📜 শব্দার্থে আল কুরআনুল মজীদ (১০ খণ্ড) — শব্দে শব্দে কুরআন বোঝার এক অমূল্য দিগন্ত
রচয়িতা: মতিউর রহমান খান

“শব্দার্থে আল কুরআনুল মজীদ” হলো প্রখ্যাত অনুবাদক মতিউর রহমান খান রচিত এক অনন্য সাধনার ফল, যা বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের জন্য শব্দে শব্দে কুরআন বোঝার এক অমূল্য দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই অনুবাদ তাদের জন্য, যারা কুরআনের অর্থ এবং ভাব বুঝে নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে চান। বিশ্বজুড়ে শব্দে শব্দে অনুবাদ জনপ্রিয় হলেও বাংলায় পূর্ণাঙ্গ প্রচেষ্টা ছিল অপ্রতুল। সেই ঘাটতি পূরণ করেছে এই বিশাল ও ঐতিহাসিক অবদান, যা ১০টি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। এই গ্রন্থে প্রতিটি আরবি শব্দের সঙ্গে তার যথাযথ বাংলা অর্থ পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে, ফলে পাঠক একই সঙ্গে কুরআনের শব্দার্থ, গঠন ও ভাবসম্প্রসারণ—তিনটি স্তরেই উপকৃত হন। এটি শুধু অনুবাদ নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষণপদ্ধতি।
ইতিহাস, প্রেরণা ও অনুবাদ কৌশল
মতিউর রহমান খান দীর্ঘ গবেষণা ও কুরআন শিক্ষার অভিজ্ঞতার আলোকে এই বিশাল অনুবাদ প্রকল্পটি সম্পন্ন করেন। তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল — যেন সাধারণ মুসলমানও কুরআনের প্রতিটি শব্দের সঠিক অর্থ অনুধাবন করতে পারে এবং কুরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য অনুভব করতে পারে। তিনি আরবি ভাষার গঠন, ব্যাকরণ, শব্দমূল ও প্রাসঙ্গিক অর্থের প্রতি বিশেষ মনোযোগ রেখে অনুবাদটি সম্পাদনা করেন। এটি কোনো একক প্রচেষ্টা নয়; বরং দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা, অধ্যবসায় এবং দ্বীনি দায়বদ্ধতার ফসল। এই অনুবাদ পাঠকের কুরআন বোঝার দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
রচয়িতার উদ্দেশ্য: “যেন সাধারণ মুসলমান কুরআনের প্রতিটি শব্দের সঠিক অর্থ অনুধাবন করতে পারে।”
গ্রন্থের বিষয়বস্তু ও বিন্যাস
“শব্দার্থে আল কুরআনুল মজীদ” বইটি মোট ১০টি খণ্ডে বিভক্ত। প্রতিটি খণ্ডে নির্দিষ্ট সংখ্যক সূরা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে ক্রমান্বয়ে পাঠ করলে পুরো কুরআনের শব্দার্থিক অর্থ ও দার্শনিক গঠন সহজে বোঝা যায়।
গ্রন্থের কাঠামো নিম্নরূপভাবে সাজানো হয়েছে:
- প্রতিটি আয়াতের নিচে সরাসরি শব্দে শব্দে বাংলা অনুবাদ।
- আয়াতের সার্বিক অর্থ বোঝাতে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা।
- ভাষাগত নির্দেশনা ও গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বিশ্লেষণ।
- প্রতিটি খণ্ডের শেষে সূরা-ভিত্তিক সারসংক্ষেপ ও পর্যালোচনা।
শিক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ও পাঠক সুবিধা
লেখক বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন যে, পাঠক যেন এই গ্রন্থটি অধ্যয়নের মাধ্যমে কুরআনের ভাষাগত গভীরতা অনুধাবন করতে পারেন এবং আধ্যাত্মিক অর্থও মনের মধ্যে গভীরভাবে গেঁথে যায়। এই সিরিজের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
- আরবি শব্দ ও বাংলা অর্থ পাশাপাশি সাজানো — পাঠক সরাসরি শব্দার্থ বুঝতে পারেন।
- সহজ ভাষা, স্পষ্ট উচ্চারণ ও দার্শনিক ব্যাখ্যার ভারসাম্য রক্ষা।
- পাঠক যেন নিজে অনুবাদ অনুশীলন করতে পারেন — সেই দিকেও দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে।
- এটি শুধু পাঠ নয়, বরং অনুধাবন ও বাস্তব প্রয়োগের দিকেও নিয়ে যায়।
হাদীস: “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে কুরআন শিখে এবং শেখায়।” — (বুখারী)
কারা পড়বেন এই অমূল্য সিরিজ?
যারা কুরআন পড়ার পাশাপাশি বুঝতে চান, এই সিরিজটি তাদের জন্য অপরিহার্য। এটি বিশেষভাবে উপযোগী:
- যেসব পাঠক আরবি না জেনেও আয়াতের শব্দার্থ অনুধাবন করতে চান।
- শিক্ষক বা ছাত্র যারা কুরআন তাফসীর বা অনুবাদ বিষয়ক ক্লাস পরিচালনা করেন।
- তরুণ প্রজন্ম যারা কুরআন অধ্যয়নে আগ্রহী কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবেন বুঝে উঠতে পারেন না।
- গবেষক ও পাঠক যারা কুরআনের ব্যাকরণ, দার্শনিক প্রেক্ষাপট ও শব্দবিন্যাসে আগ্রহী।
লেখক মনে করেন — এটি কুরআনের “শব্দ-ভিত্তিক শিক্ষার” এক অসাধারণ সুযোগ যা পাঠকের আত্মশুদ্ধি ও দ্বীনি জ্ঞানার্জনে সহায়ক হবে।
ব্যবহারিক পরামর্শ ও উপযোগিতা
“শব্দার্থে আল কুরআনুল মজীদ” ইসলামি জ্ঞানার্জনে আগ্রহী সকল পাঠকের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এই গ্রন্থ পাঠের সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো — প্রতিদিন অল্প অল্প অংশ পাঠ করে শব্দার্থ ও অর্থের মধ্যে সম্পর্ক অনুধাবন করা। এটি ইসলামি শিক্ষার প্রচার-প্রসারে এক মূল্যবান সম্পদ এবং পারিবারিক লাইব্রেরির জন্যও এক অপরিহার্য সংযোজন।
পরামর্শ: “পাঠের সময় আরবি শব্দ, বাংলা অর্থ ও প্রেক্ষাপট মিলিয়ে ভাবলে কুরআন অনুধাবনের নতুন এক অনুভূতি তৈরি হয়।”
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
এই বইটি কুরআন অনুধাবন ও বাস্তব প্রয়োগের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
মতিউর রহমান খান কর্তৃক রচিত “শব্দার্থে আল কুরআনুল মজীদ” pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে খণ্ডগুলোর নামের উপর ক্লিক করুন।




