দোয়ার বই সমূহ ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। আইনে রাসুল সাঃ দোআ অধ্যায় – আব্দুর রাযযক বিন ইউসুফ
২। আল কুরআনের দু আ – আবদুস শহীদ নাসিম
৩। আল্লাহর রাসূল সা. দৈনন্দিন জীবনে যে সব যিকির ও দু আ পড়তেন – মুহাম্মদ গোলাম
৪। কুরআন মজীদের দোয়া ও মোনাজাত ইতিহাস দর্শন ফজিলত – মোঃ শহীদুল্লাহ যুবাইর
৫। কুরআন হাদিস ও দু আঃ ৩৬৫ দিনের ডায়েরী – মোঃ রফিকুল ইসলাম
৬। কুরআনের আয়াত দ্বারা মোনাজাত ও ও ১০০ দোয়া – আবু তাহের বর্ধমানী
৭। দু’আ কবুলের শর্ত – মুহাম্মদ মুকাম্মাল হক
৮। দুআ ও যিকির – আব্দুল হামীদ আল মাদানী
৯। দুআ কবুলের গল্পগুলো – রাজিব হাসান
১০। দুআ নিয়ে দুয়ো – উলামায়ে কেরাম
১১। দুআ মুনাজাতঃ কখন কিভাবে – ফায়সাল বিন আলি আল বাদানী
১২। দুআ মুনাজাতে নবী রাসুলের অসীলা দেওয়াঃ একটি পর্যালোচনা – আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
১৩। দৈনন্দিন জীবনে যিকর ও দোয়া – মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান
১৪। দৈনন্দিন মাসনুন দোয়া ও মাসআলা মাসায়েল – আই সি এস পাবলিকেশন
১৫। দোআ মোনাজাতঃ কখন ও কিভাবে – ফায়সাল ইবন আলী আল বাদানী
১৬। দোয়া প্রসঙ্গ – আব্দুল্লাহ বিন আবদুর রহমান
১৭। দোয়ায়ে মাছনুন – মোঃ ছাখাওয়াত উল্লাহ
১৮। নামাযের দোআ ও যিকর – পশ্চিম দীরাহ ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার
১৯। পবিত্র আল-কুরআনের দু আ – মোঃ আব্দুর রহীম খান
২০। যিয়ারুল কুবুর বা কবর যিয়ারাত – ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ
২১। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সকাল-সন্ধ্যার দু’আ ও যিকর – শায়খ আহমাদুল্লাহ
২২। রাসূলুল্লাহর সাঃ নামায ও জরুরি দোয়া – মুহাম্মদ আব্দুল জলিল মিয়া
২৩। রাসূলুল্লাহর সাঃ মোনাজাত – দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
২৫। রাহে বেলায়াত ও রাসুলুল্লাহর সাঃ যিকির ওযীফা – ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
২৬। শব্দে শব্দে হিসনুল মুসলিম – সাঈদ বিন আলী বিন ওয়াহাফ আল কাহতানী
২৭। শরীয়াহ মানদণ্ডে মুনাজাত – মুযাফফার বিন মুহসিন
২৮। শুধু আল্লাহর কাছে চাই – মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম
২৯। সকাল সন্ধ্যার যিকির সমূহ – ইকবাল হোছেন মাছুম
৩০। সহীহ কিতাবুদ দোআ – মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম
৩১। সহীহ দোআ শিক্ষা – আবদুর রশীদ
৩২। সহীহ নামায ও দুআ শিক্ষা – মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ ইবনে ফযল
৩৩। সহীহ মাসনূন ওযীফা – ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
৩৪। হিসনুল মুসলিম – সাঈদ বিন আলী বিন ওয়াহাফ আল কাহতানী
দোয়া পরিচিতি
দোয়া শব্দের অর্থ আল্লাহকে ডাকা, কিছু চাওয়া, প্রার্থনা করা অর্থাৎ বিনয়ের সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনা করাই হল দোয়া। কুরআন হাদিসে দোয়াকে-ই ইবাদাত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো- আল্লাহ বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হবে। সুরা মু’মিন : আয়াত ৬০
এ আয়াতে মানুষকে পরকালের সৌভাগ্য অর্জনে ইবাদাতের প্রতি মনোযোগী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ দোয়ার শরয়ী এবং প্রকৃত অর্থ হলো ‘চাওয়া’। আর প্রয়োজন পূরণে আল্লাহর নিকট চাওয়াই ইবাদাত। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দোয়া-ই ইবাদত। (তিরমিজি)
তাইতো আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়া এবং তার নৈকট্য লাভ করা ব্যতিত দুনিয়ার উন্নতি ও পরকালের মুক্তি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিধায় আমাদেরকে দোয়া করার মাধ্যমে তাঁর সঠিক ইবাদাত করতে হবে। এই দোয়াকে আল্লাহ তাআলা ইবাদত হিসেবে অভিহীত করেছেন এবং সাহায্য লাভের মাধ্যম বানিয়েছেন। কারণ দোয়া বা ইবাদাত ছাড়া মানুষের মুক্তির কোনো উপায় নেই। পরিশেষে যেহেতু কুরআন-হাদিসে দোয়ার বিষয়ে বিশেষ তাগিদ দেয়া হয়েছে।
