ইসলামী দাওয়াহ বই: Islamic Dawah Books in Bengali

ইসলামী দাওয়াহ বই

দাওয়াহর সহায়ক বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। অপপ্রচারের মুকাবিলায় মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ – এ কে এম নাজির আহমদ
২। অমুসলিমদের নিকট ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব – আ.জ.ম শামসুল আলম
৩। অমুসলিমদের সাথে রাসুল (সাঃ) এর আচরণ প্রসঙ্গ – ড. রাগিব আস সারজানী
৪। আল্লাহর দিকে আহবান – এ কে এম নাজির আহমদ
৫। আল্লাহর দিকে আহবান
৬। আল্লাহর দিকে আহবান ও দাঈর গুণাবলী – আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায
৭। আল্লাহর দিকে দাওয়াতের সম্বল – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
৮। আল্লাহর দিকে রাসুল (সাঃ)এর দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনা – সাঈদ ইবন আলি ইবন ওহাফ আল কাহতানী
৯। আল্লাহর পথে দাওয়াত – ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
১০। আল্লাহর প্রতি আহ্বান তা নাহলে ধ্বংস – ড. জাকির নায়েক
১১। আহ্বান – গাজী মুহাম্মদ তানজীল
১২। ইসলাম প্রচারক ভাই প্রথমে তাওহীদের দাওয়াত দিন – মুহাম্মদ নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
১৩। ইসলাম প্রচারে মনোবিজ্ঞানের ভূমিকা – আব্দুল্লাহ আল খাতির
১৪। ইসলাম প্রচারের হৃদয়গ্রাহী পদ্ধতি – আল্লামা আল বাহী আল খাওলী
১৫। ইসলাম বিদ্বেষীদের অপপ্রচারের জবাব – আবু বকর সিদ্দিকী
১৬। ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১৭। ইসলামী দাওয়াত ও তার দাবী – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১৮। ইসলামী দাওয়াতের পথ – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১৯। ইসলামী দাওয়াতের পদ্ধতি ও আধুনিক প্রেক্ষাপট – ড. মুহাম্মদ আবদুর রহমান আনওয়ারী
২০। ইসলামী দাওয়াহ প্রসারে গণমাধ্যমের অবদান – ড. মুহাম্মদ আবদুল কাদের
২১। ইসলামী বক্তব্য লেকচার বা ওয়াজ উপস্থাপনের ফর্মূলা – মোঃ মতিয়ার রহমান
২২। ইসলামী মিডিয়ার সরূপ ও তাৎপর্য – ড. মুহাম্মদ আবদুল কাদের
২৩। ইসলামে দায়ীদের প্রতি পয়গাম – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
২৪। ইসলামে সর্বোত্তম – ড. বেলাল ফিলিপস্
২৫। ইসলামের দায়ীদের প্রতি পয়গাম – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
২৬। ইসলামের নির্ভুল জ্ঞান অর্জনের জন্যে কুরআন  হাদীস ও বিবেক-বুদ্ধি ব্যবহারের ফর্মুলা – মোঃ মতিয়ার রহমান
২৭। উদাত্ত আহবান – মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব
২৮। উপদেশ – আবদুর রাযযক বিন ইউসুফ
২৯। উপদেশতত্ত্ব – আকিল ইবন মুহাম্মদ আল মাকতিরী
৩০। একজন ঈমানদার দাঈর গুণাবলী – মুহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম
৩১। দা য়ীর আত্ম পর্যালোচনা – ড. ফাতহী ইয়াকুন
৩২। দা’য়ী ইলাল্লাহ দাওয়াতে ইলাল্লাহ – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৩৩। দাওয়াত ও তাবলীগ – ড. ইবনে আশরাফ
৩৪। দাওয়াত ও তাবলীগের গুরুত্ব ও পদ্ধতি – মোঃ আবদুস সালাম
৩৫। দাওয়াত তাবলীগের পদ্ধতি প্রতিবন্ধকতা ও ইসলামে বন্ধু – মুহাম্মদ আইয়ুব বিন ইদু মিয়া
৩৬। দাওয়াতে দীনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি – হাফেজা আসমা খাতুন
৩৭। দাওয়াতে দ্বীন – অধ্যাপক মফিজুর রহমান
৩৮। দাওয়াতে দ্বীন ও তার কর্মপন্থা – আমীন আহসান ইসলাহি
৩৯। দীন ধর্ম রিলিজিয়ন – আবুল হোসেন ভট্টাচার্য
৪০। দ্বীনে হক-এর প্রতি দাওয়াত না দেয়ার পরিণত – দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
৪১। দ্বীনের দাওয়াত – আব্দুল হামীদ আল মাদানী
৪২। নবী মুহাম্মদ সাঃ এর আগমনের প্রেক্ষাপট উদ্দেশ্য দাওয়াতের পদ্ধতি কৌশল – মোঃ আবদুল কাদের
৪৩। নবী রাসুল সা. প্ররেণের উদ্দেশ্য এবং তাঁদের সঠিক অনুসরণের মাপকাঠি – মোঃ মতিয়ার রহমান
৪৪। বক্তা ও শ্রোতার পরিচয় – আব্দুর রাযযক বিন ইউসুফ
৪৫। বিরোধিতার মোকাবিলায় ইসলামের কর্মনীতি  – আবদুল্লাহ বিন বায
৪৬। মূসা আঃ ব্যক্তিত্ব ও দাওয়াহ কার্যক্রম – ড. মোঃ আব্দুল কাদের
৪৭। যুগে যুগে দাওয়াতী দ্বীনের কাজে মহিলাদের অবদান – মাসুদা সুলতানা রুমী
৪৮। রসূল সাঃ -এর দাওয়াতের পদ্ধতি ও মাধ্যম – আবুল কালাম পাটওয়ারী

