মুসলিম মনীষীদের জীবনী বই: Biographies of Muslim Scholars Books

মুসলিম মনীষীদের জীবনী বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। অধ্যাপক গোলাম আযমের সংগ্রামী জীবনী – মুহাম্মদ কামারুজ্জামান
২। অমানিশার আলোকমালা – বদরুজ্জামান
৪। আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবনু জারীর আত্‌ তাবারীঃ জীবন ও কর্ম – ড. নজরুল ইসলাম খা
৫। আবু নাজীহ রাঃ এর ইসলাম গ্রহণ – মুসাম্মাৎ শারমীন আখতার
৬। আবু বাকর আছছিদ্দিক (রাঃ) এর জীবনী – ড. আহমদ আলি
৭। আবুবকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমার জীবনের কিছু ঘটনা – হোমায়রা বানু
৮। আবুবকর রা. সম্পর্কে ১৫০ টি শিক্ষানীয় ঘটনা – আহমাদ আবদুল আলি তাহতাভী
৯। আবূ তালিব-এর ইসলাম – গোলাম মোস্তফা যহীর
১০। আমার আব্বা আম্মা – সাইয়েদা হুমায়রা মওদূদী
১১। আমার আম্মা – সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী
১২। আমার সংক্ষিপ্ত আত্ম-কাহিনী – এ.কে.এম. ইউসুফ
১৩। আমীরুল মুমিনীন উসমান ইবনু আফফান রাদিআল্লাহু আনহু – যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল
১৪। আয়েশা রাঃ সম্পর্কে ১৫০ টি শিক্ষানীয় ঘটনা – আহমাদ আবদুল আলি তাহতাভী
১৫। আলি সম্পর্কে ১৫০ টি শিক্ষানীয় ঘটনা – আহমাদ আবদুল আলি তাহতাভী
১৬। আলেমে দ্বীন সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী – আব্বাস আলী খান
১৭। আল্লামা জারীর তাবারী র. ইতিহাস চর্চায় তাঁর অবদান – ড. মোঃ আজিজুল হক
২০। আল্লামা মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলিবানী এর জীবনী – আব্দুল্লাহিল হাদী
২১। আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন আলী আশ্‌ শাওকানী জীবন ও কর্ম – ড. মুহাম্মাদ ছামিউল হক
২২। আসমা রাঃ সম্পর্কে ১৫০ টি শিক্ষণীয় ঘটনা – আহমাদ আবদুল আলি তাহতাভী
২৩। আসহাবে কাহাফ – আবুল কালাম আজাদ
২৪। আসহাবে কাহাফের ইতিবৃত্ত – মোস্তাফিজুর রহমান
২৫। আসহাবে কাহাফের কিস্‌সা – মুহাম্মদ আবদুর রহীম
২৬। আসহাবে রাসুলের কাব্য প্রতিভা – ড. মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ
২৭। আসহাবে রাসুলের জীবনকথা – মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ
২৮। আসহাবে রাসুলেরজীবনধারা – এ কে এম  নাজির আহমদ
২৯। আহমেদ দীদাত জীবনী – আব্দুল্লাহ আল আমিন
৩০। ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান – ইভন রিডলি
৩১। ইবনে সিনা – আবু কায়সার
৩২। ইবনে সিনা – সৈয়দ আবদুস সুলতান
৩৩। ইমাম আজমের গল্প শোন – হাবীবুর রহমান
৩৪। ইমাম আবু হানীফা রহঃ আকাশে অঙ্কিত নাম – মাওলানা যাইনুল আবেদীন
৩৫। ইমাম ইবনু তাইমিয়া ও শায়খ মুহাম্মদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাবঃ জীবন ও কর্ম – এ.কিউ.এ
৩৬। ইমাম ইবনু তাইমিয়া রহ. এর জীবন ও কর্ম – এ.কিউ.এম আবদুল হাকীম আল মাদানী
৩৭। ইমাম ইবনে তাইমার সংগ্রামী জীবন – আবদুল মান্নান তালিব
৩৮। ইমাম মাহদী (আঃ)-এর আত্মপ্রকাশ – আলী আল কুরানী
৩৯। ইমাম মাহদীর আবির্ভাব ঈসার (আঃ) অবতারণ ও আলামতে কিয়ামত – আবুল কালাম
৪০। ইমাম মুসলিমের জীবনী – মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান
