প্রস্তাবনা: মানুষের মৌলিক প্রশ্ন

মানুষের মনের গভীরে একটি অমোঘ জিজ্ঞাসা লুকিয়ে থাকে — এই দুনিয়ার জীবন কি একমাত্র জীবন? জন্ম-জীবন-মৃত্যুর যে এই নিয়ম, তার পর কি কিছু নেই, নাকি মৃত্যু কেবল শুরু মাত্র? এই প্রশ্নটি বৈশ্বিক ও অন্তর্জাগতিক: বিভিন্ন সভ্যতা, দর্শন ও ধর্মই এ প্রশ্নের কোনো না কোনো রূপে মুখোমুখি হয়েছে। এই নিবন্ধে আমরা যুক্তি, অভিজ্ঞতা ও ঐতিহাসিক সাক্ষ্য প্রয়োগ করে দেখব কেন পরকাল বা আখেরাতের অস্তিত্ব কেবল সম্ভাব্য নয় — বরং ন্যায্যতা, নৈতিকতা ও জীবনবোধের জন্য অপরিহার্য।

জীবন, মৃত্যু ও সময়ের অস্থায়ীতা

প্রত্যেক মানুষের জীবনের দৈর্ঘ্য আলাদা — কেউ কয়েক মুহূর্ত, কেউ কয়েক দফা বছর, কেউ শতাধিক বছর। জীবনের মধুরতা বা আঘাতের মাত্রা বিভিন্ন; কেউ জীবনে অগণিত আনন্দ ভোগ করে, কেউ সারাজীবন অত্যাচার ও নির্যাতনে কণ্ঠরুদ্ধ থাকে। কিন্তু মৃত্যু—সে এক অবশ্যম্ভাবী সত্য: ক্ষমতা, জায়গা, সম্মান, অর্থ—সবই ম্লান হয়ে যায়। দুনিয়া-অবসানে বহুবার দেখা গেছে যে ন্যায়ের প্রতিফল আমরা এখানে দেখে পাই না। অনেক সৎ ব্যক্তি নির্যাতিত হয়ে মারা যায়; অনেক দুর্বৃত্ত অপরাধী সুস্থৈ প্রকৃত জীবনে বিলাসিতা করে। এই বাস্তবতা থেকে প্রশ্ন জাগে—নির্দিষ্টভাবে যদি শেষ পর্যন্ত কেউ ন্যায় পায় না, তাহলে ন্যায়-আদায়ের আদর্শ কোথায় নিহিত?

দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরুন একজন শাসক শতশত মানুষ হত্যা করল; তাকে ধরে বিচার হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে মৃত্যুদন্ড। কিন্তু কি এক মৃত্যুদন্ডই যথেষ্ট হতে পারে শতাধিক জীব নাশ করার জন্য? একইভাবে, হাজার হাজার মানুষের মুক্তির জন্য অক্লান্ত ত্যাগকারী এক ব্যক্তিকে কি একমাত্র পদ্মপদক দিয়ে ন্যায় দেয়া যায়? এই ন্যায়-অপসৃয়ন দূর করার জন্যই পরকাল প্রয়োজনীয় একটা ব্যাখ্যা প্রদান করে: যেখানে সকল কাজের পূর্ণ হিসাব-নিকাশ ও সঠিক প্রতিদান হতে পারে।

অন্যায়, নিপীড়ন ও ন্যায়বিচারের প্রশ্ন

অন্যায়ের অনস্বীকার্য উপস্থিতি—এটাই হচ্ছে পরকালের ওপর আস্থা রাখার অন্যতম কারণ। ইতিহাসে বহু মহান ব্যক্তিকে তাদের জীবনকালে বিৎসনা ও নির্যাতনই পাওয়া গেছে: সত্য বলার কারণে গ্রেফতার, কাঁধে ওস্তাদ হিসেবে নিপীড়ন, গণহত্যার শিকার হওয়া। আবার অসৎ ও নির্দয় ব্যক্তিরা অনেক সময় দুনিয়ায় সাফল্য লাভ করে। এই সত্যিকারের জীবন-পরিচর্যার মধ্যে ন্যায়-অন্যায়ের সাক্ষ্য দিতে গেলে আমাদের লজিক বলে যে এক ‘মুত্তুল-পরিসমাপ্তি’ প্রয়োজন—একটি এমন ব্যবস্থা যেখানে কারণে-ফলে প্রণালী পুরোপুরি পূর্ণ হয়।

