উত্তম বন্ধু কেমন হবে

উত্তম বন্ধু কেমন হবে

‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।’ — বন্ধুত্ব মানুষের চরিত্রের আরেক আয়না; ইসলামে বন্ধু নির্বাচনে রয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।

বন্ধুত্বের মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব, রুচি এবং নৈতিকতা প্রকাশ পায়। ইসলামী দৃষ্টিতে যে বন্ধুত্ব আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও ঈমানকে দৃঢ় করে — সেটিই সর্বোত্তম। অন্যদিকে স্বার্থপরতা, পরিস্থিতি বা সামাজিক পরিচয়ের কারণে গড়ে ওঠা সম্পর্ক অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

‘যে ব্যক্তি কাউকে ভালোবাসলো, তো আল্লাহর জন্যই ভালোবাসলো, কাউকে ঘৃণা করল তো আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করল, কাউকে কিছু দিল তো আল্লাহর জন্যই দিল … তবে সে তার ঈমানকে পূর্ণ করল।’
— (মিশকাত শরীফ)

ইসলামের দৃষ্টিতে উপযুক্ত লোকদের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করা উচিত এবং সেই বন্ধুত্ব সারাজীবন অটুট রাখার চেষ্টা করা উচিৎ। প্রকৃত বন্ধুত্ব জীবনের একান্ত সহায়ক, যা মনের উন্নতি ও হেদায়াত ঘটায়।

  • ঈমানদার ও ধর্মপ্রাণ হওয়া
  • সত্যবাদী এবং সদাচারী
  • নীতিবদ্ধ ও বিবেকবান — ভুল-ত্রুটি থেকে টেনে নেওয়া
  • অনৈতিকতা ও আত্মম্ভরিতা থেকে দূরে থাকা
  • সহমর্মী, বিনয়ী ও সম্পর্ক রক্ষায় সক্রিয়

বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে দুর্নীতিবোধ, মুনাফেকি বা আত্মকেন্দ্রিক আচরণ বন্ধুত্বকে ক্ষয় করে। বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, দয়া-প্রদর্শন, সামাজিক সৌজন্য বজায় রাখা এবং কাউকে ছোট করে না দেখানো — এগুলো বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখে।

প্রকৃত বন্ধুর দায়িত্ব: বন্ধুকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা, সৎ কাজে উৎসাহ দেয়া, বিবাদ হলে সম্পর্ক মেরামত করার পদক্ষেপ নেওয়া—এগুলো প্রকৃত বন্ধুর মৌলিক কর্তব্য।

হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: ‘একাকী নিঃসঙ্গতার চেয়ে ভালো বন্ধু উত্তম আর নিঃসঙ্গতা মন্দ বন্ধুর চেয়ে উত্তম।’ অর্থাৎ, যদি ভালো বন্ধু না থাকে, তবুও মন্দ বন্ধু থাকা থেকেই নিরবে থাকা বেশি ভালো।

সংক্ষেপে — বন্ধুত্ব এমনভাবে বেছে নিন যে তা আপনার ঈমান ও চরিত্রকে সমৃদ্ধ করে; বন্ধুত্ব শুধুমাত্র সামাজিক সুবিধা বা স্বার্থের জন্য নয়, বরং পরস্পরের নৈতিক উন্নয়নের জন্য হওয়া উচিৎ।

আবার ভিজিট করবেন!!! ধন্যবাদ

error: Content is protected !!
Scroll to Top