৪২। ইমাম হাসানুল বান্না ও সমকালীন মিশর – খলিল আহমদ হামেদী
৪৩। ইমাম হুসাইনের রা. শাহাদাত – আকরাম ফারুক
৪৪। ইমাম হোসেইন এর শাহাদাতের পর মহানবী সাঃ এর বন্দী পরিবার – মুহাম্মদ ইরফানুল
৪৫। ইয়াজুজ ও মাজুজ – ইমরান নযর হোসেন
৪৬। ইসলামের প্রথম মুয়াযযিন হযরত বিলাল রা. – হেলেনা খান
৪৭। উম্মুল মুমিনীন সীরাতে আয়েশা রা – সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভী
৪৮। একটি গোয়েবলসীয় মিথ্যাচার ও আল্লামা সাঈদী প্রসঙ্গ – মোকাররম হোসেন কবীর
৪৯। একটি সংগ্রাম মুখর জীবনঃ অধ্যাপক ইউসুফ আলী স্মারকগ্রন্থ
৫০। ওমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ – সাইয়েদ ওমর তেলমেসানী
৫১। ওমর ইবনে আব্দুল আজিজঃ ইসলামি শাসনের বাস্তব চিত্র – রশীদ আখতার নদভী
৫২। ওমর তিলমসনী ও ইখওয়ান – এম আমীর হোসাইন আল মাদানী
৫৩। ওমর রাঃ সম্পর্কে ১৫০ টি শিক্ষানীয় ঘটনা – আহমাদ আবদুল আলি তাহতাভী
৫৪। ওলী আল্লাহদের মা – সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী
৫৫। ওসমান রাঃ সম্পর্কে ১৫০ টি শিক্ষানীয় ঘটনা – আহমাদ আবদুল আলি তাহতাভী
৫৬। কয়েদীর পোশাকে কেমন আছেন আল্লামা সাঈদী
৫৭। কারাগার থেকে আদালতে অধ্যাপক গোলাম আযম – অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
৫৮। কারাগারের রাতদিন – জয়নব আল গাজালী
৫৯। কারাগারের স্মৃতি – মতিউর রহমান নিজামী
৬০।খাদিজা রা. সম্পর্কে ১৫০ টি শিক্ষানীয় ঘটনা – মুস্তফা মুহাম্মদ আবুল মা’আতী
৬১।খাদিজাতুল কোবরা রাঃ – মায়েল খায়রাবাদী
৬২। খানে আজম হযরত খানজাহান আলী রহঃ – সৈয়দ ওমর ফারুক হোসেন
৬৩। খালিফা ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ – নূর মোহাম্মদ মল্লিক
৬৪।খালিফাতু রাসুলিল্লাহ আবু বাকর আছছিদ্দিক রা. – ড. আহমদ আলি
৬৫। খোলাফায়ে রাশেদীন জীবন ও কর্ম – মোহাম্মদ নাছের উদ্দিন
৬৬। চার ইমামের জীবনকথা – রঈস আহমদ জাফরী
৬৭।চার ইমামের জীবনী – মতিউর রহমান
৬৮। জননেতা গোলাম আযম – শেখ আখতার হোসেন
৬৯। জীবনে যা দেখলাম – অধ্যাপক গোলাম আযম
৭০। তাবিঈদের জীবনকথা – ড. মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ
৭১। দাওয়াম (আমার সংগ্রাম ) – ড. নাজিমুদ্দীন এরবাকান
৭২। দার্শনিক শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী ও তার চিন্তাধারা – জুলফিকার আহমাদ কিসমতী
৭৩। নবী ইউনুস – হেলেনা খান
৭৪। নবী ইউসুফের আ. পাঠশালা – আহমাদ মুসা জিবরিল
৭৫। নবী নন্দিনি – আবদুল ওয়াহাব খান
৭৬। নবী নন্দিনী হযরত মা ফাতেমা রাঃ এর জীবনী – মোহাম্মদ এম এ সাইফুল ইসলাম
৭৭। নবীদের কাহিনী – ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব
৭৮। নবীদের সংগ্রামী জীবন – আবদুস শহীদ নাসিম
৭৯। পথিকৃৎ আবদুল মান্নান তালিব স্মারক গ্রন্থ – আবুল আসাদ
৮০। প্রথম দিনের সূর্য – তারিক জামিল
৮১। প্রথম পরিবারঃ হযরত আদম আঃ এর জীবনী – মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ
৮২। প্রিয় নবীর কন্যাগণ – হুসাইন বিন সোহরাব
৮৩। ফাতেমা সম্পর্কে ১৫০ টি শিক্ষণীয় ঘটনা – মুস্তাফা মুহাম্মদ আব্দুল মাআতী