দাওয়াহ পরিচিতি

দাওয়াত দ্বীন ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। মানবজীবনে ইসলামের অস্তিত্ব নির্ভর করে দাওয়াতি কাজের ওপর। আল্লাহ তা’য়ালা যুগে যুগে যত নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন তাঁদের সকলেরই দায়িত্ব ছিল মানুষের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেয়া। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ সাধন ও সফলতার বন্ধ তালা একমাত্র দাওয়াতে দ্বীন খুলে দিতে পারে। মানবতার বিবেক ও মানব উন্নয়ন ও বিকাশের দরজার তালা দাওয়াতি কাজই কেবল খুলে দিতে পারে। দাওয়াতি কাজ মানে ইসলাম প্রচার-প্রসারের কাজ। দাওয়াতের মাধ্যমেই ইসলামের ব্যাপক প্রসার ঘটে। মুসলিম জাতির বিস্তৃতি লাভ করে।

বর্তমান সময়ে ইসলামের দাওয়াত অন্যের নিকট পৌঁছাবার গুরুত্ব মোটেও গৌণ করে দেখার কোন সুযোগ নেই। ইসলামের প্রথম প্রকাশ ঘটে দাওয়াতের মাধ্যমে। দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামের অগ্রগতি ও বিকাশ সাধিত হয়। নির্মিত হয় ইসলামী সমাজ ও সভ্যতা। সৃষ্টির আদিকাল থেকে আমাদের আদী পিতা হযত আদম আ. এর মাধ্যমে ইসলামের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সা.-এর মাধ্যমে যে ইসলামের পূর্ণাঙ্গতা প্রাপ্ত হয়েছিল এর রশ্মি গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে রয়েছে আল্লাহর পথে নিবেদিত প্রাণ, তাঁর প্রিয় নবী-রাসূলদের অক্লান্ত ত্যাগ, কুরবানী, পরিশ্রম ও ব্যাপক দাওয়াতি কাজ। উম্মাহর উত্থানে দ্বীনি দাওয়াতি কাজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বর্তমানে উম্মাহর পতনের কারণও হল দাওয়াতি কাজের দুর্বলতা । সমাজের জাহেলিয়াত কুসংস্কার ও সকল অশ্লীলতার তালা দাওয়াতই খুলে দিতে পারে। একমাত্র ইলাহই মানবতার সকল সমস্যা ও অশান্তির শেকড় কেড়ে নিতে পারে। খুলে দিতে পারে শান্তির পায়রা। দাওয়াত মুসলিম উম্মাহর পুষ্টি সাধন করে। বিশালতা দান করে। দাওয়াতে দ্বীন ইসলামী সভ্যতা বিনির্মাণের প্রাথমিক সোপান। দাওয়াতে দ্বীন ইসলাম অনুশীলনের প্রেরণা যোগায়। দাওয়াতে দ্বীন উম্মাহর স্থবিরতা দূর করে। গতিশীলতা আনয়ন করে। দাওয়াত ব্যক্তি ও সমাজকে জাগিয়ে তুলে। দাওয়াত জাতির বুকে স্বপ্ন জাগায়। আশার আলো দেখায়। জাহেলিয়াতের আঁধার কাটে। সত্যের সোনালী সূর্যোদয় দান করে দাওয়াতের মাধ্যমে।

