেই মুক্তি লাই করবে। তার জন্য পুরস্কার হবে জান্নাত। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
يَوْمَ لَايَنْفَعُ مَالٌ وَّلَابَنُوْنَ٥ اِلَّا مَنْ اَتَى اللّٰهَ بِقَلْبٍ سَلِيْمٍ ٥
অর্থঃ সেদিন ধনসম্পদ কোন কাজে আসবে না আর না কাজে আসবে সন্তান সন্তুতি৷ বরং সেদিন সে ব্যক্তিই মুক্তি পাবে যে আল্লাহর নিকট বিশুদ্ধ অন্তঃকরণ নিয়ে আসবে। সূরা আশ শুআরা আয়াত ৮৮-৮৯
মূলত হই ও পরকালীন সফলতা আত্মশুদ্ধির মাধ্যমেই অর্জন করা যায়। এজন্যই ইসলামে আত্মশুদ্ধির প্রতি অত্যধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আত্মশুদ্ধির উপায়ঃ মানুষের অন্তর হল স্বচ্ছ কাঁচের মতো। যখনই মানুষ কোন খারাপ কাজ করে তখনই তাতে একটি কালো দাগ পড়ে। এভাবে বারংবার পাপ কাজ করার দ্বারা মানুষের অন্তর পুরোপুরি কলুষিত হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা এ সম্পর্কে বলেছেনঃ
كَلَّا بَلْ رَانَ عَلٰى قُلُوْبِهِمْ مَّا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ٥
অর্থঃ ❝কখনোই নয় বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে মরিচা ধরিয়েছে।❞ সূরা আল মুতাফ্ফিফিন আয়াত ১৪
মানুষের কাজের কারণেই মানুষের অন্তর কলুষিত হয়। সুতরাং আত্মশুদ্ধির প্রধান উপায় হল খারাপ কাজ ত্যাগ করা এবং কুচিন্তা কুঅভ্যাস বর্জন করা। সদাসর্বদা সৎকর্ম সৎচিন্তা নৈতিক ও মানবিক আদর্শে নিজ চরিত্র গড়ে তোলার দ্বারা আত্মশুদ্ধি অর্জন করা যায়।
মহানবি (স.) বলেছেন প্রত্যেক বস্তুরই পরিশোধক যন্ত্র রয়েছে। আর অন্তর পরিস্কারের যন্ত্র হল আল্লাহর যিকির। বায়হাকি
বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালার স্মরণ ও যিকিরের মাধ্যমে অন্তরের কালো দাগ ও মরিচা দূর করা যায়। যিকিরের মাধ্যমে আত্মা প্রশান্ত ও পরিশুদ্ধ হয়। এ ছাড়াও তওবা ইস্তিগফার তাওয়াক্কুল যুহ্দ ইখলাস সবর শোকর কুরআন তিলাওয়াত সালাত ইত্যাদির মাধ্যমেও আত্মশুদ্ধি অর্জন করা যায়।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