৮৪। ফুরফুরার পীর হযরত মওলানা আবুবকর সিদ্দিকী – আবু ফাতেমা মোহাম্মদ ইসহাক
৮৫। বস্তানুল মুহাদ্দিসীন – শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী
৮৬। বাদশা আব্দুল আজীজ জীবন ও কর্ম – বাহরুল্লাহ হাজারভী
৮৭। বিভ্রান্তির প্রতিবাদে কুরান ও সহীহ হাদীসের আলোকে ঈসা আঃ এর পুনঃ আগমন – আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ খান
৮৮। বিশ্ব নবীর সাহাবী – তালিবুল হাশেমী
৮৯। বিশ্বের মনিষীদের দৃষ্টিতে মাওলানা মওদূদী ১ম খন্ড – আব্বাস আলী খান
৯০। বুস্তানুল মুহাদ্দিসিন – শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী
৯১। মতিউর রহমান মল্লিক জীবন ও সাহিত্য – ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ
৯২। মহাকবি শেখ সা দী – মোবারক হোসেন খান
৯৩। মহাপ্রেমিক মুসা আঃ – মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ
০০। মহাপ্লাবনের কাহিনীঃ হযরত নূহ(আঃ) এর জীবনী – মুহাম্মাদ জুলকারনাইন
৯৪। মাওলানা আলাউদ্দিন আল-আযাহারীর জীবন ও কর্ম – মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান
৯৫। মাওলানা আহমাদ আলি – শেখ আখতার হোসেন
৯৬। মাওলানা মওদুদী একটি জীবন একটি ইতিহাস – আব্বাস আলি খান
৯৭। মাওলানা মওদুদীঃ একটি দুর্লভ সংগ্রহ
৯৮। মাওলানা মওদুদীর বহুমুখী অবদান – আব্বাস আলী খান
৯৯। মাওলানা মওদূদীকে (র) যেমন দেখেছি – অধ্যাপক গোলাম আযম
১০০। মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী – মোশারাফ হোসেন খান
১০১। মাওলানা হামিদ বাঙ্গালী – আতহার উদ্দীন মোল্লা
১০২। মালয়েশিয়ার মহানায়ক ড. মাহাথির মোহাম্মদ – মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ
১০৩। মুহাম্মদ ইবন আলী আশ শাওকানী জীবন ও কর্ম – ড. মোঃ ছামিউল হক ফারুকী
১০৪। মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
১০৫। মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী – সাইফুদ্দিন চৌধুরী
১০৬। যে সব মুসলিম মনিষী বদলে দিয়েছে পৃথিবী – মুনির তৌসিফ
১০৭। যেমন ছিলেন সালফে সালিহগণ – খালিদ আবদুর রহমান আল-হুসাইন
১০৮। শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ দায়ী ইলাল্লাহ – মুহাম্মদ নূরুয্‌যামান
১০৯। শহীদ হাসানুল বান্নার ডায়েরী – খলিল আহমদ হামেদী
১১০। শাহ্‌ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও জামালউদ্দীন আফগানী – মোহাম্মদ আবদুল মান্নান
১১১। সংক্ষেপে মাওলানা মওদূদী – সাইয়েদ আজম মওদূদী
১১২। সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস ১ম খণ্ড — সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী
১১২। সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস ২য় খণ্ড — সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী
১১২। সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস ৩য় খণ্ড — সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী
১১২। সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস ৪র্থ খণ্ড — সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী
১১২। সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস ৫ম খণ্ড — সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী
১১২। সত্যের সেনানী – এ কে এম নাজির আহমদ
১১৩। সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী – এ কে এম নাজির আহমদ
১১৪। সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদীঃ ইসলামের আলোয় আলোকিত এক নেতা
১১৫। সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভীঃ এমন ছিলেন তিনি – ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী
১১৬। সাইয়েদ কুতুব শহীদ – আব্দুদ্দাইয়ান মুহাম্মদ ইউনুস
১১৭। সাইয়েদ নিসার আলি তিতুমীর – মোশারাফ হোসেন খান
১১৮। সালাউদ্দিন আইউবী – এ বি এম কামাল উদ্দিন শামীম
১১৮। সাহাবা চরিত ১ম খণ্ড — মোহাম্মদ যাকারিয়া
১১৮। সাহাবা চরিত ২য় খণ্ড — মোহাম্মদ যাকারিয়া
১১৮। সাহাবা চরিত ৩য় খণ্ড — মোহাম্মদ যাকারিয়া
১২০। সাহাবীদের আলোকিত জীবন ১ম খণ্ড — ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা
১২০। সাহাবীদের আলোকিত জীবন ২য় খণ্ড — ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা
১২১। সাহাবীদের জীবন চিত্র ১ম খণ্ড — ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা
১২১। সাহাবীদের জীবন চিত্র ২য় খণ্ড — ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা
১২২। সাহাবীদের বিপ্লবী জীবন – ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা
১২৩। সুন্দরের ইতিবৃত্তঃ হযরত ইউসুফ আঃ এর জীবনী – আবদুল ওয়াহাব খান
১২৪। সুলতান সালাহউদ্দীন – ড. এম আবদুল কাদের
১২৫। সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী – জিলহজ আলী
১২৬। সেরা মুসলিম মনিষীদের জীবনকথা – নাসির হেলাল
১২৭। স্মৃতির এ্যলবামে তুলে রাখা কয়েকটি দিন – মাসুদা সুলতানা রুমী
১২৮। স্মৃতির পাতা থেকে – পি এ নাজির
১২৯। স্মৃতির পাতা থেকে – মতিউর রহমান নিজামী
১৩০। স্মৃতির পাতায় জননেতা আব্বাস আলী খান – মাযহারুল ইসলাম
১৩১। হজরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া রহঃ – আবুল হাসান আলী নাদভী
১৩২। হযরত আবু বকর রাঃ – মুহাম্মদ হুসাইন হায়কল
১৩৩। হযরত আবু হরায়রা রা. – মুহাম্মদ রেজাউল করীম ইসলামববাদী
১৩৪। হযরত আয়েশা রাঃ – জালালুদ্দিন সুয়ূতী
১৩৫। হযরত আলী রা. জীবন ও খেলাফত – সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী
১৩৬। হযরত ইউসুফ আঃ – আবুল কালাম আজাদ
১৩৭। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ – সাইয়েদ ওমর তেলমেসানী
১৩৮। হযরত ওমর রাযি কেন অমর – এ বি এম কামাল উদ্দিন শামীম
১৩৯। হযরত খাদিজাতুল কোবরা – মায়েল খায়রাবাদী
১৪০। হযরত ফাতেমা যোহরা – কাজি আবুল হোসেন
১৪১। হযরত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী – এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুনশী
১৪২। হযরত মুআবিয়া রা. জীবনচরিত – নাসীম আরাফাত
১৪৩। হযরত মুজাদ্দিদ আলফেসানী – সিদ্দিক আহমদ খান
১৪৪। হযরত সিদ্দীকে আকবর রা. – সাঈদ আহমদ আকবরাবাদী
১৪৫। হাফিজ ইবনু হাজার আল আসকালানী জীবন ও কর্ম – ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ

মুসলিম মনীষীদের জীবনী

মুসা আল খাওয়ারিজমিঃ পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল খাওয়ারিজমি। মধ্য এশিয়ার দীর্ঘতম এবং আরব সাগরে পতিত আমু দরিয়ার কাছে একটি দ্বীপের নিকটে খাওয়ারিজম নামক শহরে আনুমানিক ৭৮০ খ্রিস্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাটিগণিত, বীজগণিত, ভূগোল, জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যামিতিতে প্রভূত ভূমিকা রাখেন। মূলত বীজগণিতের জন্যই তিনি সবচেয়ে আলোচিত হন।

তার ‘আল জাবর ওয়াল মুকাবিলা’ বই থেকে জানা যায়, তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। খলিফা মামুনের বিশাল লাইব্রেরিতে আল খাওয়ারিজমি চাকরি গ্রহণ করেন।
এখানেই সম্ভবত তিনি বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। অসীম ধৈর্যসহকারে অধ্যয়ন করে তিনি বিজ্ঞানের যাবতীয় বিষয়ের সঙ্গে পরিচিতি লাভ করেন।

তিনি ছিলেন একজন জগদ্বিখ্যাত গণিতবিদ। তার সময়ের গণিতের জ্ঞানকে তিনি এক অভাবনীয় সমৃদ্ধতর পর্যায়ে নিয়ে তোলেন। একজন গণিতবিদ হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন একজন উল্লেখযোগ্য জ্যোতির্বিদ। ভূগোল বিষয়ে তার প্রজ্ঞা উৎকর্ষতাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল।
তিনি ছিলেন বীজগণিত তথা অ্যালজেবরার জনক। তিনি প্রথম তার একটি বইয়ে এই অ্যালজেবরার নাম উল্লেখ করেন। বইটির নাম হলো ‘আল জাবর ওয়াল মুকাবিলা’। তিনি বিজ্ঞানবিষয়ক বহু গ্রিক ও ভারতীয় গ্রন্থ আরবিতে অনুবাদ করেন।
পাটিগণিত বিষয়ে তিনি একটি বই রচনা করেন, যা পরে ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়।

তার হাতেই বীজগণিত পরে আরও সমৃদ্ধতর হয়। বর্তমান যুগ পর্যন্ত গণিতবিদ্যায় যে উন্নয়ন এবং এর সহায়তায় বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যে উন্নতি ও আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে তার মূলে রয়েছে আল খাওয়ারিজমির উদ্ভাবিত গণিতবিষয়ক নীতিমালারই বেশি অবদান। তার রচিত বই ‘আল জাবর ওয়াল মুকাবিলা’ থেকে বীজগণিতের ইংরেজি নাম অ্যালজেবরা উৎপত্তি লাভ করে।

ইবনে সিনাঃ ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বোখারা শহরে জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী, দার্শনিক আবু আলী সিনা। বোখারা শহরটি সে সময় ছিল ইরানের অন্তর্ভুক্ত। ইবনে সিনা দর্শন, বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকে শুরু করে যুক্তিবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, অঙ্ক ইত্যাদি চর্চা করেছেন।

তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে সমকালীন জ্ঞানী-গুণী, চিকিৎসক ও মনীষীদের পড়িয়েছেন। ফলে সহজেই বোঝা যায় তিনি ছিলেন সে সময়কার সবচেয়ে বড় চিকিৎসক। কথিত আছে, ইবনে সিনা যখন ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়তেন তখন অমীমাংসিত প্রশ্নগুলো তার মানসপটে স্বপ্নের মতো ভাসত। তার জ্ঞানের দরজা খুলে যেত।

ঘুম থেকে উঠে তিনি সমস্যার সমাধান করে ফেলতেন! একজন বিখ্যাত চিকিৎসক হিসেবে সর্বত্র তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি আল মুজমুয়া নামে একটি বিশ্বকোষ রচনা করেন। এর মধ্যে গণিত ছাড়া সব বিষয় লিপিবদ্ধ করেন। ইবনে সিনা পদার্থবিজ্ঞান, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, জ্যামিতি, গণিত, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি তার সময়ে পৃথিবীর সেরা চিকিৎসক।

আল বিরুনিঃ পারস্যের মনীষী আবু রায়হান আল বিরুনি। তিনি জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কাটিয়েছেন মধ্য এশিয়ায়। ২০ বছর বয়সে তিনি জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ শুরু করেন।

তিন বছর ধরে গোটা পারস্য চষে বেড়ান এবং বিভিন্ন পণ্ডিতের অধীনে পড়ালেখা করে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন। ৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি জুরজানে (বর্তমানে ‘গুরগান’, উত্তর ইরানের একটি শহর) স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। জীবনের পরবর্তী ১০ বছর তিনি উত্তর ইরানের এই ছোট্ট শহরেই বসবাস করেন, নিজের গবেষণা চালিয়ে যান, বই লেখেন এবং জ্ঞানার্জনে রত থাকেন।