দাওয়াত ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। এখানে সংক্ষিপ্তাকারে দাওয়াতের অর্থ ও ব্যাখ্যা উল্লেখ করার প্রয়াস করা হলো। দাওয়াত অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকা, ঈমানের পথে ডাকা, দাওয়াত মানে সত্য-সুন্দরের প্রকাশ, দাওয়াত মানে ইসলামের মহান বাণী প্রচার। দ্বীন অর্থ হচ্ছে, জীবন ব্যবস্থা তথা ইসলাম। আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম। দাওয়াতে দ্বীন হচ্ছে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের পথে মানবতাকে আহ্বান করা।

দাওয়াত মানে হচ্ছে মানব রচিত মতবাদ মূলোৎপাটন করা, দাওয়াত মানে ইসলামের শ্রেষ্টত্ব প্রতিপন্ন করা, মিথ্যার পুঁতিগন্ধময়তা দূর করা, দাওয়াত মুসলিম উম্মাহর সংশোধনের কথা বলে। দাওয়াত উম্মাহর শত্রুদের শনাক্ত করে। দাওয়াত মানে জান্নাতের রাস্তা দেখানো। মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘ঐ ব্যক্তির চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করে’। -(হামিম সিজদাহ-৩৩)

মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘তামরা শ্রেষ্ট উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের প্রেরণ করা হয়েছে। তোমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তোমরা সৎ কাজের আদেশ করবে এবং নিষেধ করবে মন্দ কাজ থেকে। (সুরা আলে ইমরান-১০)

দাওয়াতে দ্বীনের গুরুত্ব অনেক বেশি যে, পরিপূর্ণভাবে দাওয়াতি কাজ করেছেন কিনা এ জবাবদিহী কেবল উম্মত নয় সকল নবী-রাসূলগণকেও এ কঠিন প্রশ্নের সওয়াল করা হবে। তাঁদেরও জবাবদিহীর কাঠগড়ায় উপস্থিত করানো হবে।

দাওয়াতি কাজকে নবীগণের মূল পেশা হিসেবে আখ্যা দিয়ে জোর তাকিদ দিয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘হে রাসূল আপনি দাওয়াত দিন, আপনার প্রভু আপনার ওপর যা কিছু অবতীর্ণ করেছেন, আর যদি না দেন তাহলে রেসালতের দায়িত্ব আনজাম দিলেন না।

আল্লাহ সুবহানাহু আরও ইরশাদ করেন, ‘হে রাসূল আপনি বলে দিন এটাই আমার রাস্তা আমি জেনে বুঝে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকি, এটা আমার কাজ এবং তাদের কাজ যারা আমার অনুসারি তথা আমার উম্মত। (সূরা ইউসুফ-১০৭)