এখানে দুটি পথ সম্ভব: ১) মিথ্যাবাদী ধারণা যে শেষপর্যন্ত কিছু নেই — যার ফলে ন্যায়-অন্যায়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি ক্ষীণ; ২) পরকাল — যেখানে সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেক কাজের যথাযথ হিসাব রাখেন, দুর্বলকে প্রতিদান ও zulm নিরুপণ করা হয়। সুস্থ বিবেক ও ন্যায়ের চেতনা পরাকালের ধারণাটিকে যৌক্তিকভাবে সমর্থন করে।

জ্ঞান-সূত্র: ইন্দ্রিয় বনাম অহী

কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে আমাদের জানতে হয় আমরা কীভাবে জানতে পারি — জ্ঞানের উৎস কী? সাধারণত দুটি উৎস গণ্য: (ক) ইন্দ্রিয়ভিত্তিক বা অনুভবভিত্তিক জ্ঞান — যা পরীক্ষা, গবেষণা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে আসে, এবং (খ) অহী বা দান-বহিত জ্ঞান — যা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে নবী-রাসূলদের মাধ্যমে প্রেরিত হয়েছে।

ইন্দ্রিয়ভিত্তিক জ্ঞান বিজ্ঞানের শক্ত ভিত্তি; এটি বহু প্রশ্নের সমাধান দেয়। কিন্তু পরকাল সম্পর্কিত প্রশ্নটি ইন্দ্রিয়-পরীক্ষায় যাচাই করা যায় না—কেউ মৃত্যু-পরের জীবন ক্লান্ত দেহে ফিরে এসে প্রমাণ করতে পারে না। অতএব, ইন্দ্রিয়ভিত্তিক পন্থা থেকে “পরকাল নেই” বা “পরকাল আছে” দু’টিরই নিশ্চিত প্রমাণ দাবি করা বৈজ্ঞানিকভাবে যথার্থ নয়—শুধু এটুকুই বলা যায় যে ইন্দ্রিয়ভিত্তিকভাবে এই বিষয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে।

অন্যদিকে অহী — আল্লাহ্‌র প্রেরিত বাণী — মানুষের কাছে এমন তথ্য দিয়েছে যা ইন্দ্রিয়গত পরীক্ষা-পদ্ধতি ছাড়িয়ে যায়। মানব ইতিহাসে নবী-রাসূলদের সম্মিলিত রূপে যে পরকাল-বিষয়ক বাণী উদ্ভাসিত হয়েছে, তা একরকম, আন্তঃকালীন ও বহুভাষিকভাবে সঙ্গতিপূর্ণ। এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়: যদি বিভিন্ন যুগ ও জাতির নবী-রাসূল সবাই একই কথা বলেন, তবে সেটা কেবল ব্যক্তিগত মনগড়া ধারণা নয়; বরং একটিমাত্র উৎস — যা আমরা অহী বলি।

নবী-রাসূলদের ঘোষিত পরকাল: ঐক্য ও মূল বক্তব্য

ইসলাম, ক্রিশ্চিয়ানিটি, ইহুদি ধারা—এবং অন্যান্য বহু আসমানী ধর্মে পরকার সম্পর্কে মৌলিক একই ধারনা দেখা যায়: মৃত্যুর পরে পুনর্জীবন, হিসাব-নিকাশ, সৎকর্মীদের পুরস্কার ও দুশ্চরিত্রদের শাস্তি। ইসলামিক বর্ণনায় নবী-রাসূলেরা পরকালকে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন—কাইনোত্মক সত্বা, কিয়ামত, রিসালাত ও অন্যায়-সৎকর্মের পূর্ণ প্রতিদান।