আল বিরুনি ভূবিদ্যার একজন পথিকৃৎ। তিনি শতাধিক বিভিন্ন ধরনের ধাতু ও রত্নপাথর সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষা করেন। একাদশ শতাব্দীতে আল বিরুনি তার বর্ণময় কর্ম ও গবেষণা জীবন চালিয়ে যান এবং বিভিন্ন বিষয়ের গবেষণায় নতুন নতুন ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রদান করেন— কীভাবে পৃথিবী এর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান।

স্থিতিবিদ্যা ও গতিবিদ্যাকে একীভূত করে বলবিদ্যা নামক গবেষণার নতুন ক্ষেত্রের প্রবর্তন করেন তিনি।

আল বেতরুগিঃ নুর আদ-দীন ইবনে ইসহাক আল বেতরুগি। তিনি ইসলামের সোনালি যুগে মরক্কোয় জন্মগ্রহণ করেন।

তার ব্যক্তিগত জীবনী খুব বেশি জানা যায়নি। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তিনি ‘স্লেশিয়াল মোশন’ নিয়ে যুগান্তকারী মতবাদ দিয়েছিলেন। তার সীমাবদ্ধতা থাকার পরও তিনি প্লেনটারি মোশন নিয়ে নিজস্ব থিওরি প্রদান করেছিলেন; যা এখন ঠিক।

আল রাজিঃ আবুবকর মুহাম্মদ ইবন জাকারিয়া আল রাজি বা আল রাজি। তিনি ৮৪১ খ্রিস্টাব্দে ইরানের তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন। রাজি ছিলেন একজন দক্ষ পারশিয়ান চিকিৎসক ও দার্শনিক। তিনি চিকিৎসাবিদ্যা, আল কেমি, পদার্থবিদ্যা ও অন্যান্য বিষয়ের ওপর ১৮৪টিরও বেশি বই লিখেছেন। তিনি সালফিউরিক অ্যাসিড আবিষ্কার করেন। তিনি ইথানল উৎপাদন, বিশোধন ও চিকিৎসায় এর ব্যবহার প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন। তিনি একজন বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ছিলেন। তিনি বহু দেশ ভ্রমণ করেন।

ওমর খৈয়ামঃ অনেক ইতিহাসবিদের মতে, সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর কিছু আগে ওমর খৈয়াম জন্মগ্রহণ করেন। ওমর খৈয়ামের শৈশবের কিছু সময় কেটেছে অধুনা আফগানিস্তানের বালখ শহরে। সেখানে তিনি খোরাসানের অন্যতম সেরা শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত ইমাম মোয়াফেফ্ক নিশাপুরির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। দিনের বেলায় জ্যামিতি ও বীজগণিত পড়ানো, সন্ধ্যায় মালিক শাহর দরবারে পরামর্শ প্রদান এবং রাতে জ্যোতির্বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি জালালি বর্ষপঞ্জি সংশোধন— সবটাতে তার নিষ্ঠার কোনো কমতি ছিল না। জীবদ্দশায় ওমরের খ্যাতি ছিল গণিতবিদ হিসেবে। বীজগণিত দিয়েই নিজের গবেষণা জীবন শুরু করেন খৈয়াম। প্রথমেই তিনি অনুধাবন করেন প্রচলিত গ্রিক পদ্ধতিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান সম্ভব নয়। তাই নতুন পদ্ধতি নিয়ে ভাবতে শুরু করেন ওমর। তিনি প্রথম উপবৃত্ত ও বৃত্তের ছেদকের সাহায্যে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান করেন। ওমরের আর একটি বড় অবদান ইউক্লিডের সমান্তরাল স্বীকার্যের সমালোচনা, যা পরবর্তী সময়ে অ-ইউক্লিডীয় জ্যামিতির সূচনা করে। ১০৭০ খ্রিস্টাব্দে তার পুস্তক মাকালাত ফি আল জার্ব আল মুকাবিলা প্রকাশিত হয়। এ পুস্তকে তিনি ঘাত হিসেবে সমীকরণের শ্রেণিকরণ করেন এবং দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধানের নিয়মাবলি লিপিবদ্ধ করেন। ওমর খৈয়াম জ্যোতির্বিদ হিসেবেও সমধিক পরিচিত।

