📜 তাফসীরে সাঈদী — আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রচিত কুরআনের দার্শনিক ও ব্যবহারিক ব্যাখ্যা
রচয়িতা: আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

“তাফসীরে সাঈদী” — প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও মুফাসসির **আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী** রচিত এক অনন্য কীর্তি, যা বাংলা ভাষায় কুরআনের তাফসীর সাহিত্যকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। এই তাফসীর গ্রন্থকে বলা যায়—আল্লামা সাঈদীর সুবিশাল জ্ঞানভাণ্ডারের সুশৃঙ্খল নির্যাস। সূরা আল ফাতিহা দিয়ে শুরু হওয়া এই গ্রন্থে যে গভীর তাফসীর লিখেছেন, তা তাঁরই মতো এক তাফসীরকারের উপযুক্ত কাজ। এতে কুরআনের প্রতিটি আয়াতের ভাষাগত সৌন্দর্য, দার্শনিক বিশ্লেষণ ও আধ্যাত্মিক মর্মার্থ সহজভাবে পাঠকের হৃদয়ে পৌঁছে যায়। এটি একটি পথপ্রদর্শক গ্রন্থ যা পাঠককে কুরআনের মর্মার্থে প্রেমমুগ্ধ করে তোলে।
রচনার ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী প্রায় চার দশক ধরে বিশ্বজুড়ে কুরআনের আলো ছড়িয়ে আসছেন। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অসংখ্য শহরে তাঁর কণ্ঠে কুরআনের তাফসীর শুনেছেন লক্ষ কোটি মানুষ। তাঁর তাফসীর মাহফিলের অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিং বহু বছর ধরে প্রচলিত। সেই মৌখিক ব্যাখ্যাগুলোরই লিখিত রূপ হলো “তাফসীরে সাঈদী”—যেখানে তাঁর সুললিত বক্তব্য ও ব্যাখ্যা পেয়েছে সাহিত্যিক ও গবেষণামূলক রূপ। এই বইটি যেন তাঁর কণ্ঠেরই আরেক অভিব্যক্তি।
লেখকের উক্তি: “মানুষ যা মুখস্থ রাখে তা হারিয়ে যায়, কিন্তু যা লিখে রাখে তা চিরস্থায়ী হয়।”
গ্রন্থের বিষয়বস্তু ও বিন্যাস
প্রতিটি খণ্ডে সূরার প্রেক্ষাপট, আয়াতভিত্তিক তাফসীর ও প্রাসঙ্গিক হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে। লেখক আয়াতের অর্থ বোঝাতে শুধু ভাষাগত নয়, দার্শনিক ও ঐতিহাসিক বিশ্লেষণও যুক্ত করেছেন।
এই তাফসীরের মূল বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে:
- কুরআনের প্রতিটি আয়াতের প্রেক্ষাপট ও লক্ষ্য।
- আয়াতের শব্দচয়ন, ব্যাকরণ ও রূপগত বিশ্লেষণ।
- তাফসীরের মাধ্যমে নৈতিকতা, সমাজবোধ ও মানবজীবনের পথনির্দেশ।
- আধুনিক যুগের বিজ্ঞান ও যুক্তিনির্ভর প্রশ্নের ইসলামী ব্যাখ্যা।
তাফসীরের অনন্য বৈশিষ্ট্য
লেখক বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন যে, এই তাফসীর শুধু ব্যাখ্যা নয়, বরং চিন্তার দিকনির্দেশনা। পাঠক যেন মনে করেন, মোফাসসির নিজে তাঁর সামনে বসে কুরআনের দরস দিচ্ছেন।
তাফসীরের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
- সহজ ভাষায় গভীর তাফসীর — পাঠক ও গবেষক উভয়ের জন্য উপযোগী।
- ইতিহাস ও বর্তমান বাস্তবতার সমন্বয়ে বিশ্লেষণ।
- প্রতিটি সূরার মর্মার্থ আধ্যাত্মিক ও নৈতিক আলোকে ব্যাখ্যা।
- লেখকের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও তাফসীর চর্চার প্রতিফলন।
তুলনা: “যেমন প্রাচীন কালে ‘তাফসীরে তাবারী’ ছিল যুগের চাহিদা পূরণকারী, তেমনি আধুনিক যুগের ইসলামী চিন্তার আলোকে ‘তাফসীরে সাঈদী’ও আজকের প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শক।”
কেন পড়বেন এই গ্রন্থটি?
যারা কুরআনের গভীর অর্থ বুঝতে চান এবং কীভাবে কুরআনের আয়াত আধুনিক জীবনের প্রতিটি স্তরে প্রাসঙ্গিক তা জানতে চান, তাদের জন্য “তাফসীরে সাঈদী” এক অমূল্য সম্পদ।
- কুরআনের গভীর অর্থ ও দার্শনিক বিশ্লেষণ জানতে।
- আধুনিক জীবনের প্রেক্ষাপটে কুরআনের প্রাসঙ্গিকতা অনুধাবন করতে।
- নৈতিকতা, সমাজবোধ ও মানবজীবনের পথনির্দেশ পেতে।
লেখক মনে করেন — শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আলেম, গবেষক ও সাধারণ পাঠক—সবার জন্যই এটি এক শিক্ষণীয় ভাণ্ডার।
সাহিত্যিক গুরুত্ব ও ব্যবহারিক সুপারিশ
এই তাফসীরের প্রতিটি অধ্যায় শুধু ধর্মীয় জ্ঞান নয়, বরং চিন্তা-দর্শনের এক নবজাগরণ। লেখক তাঁর ভাষায় ইতিহাসকে জীবন্ত করেছেন, ফলে কুরআনের ঘটনাগুলো কেবল অতীত নয়—বরং এক চলমান বাস্তবতা হয়ে ওঠে।
ব্যবহারিক সুপারিশ: “পাঠক যদি প্রতিটি আয়াতের ভাবার্থ গভীরভাবে চিন্তা করেন, তবে তিনি কুরআনের দিকনির্দেশনা জীবনযাপনে প্রয়োগ করতে পারবেন।”
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
এই বইটি ইসলামি শিক্ষার প্রচার-প্রসারে এক মূল্যবান সম্পদ। এটি পারিবারিক লাইব্রেরির জন্যও এক অপরিহার্য সংযোজন।
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রচিত “তাফসীরে সাঈদী” pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে খণ্ডগুলোর নামের উপর ক্লিক করুন।