এই ঐক্য কেবল সাংঘাতিক নয়; এটি জ্ঞানের ঐতিহ্যগত সঙ্গতি প্রমাণ করে। নবী-রাসূলরা বিভিন্ন যুগে ও ভিন্ন জাতির মানুষ ছিলেন — তাদের সম্মিলিত একরকম বাণী ইঙ্গিত করে যে তারা আল্লাহ্‌ প্রদত্ত অভ্রান্ত জ্ঞান পেয়েছিলেন। ফলে পরকালকে অস্বীকার করা কেবল ইন্দ্রিয়গত দাবিতে সীমাবদ্ধ থাকতে চাইলে যথার্থ যুক্তি গঠন করা সম্ভব নয়।

সম্ভাব্য আপত্তি ও তাদের প্রতিপাদ্য উত্তর

১) বৈজ্ঞানিক-অধিকারের আপত্তি

আপত্তি: বিজ্ঞান যদি কোনো ঘটনার প্রমাণ না খুঁজে পায়, সেটা অমান্য করা উচিত।

উত্তর: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ইন্দ্রিয়ভিত্তিক অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করে; কিন্তু এর বাইরেও এমন জ্ঞান থাকতে পারে যা ব্যক্তিগত প্রত্যক্ষ বা পরীক্ষার বাইরে। ‘আমি যা দেখিনি, তাই নেই’—এটি একধরনের সীমাবদ্ধ প্রাসঙ্গিক দাবি। ইতিহাসে বহু ঘটনাই ছিল যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছিল না, কিন্তু বর্ণনাদ্বারা ও সুসংগত সাক্ষ্য দ্বারা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। পরকাল-ঘটনাবলী অহীর মাধ্যমে বর্ণিত; এ কারণে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অস্বীকৃতি যুক্তি-সমৃদ্ধ নয়।

২) নৈতিক ন্যূনতমতা (Moral Minimalism)

আপত্তি: যদি পরকাল না থাকে তবে মানুষকে নৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার বাহন হারাবে—তাই কোন ন্যায্যতা কিংবা নৈতিকতা থাকবে না।

উত্তর: বাস্তবে নৈতিকতা ও সামাজিক নিয়ম অন্য অনেক উৎস থেকেও প্রতিষ্ঠিত হয়: সামাজিক চাহিদা, সহমর্মিতা, আইন-শাসন। কিন্তু পরকালের অনুপস্থিতি নৈতিকতাকে দুর্বল করে দেয়—কারণ চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশ ও সর্বসাধারণের ন্যায় কাম্য হিসেবে দাঁড়ায় না। ফলে সমাজে নৈতিক শৃঙ্খল অবক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৩) প্রশ্ন—কেন আল্লাহ এমন কঠোর বিচার করবেন?

উত্তর: ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ্‌ রহমতনীয় ও বিচারপ্রিয়। পরকালের উদ্দেশ্য কেবল শাস্তি নয়; তা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, পাপ-প্রকৃত অফোশ, ও সন্তানের আত্মার কল্যাণ। বিচার ও রহমতের মধ্যে ভারসাম্য আছে—এটাই কোরআন ও সুন্নাহর বার্তা।

পরাকালের বিশ্বাসের সামাজিক ও ব্যক্তিগত প্রভাব

পরকালে বিশ্বাস ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের আচরণ বদলে দেয়। ব্যক্তিগত পর্যায়ে — মানুষ লোভ, হিংসা ও আকেঞ্জ্জনা নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হয়; তিনি নিজের গোপন ও প্রকাশ্য কর্মের জন্য জবাবদিহি বোধ করে। সমাজে — দুর্বলদের রক্ষা, সহানুভূতি, বৈষম্যহ্রাস ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা পায়। ইতিহাস জানায় যে সমাজগুলো যেগুলো পরাকালের ধারণাকে এ মানসিকতা হিসেবে গ্রহণ করেছিল, স্থায়ী নৈতিক মূল্যবোধ ও জনকল্যাণের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পেরেছে।