শেখ সাদীঃ ফার্সি গদ্যের জনক মহাকবি শেখ সাদি। প্রথম দিকে তিনি কিশোরদের জন্য উপদেশমূলক গল্প ও কবিতা লিখতেন। গল্পে গল্পে তিনি শুনিয়েছেন সততার পুরস্কার কীভাবে পাওয়া যায়। কীভাবে বিনীতশীলিত হতে হয়। কীভাবে ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা করতে হয়। এক কথায়, মানুষের সামগ্রিক বিকাশকে লক্ষ্য রেখেই তিনি গল্প, কবিতা রচনা করতেন। তা ছাড়া মানুষ হওয়ার বয়স কিন্তু কিশোর বয়স থেকেই। এই বয়সে নিজের নৈতিক চরিত্র ঠিক রাখার দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় শেখ সাদির রচনায়। তার লেখায় জ্ঞানী, গুণী মনীষীদের পবিত্র জীবনাচরণ উদাহরণ হয়েছে। আরবি কবিতা ও প্রবাদ বাক্য ছাড়াও তার লেখায় যথেষ্ট পরিমাণে পবিত্র কোরআন, হাদিসের উদ্ধৃতি লক্ষ করার মতো। শেখ সাদির লেখা জনপ্রিয় ‘কাশিদা’ তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে গেছে। শেখ সাদির পুরো নাম আবু মুহাম্মদ মোশাররফ উদ্দিন বিন মোসলেহ উদ্দিন আবদুল্লাহ সাদি সিরাজি। তিনি ইরানের সুপ্রসিদ্ধ ‘সিরাজ’ নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন।

শেখ সাদি রচিত একাধিক কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ‘গুলিস্তাঁ ও বুস্তাঁ’ নামক গ্রন্থ দুটি অন্যতম। গ্রন্থ দুটি বহু ভাষায় অনূদিত হয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গদ্য ও পদ্য মিশ্রিত এই গ্রন্থ এখনো অমর হয়ে আছে বিশ্ব সাহিত্য ভাণ্ডারে। গ্রন্থ দুটি অনবদ্য পঙিক্ত সৃষ্টিতে যেমন সফল তেমনিভাবে সফল অভিভাবকত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে।

জাকির ইবনে হাইয়ানঃ বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান আল-আজদি আস সুফি আল-ওমাবি। আরবের দক্ষিণাংশের বাসিন্দা আজদি গোত্রের হাইয়ান ছিলেন তার পিতা। চিকিৎসক পিতার সন্তান হলেও সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে উমাইয়া খলিফা তার পিতাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করলে বাল্যকালে তিনি চরম দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হন। শৈশবে কুফায় বসবাস করলেও পিতার মৃত্যুর পর তিনি দক্ষিণ আরবে স্বগোত্রে ফিরে আসেন। কুফায় বসবাসের সময় তিনি রসায়নশাস্ত্র গবেষণায় বিশেষ মনোযোগী হন। ওই পরিপ্রেক্ষিতে কুফায় একটি রসায়ন গবেষণাগারও প্রতিষ্ঠা করেন। মুসলিম ইতিহাসবিদরা ওই গবেষণাগারকে পৃথিবীর প্রথম রসায়নাগার বলে অভিহিত করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনিই প্রথম বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে রসায়নের প্রাথমিক প্রক্রিয়াগুলো চর্চা করার উপায় উদ্ভাবন করেন। রসায়নশাস্ত্রের পাশাপাশি তিনি চিকিৎসা, খনিজ পদার্থ বিশেষত পাথর, দর্শন, যুদ্ধবিদ্যা, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে অবদান রাখেন। তিনি প্রায় ২ হাজার বই রচনা করেন। এর মধ্যে চিকিৎসা বিষয়ে বই প্রায় ৫০০।

আল বাত্তানিঃ ৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত বাত্তান নামক স্থানে আল বাত্তানি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন অঙ্কশাস্ত্রবিদ ও জ্যোতির্বিদ। তিনিই সর্বপ্রথম নির্ভুল পরিমাপ করে দেখিয়েছিলেন যে, এক সৌর বছর ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে হয়। তিনি প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, সূর্যের আপাত ব্যাসার্ধ বাড়ে ও কমে। সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কেও তার বক্তব্য ছিল সুস্পষ্ট। আল বাত্তানি তার নিজস্ব উদ্ভাবিত যন্ত্র দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন যে সূর্য তার নিজস্ব কক্ষপথে গতিশীল।