রাসূল সা. ইরশাদ করেন,‘জিহাদের তুলনায় তোমাদের সমস্ত নেক আমলসমূহ মহাসমুদ্রের তুলনায় বিন্দু পানির ন্যায়, আবার সৎ কাজের নির্দেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের তুলনায় জিহাদ যেন মহাসমুদ্রের তুলনায় এক বিন্দু তথা পানির ন্যায়।’ (বুখারী ও তিরমিয়ি শরীফ) একদা হযরত আবু বকর রা. রাসূলুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করলেন, মুশরিকদের সাথে জিহাদ ছাড়া যুদ্ধের আর কোন প্রকার আছে কি? উত্তরে রাসূল আকরাম সা. বললেন- আছে, ‘তাঁরা ঐ ব্যক্তি যারা সৎ কাজের আদেশ করে এবং মন্দকাজের নিষেধ করে’। (নাসাই ও মিশকাত শরিফ)

‘আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল বা সন্ধ্যা ব্যয় করা দুনিয়া ও এর মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু থেকে উত্তম’ (বুখারী ৫৯৬৭)।

এমন কোন জাতি নেই যাদের নিকট নবীগণ দাওয়াত নিয়ে যাননি। এ কঠিন দাওয়াতি কাজ করতে গিয়ে ময়দানে নবী-রাসূলগণ শাহাদতবরণ করেছেন। কারো মাথাকে করাত দিয়ে দিখন্ডিত করা হয়েছে, কাউকে জীবন্ত আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছে, আমাদের নবীকে তায়েফের ময়দানে পাথরের আঘাতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত রক্তাত্ত করা হয়েছিল। দেশান্তরী হতে হল প্রিয় নবীকে। এই দাওয়াত গ্রহণ না করার কারণে কোনো সম্প্রদায়কে জীবন্ত বানরে পরিণত করা হয়েছে। তবে যারা দাওয়াত দিয়েছেন তারা দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতে সফলকাম হয়েছেন।

ইসলাম শ্রেষ্ঠ বরং ইসলামের দাওয়াত হচ্ছে পরকালীন নাজাতের জন্য ইসলামের বিকল্প নেই। ইসলামের দাওয়াত কখনো প্রান্তিক হতে পারে না। কেবল ইতিবাচক বিষয়গুলো দাওয়াত কিংবা শুধুই নেতিবাচক বিষয়ের দাওয়াত। দাওয়াতের বিষয় হতে হবে ঈমান, আমল, তাওহিদ, রিসালাত, আখেরাত ইত্যাদি।

মুসলিম অমুসলিম সকলের নিকট দা’য়ী গণকে দ্বীনি দাওয়াত নিয়ে যেতে হবে। আজকের অবস্থা এমন হয়েছে যে, যারা সংগঠন করেন তারা মনে করেন সংগঠকরাই দাওয়াতি কাজ করেন, যারা মাদরাসায় পড়েন বা পড়ান তারা মনে করে মাদ্রসার ভিতরেই দাওয়াত সীমাবদ্ধ, যারা তাবলীগ করেন তারা মনে করেন আমরা তাবলীগের মাধ্যমেই কেবল ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি। আমাদের সমাজে আজ একগুয়েমী বেশি বিস্তার করছে। যারা লেখালেখী করেন, তারা মনে করেন আমরা শুধু লেখালেখির মাধ্যমেই ইসলামের কাজ করছি।

দাওয়াতি কাজের অনেক পদ্ধতি আছে। বাস্তবতা হচ্ছে যারা তাবলীগ করেন, যারা মাদ্রাসায় পড়েন বা পড়ান, যারা সংগঠন করেন, যারা লেখালেখি করেন তারা সকলেই দ্বীনের কাজই তথা ইসলামের পথে মানুষকে দাওয়াত দিচ্ছেন।

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ

error: Content is protected !!
Scroll to Top