অন্যদিকে, পরকাল অস্বীকার করে জীবনকে কেবল ভোগবাদী ও স্বার্থসাধনমুখী করা হলে তা নৈতিক অধঃপতনে ঠেলে দেয়। অতীতের অনেক সভ্যতা—যেমন কিছু দুর্বৃত্ত ও অত্যাচারী সাম্রাজ্য—পরকালের অস্বীকারের ফলশ্রুতিতে নৈতিক পতন ও প্রলয়ভূমি পেয়েছে বলে ইতিহাস ইঙ্গিত দেয়।

উপসংহার ও কোরআনিক সমর্থন

উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট: পরকাল কেবল একটি দার্শনিক অনুমান নয় — এটি ন্যায়বিচার, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও মানব বিবেকের যৌক্তিক দাবি। ইন্দ্রিয়ভিত্তিক জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ও নবী-রাসূলদের অভিন্ন বাণী মিলিয়ে পরকের প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা প্রমাণিত হয়। পরকালকে অস্বীকার করা মানে ন্যায়-চেতনা, সহানুভূতি ও সামাজিক নৈতিকতাকে দুর্বল করা।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন (অর্থসংক্ষেপে):

“তোমাদের সবাইকে তার দিকে ফিরে যেতে হবে; এটা আল্লাহর পাকাপোক্ত ওয়াদা… যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাদেরকে পূর্ণ ইনসাফসহ প্রতিদান দেওয়া হবে।” — (সূরা ইউনুস : আয়াতের আভিধানিক উদ্ধৃতি)

অতএব, আমাদের বিবেক, নৈতিক বোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা নির্দেশ করে যে পরকাল আছে এবং মৃত্যুর পরে সত্যিকারের হিসাব-নিকাশ হবে। এ বিশ্বাস ব্যক্তি ও সমাজকে নৈতিকভাবে সুশৃঙ্খল, অসত আচরণ থেকে বিরত ও দুর্বলদের প্রতি সহানুভূতিশীল করে।