এই মহান মনীষী ৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ৭২ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন। আল বাত্তানি ছিলেন একজন মশহুর জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ। তিনি জ্যোতির্বিদ্যাচর্চার জন্য নিজস্ব মানমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বহু বছর ধরে জ্যোতির্বিদ্যায় প্রচলিত ভুলগুলো সংশোধন করে এই শাখার অনেক সংস্কার ও উন্নতিসাধন করেন। পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তাকে উল্লেখ করেছেন ‘আল বাতেজনিয়াজ’, ‘আল বাতেজনি’, ‘আল বাতেনিয়াজ’ ইত্যাদি নামে। তাই তার পরিচয় অনেকটাই ইতিহাসে হারিয়ে যেতে বসেছে।

আল ফারাবিঃ বিজ্ঞানী ও দার্শনিক আল ফারাবির আসল নাম আবু নাসের মুহাম্মদ ইবনে ফারাখ আল ফারাবি। আল ফারাবির পিতা ছিলেন উচ্চশিক্ষিত ও সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন পারস্যের অধিবাসী। ইসলাম গ্রহণ ও রাজনৈতিক কারণে তার পূর্বপুরুষরা পারস্য ত্যাগ করে তুর্কিস্তানে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফারাবায়। সেখানে কয়েক বছর শিক্ষালাভের পর শিক্ষার উদ্দেশ্যে চলে যান বোখারায়। এর পর উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তিনি গমন করেন বাগদাদে। সেখানে তিনি সুদীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর অধ্যয়ন ও গবেষণা করেন। জ্ঞানের অন্বেষণে তিনি ছুটে গিয়েছেন দামেস্ক, মিসর এবং দেশ-বিদেশের আরও বহু স্থানে।

পদার্থবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তিশাস্ত্র, গণিতশাস্ত্র, চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রভৃতিতে তার অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে বিজ্ঞান ও দর্শনে তার অবদান ছিল সর্বাধিক। পদার্থবিজ্ঞানে তিনিই ‘শূন্যতার’ অবস্থান প্রমাণ করেছিলেন। দার্শনিক হিসেবে ছিলেন নিয় প্লেটনিস্টদের পর্যায়ে বিবেচিত।

ইবনুন নাফিসঃ চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আইনশাস্ত্রে তার অবদান অবিস্মরণীয়। ইবনুন নাফিস মানবদেহে রক্তসঞ্চালন পদ্ধতি, ফুসফুসের সঠিক গঠন পদ্ধতি, শ্বাসনালি, হৃৎপিণ্ড, শরীরে শিরা-উপশিরায় বায়ু ও রক্তের প্রবাহ ইত্যাদি সম্পর্কে বিশ্বের জ্ঞানভাণ্ডারকে অবহিত করেন।

তিনি মানবদেহে রক্ত চলাচল সম্পর্কে গ্যালেনের মতবাদের ভুল ধরিয়েছিলেন এবং এ সম্পর্কে নিজের মতবাদ সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন।

ইবনে হাইসামঃ প্রখ্যাত পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিদ, প্রকৌশলী, গণিতবিদ, চিকিৎসাবিদ, দার্শনিক, মনোবিজ্ঞানী, আবু আলী আল হাসান ইবনে আল হাসান আল ইবনে হাইসাম। তিনি বসরায় জন্মগ্রহণ করায় আল বসরি নামেও পরিচিত।

আলোকবিজ্ঞানে অসামান্য সংযোজন ‘কিতাবুল মানাজির’-এর ১৫-১৬ অধ্যায়ে জ্যোতির্বিদ্যার আলোচনা রেখেছেন। এ ছাড়া তার ‘মিজান আল-হিকমাহ’ এবং ‘মাককাল ফি দ্য আল-কামার’ গ্রন্থদ্বয়ে তিনি সর্বপ্রথম গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যা ও পদার্থবিদ্যার সমন্বয় সাধনের চেষ্টা চালান।

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ

error: Content is protected !!
Scroll to Top