সেহেতু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নামাজ-রোজা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, বিপদ-মুসিবতসহ দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ এবং পরকালের সফলতা লাভে আল্লাহর নিকট দোয়া করা উচিত। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইহ ও পরকালীন সকল বিষয়ে আল্লাহ নিকট সাহায্য চাওয়ার তাওফিক দান করুন।
অসিলা সম্পর্কিত বইঃ
১। অলি আওলিয়াদের অসিলা গ্রহণঃ ইসলামী দৃষ্টিকোণ – আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
২। অসীলা গ্রহণঃ বৈধ ও অবৈধ পন্থা – আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল হামীদ আল আসারী
৩। অসীলার মর্ম ও বিধান – ড. সালিহ বিন সাদ আসসুহাইমী
৪। ইসলামী আদব ও দুআ শিক্ষা – মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী
৫। উসীলা গ্রহণঃ বৈধ ও অবৈধ পন্থা – আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল হামীদ আল-আসারী
৬। ওয়াসিলা – এ.কিউ.এম আবদুল হাকীম আল মাদানী
৭। বৈধ অবৈধ অসীলা – আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ আল জুহানী
৮। শাফায়ত ও উসিলা – মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
৯। শাফায়ত কুরআন হাদীসের আলোকে – মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম
১০। শাফায়াত মিলবে কি – মাসুদা সুলতানা রুমী
১১। শাফায়ত এবং শাফায়তকারীদের বর্ণনা – ইবরাহীম ইবন আবদিল্লাহ আল হাযেমী
ওসিলা পরিচিতি
আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায় ভালো আমলের মধ্য দিয়ে, দোয়ার মধ্য দিয়ে, আল্লাহর আসমা এবং সিফাতের ওসিলা দিয়ে আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়ার মধ্য দিয়ে। ওসিলা অর্জনের এই তিনটি স্বীকৃত পদ্ধতি ইসলামে আছে। যারা এখানে ওসিলার মানে বলছেন কোনো ব্যক্তিকে ধরা বা পীর ধরা, তাঁরা ওসিলার একটি ভুল অর্থ করেছেন যেটি কোনো বিশুদ্ধ তফসিরে আসেনি। ইবনে কাথিরে আসেনি, ফতহুল কাদিরে আসেনি, তবারিতে আসেনি, এ রকম নির্ভরযোগ্য যে বড় তফসিরগুলো আছে, সেগুলোর কোনোটিতেই আসেনি। ওইসব ব্যক্তি ওসিলার অর্থ করেছেন মাধ্যম, আল্লাহর কাছে মাধ্যম তালাশ করো অর্থাৎ লবিং। তাঁদের মতে এই লবিং বা মাধ্যম হচ্ছেন ওলি-আউলিয়ারা, পীর, বুজুর্গ, নবী, বিশেষ ব্যক্তি। কিন্তু এই ধারণাটি পুরোটাই ভুল। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘যখন তোমার কাছে আমার সম্পর্কে আমার কোনো বান্দা জিজ্ঞাসা করে, তাহলে জেনে রাখ, আমি তাঁদের খুবই কাছাকাছি। আমরা যখন নামাজ পড়ি, রোজা রাখি, ওমরা করি, হজ্ব করি, কোরবানি করি, সাদকা করি আমাদের কি কোনো মাধ্যম লাগে? এগুলো সবই তো আমরা আল্লাহর জন্য করি।
অতএব এর মাঝে কোনো মাধ্যম ইসলাম সমর্থন করে না। আরেকটি বিষয় বলি, যেটি নিয়ে এই ধারণাটি ভুল হয়েছে, সেটি হলো- আল্লাহর কাছে শাফায়াত করা। মানুষ মনে করে এই বুজুর্গ ব্যক্তি, আল্লাহর ওলি, আল্লাহর কাছে আমার জন্য শাফায়াত করবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাহর কাছে শাফায়াত করলেন, এটি আমি কীভাবে বুঝলাম? সুরা আল বাকারার আয়াতুল কুরসির মধ্যে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কে তাঁর কাছে শাফায়াত করবে?’ তার মানে শাফায়াত আমরা নির্ধারণ করতে পারব না, আমি আপনাকে বলতে পারব না যে, কেয়ামতের দিন আপনি আমার জন্য শাফায়াত করুন।
এই মধ্যস্বত্ব ভোগীদের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে বক্তব্য রয়েছে, ইহুদিদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘তোমরা তাঁদের মতো মধ্যস্বত্ব ভোগী হইয়ো না।’ আপনি যদি কোনো বুজুর্গের কাছে কিছু চাইতে চান তাহলে একটি জিনিসই চাইতে পারেন, সেটি হলো, যদি তিনি জীবিত থাকেন তাহলে আপনার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। কিন্তু সেই বুজুর্গ মৃত হলে আর তাঁর কাছে এটি চাওয়া যাবে না। যারা বুজুর্গ আছেন, জ্ঞানী আছেন, আলেম আছেন, তাঁদের কাছে আমরা দ্বীন শিখব এবং দোয়া চাইব, এর বেশি কিছু নয়, এ ক্ষেত্রে কোনো মধ্যস্বত্ত্বভোগী থাকবে না।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