📚 পরকাল বিষয়ক বইসমূহ

পরকাল বিষয়ক বই সরাসরি ডাউনলোড করতে নিচে  বইয়ের নামের উপর ☟ ক্লিক করুন।

১। আখিরাতের চিত্র – মুহাম্মদ খলিলুর রহমান মুমিন
২। আখিরাতের জীবনচিত্র – দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
৩। আখিরাতের শেষ সম্বল – বেগম সাজেদা সামাদ
৪। আখেরাত – ইমাম গাযযালী রহঃ
৫। আখেরাতের প্রস্তুতি – অধ্যাপক মফিজুর রহমান
৬। আখেরাতের সফলতা – এ কে এম নাজির আহমদ
৭। আরশের ছায়া – আবদুল হামীদ ফাইযী
৮। কিয়ামত দিনের প্রস্ততি – আল্লামা ইবনে হাজার আসকালিনী
৯। কিয়ামতের আলামত – আব্দুল্লাহ বিন শাহেদ
১০। কিয়ামতের আলামত – আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী
১১। কিয়ামতের আলমত – মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
১২। কিয়ামতের আলামত – হারুন ইয়াহইয়া
১৩। কিয়ামতের আলামত ও তার বর্ণনাঃ মৃত্যুর পর অন্নত যে জীবন – ইকবাল কিলানী
১৪। কিয়ামতের ছোটবড় নিদর্শন সমূহ – মোস্তাফিজুর রহমান
১৫। কিয়ামতের পরীক্ষা – মোহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবী
১৬। কিয়ামতের বর্ণনা – মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
১৭। কিয়ামতের ভয়াবহতা ও তারপর – আব্দুল মালেক আলি আল কুলাইব
১৮। কুরআন কিয়ামত পরকাল – মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন
১৯। কুরআন কোয়াসার শিঙ্গায় ফুৎকার – মুহাম্মাদ আনোয়ার হুসাইন
২০। কুরআন মহাবিশ্ব মহাধ্বংস – মুহাম্মাদ আনোয়ার হুসাইন
২১। কুরআন মহাবিশ্ব মূলতত্ত্ব – মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন
২২। কুরআনে আঁকা আখিরাতের ছবি – এ. বি. এম. এ. খালেক মজুমদার
২৩। কুরআনে কিয়ামত ও শেষ বিচার এবং জান্নাত ও জাহান্নামের চিত্র – মুহাম্মদ শামসুল হক চৌধুরী
২৪। জান্নাত ও জাহান্নম এর সংবাদ প্রাপ্ত নারী পুরুষগণ – জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
২৫। জান্নাত ও জাহান্নম কুরআনের আলোকে – ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া
২৬। জান্নাত ও জাহান্নাম – আব্দুর রহমান বিন শাঈদ বিন আলি বিন ওহাফ আল কাহতানী
২৭। জান্নাত জাহান্নাম – আব্দুল হামীদ ফাইযী আল মাদানী
২৮। জান্নাত লাভের উপায় – মোহাঃ ছিদ্দীকুর রহমান
২৯। জান্নাত লাভের সহজ আমল – দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
৩০। জান্নাতি রমণী – আব্দুল্লাহহেল আল কাফী
৩১। জান্নাতী ২০ রমণী – মুয়াল্লীমা মোরশেদা বেগম
৩২। জান্নাতে নারীদের অবস্থা – সুলাইমান ইবন সালেহ আল খরেশি
৩৩। জান্নাতের চিত্র – আবু মুসয়াব
৩৪। জান্নাতের পথ – আহছান উল্লাহ পাটোয়ারী
৩৫। জান্নাতের পথে – আবু আব্দির রহমান
৩৬। জান্নাতের প্রতি আগ্রহী ও জাহান্নাম থেকে পালায়নকারীর জন্য বিশেষ উপদেশ
৩৭। জান্নাতের বর্ণনা – মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
৩৮। জাহান্নমের চিত্র – আবু মুসয়াব
৩৯। জাহান্নামের বর্ণনা – মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
৪০। জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব – শরীফুল ইসলাম বিন জয়নাল আবেদীন
৪১। জীবন মৃত্যু পরকাল ও আত্মার হালচাল – আব্দুল মতিন জালালাবাদী
৪২। দোযখের আযাব ও বেহেশতের সুখ শান্তি – জালালউদ্দিন আব্দুর রহমান সূয়ুতি
৪৩। পরকাল – ড.মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী
৪৪। পরকালের পাথেয় আমলে নাজাত – মোঃ রফিকুল ইসলাম
৪৫। পরকালের পাসপোর্ট – মোঃ জিল্লুর রহমান হাশেমী
৪৬। পরকালের প্রস্তুতি – নূর আয়েশা সিদ্দিকা
৪৭। পরকালের সম্বল – শরফুদ্দীন আহমদ ইয়াহইয়া মানিরী
৪৮। বারযাখী জীবন – খালেদ ইবন আব্দুর রহমান
৪৯। বিশ্ব যখন ধ্বংস হবে – ড. মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল আরিফী
৫০। মরনের পরে কি হবে বা দোযখের আযাব ও বেহেশতের সুখ শান্তি — জালালউদ্দিন আব্দুর রহমান
৫১। মহা প্রলয় — ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আরিফী
৫২। মৃত্যু চিন্তা — ইমাম গাযযালী
৫৩। মৃত্যু যবানীকার ওপারে — আব্বাস আলি খান
৫৪। মৃত্যুর অন্তরালে — আশেকে ইলাহী বুলন্দশহরী
৫৫। মৃত্যুর ওপারে — তারিক জামিল
৫৬। মৃত্যুর পরে অনন্ত জীবন — মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
৫৭। যা হবে মরনের পরে — আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানি
৫৮। যুক্তির কষ্টিপাথরে পরকাল — খন্দকার আবুল খায়ের
৫৯। রাসূল সাঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণানা দিলেন যেভাবে — মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
৬০। শেষ ঘন্টা — সৈয়দ শাহ আবদুল মুগনী
৬১। শেষ দিবস — ইসলাম প্রচার ব্যুরো রাবওয়া রিয়াদ
৬২। সহীহ সুন্নাহর আলোকে জান্নাতের বৈশিষ্ট্য — ওয়াহিদ ইবন আবদিস সালাম বালী

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