হিন্দু ধর্মের বই: hindu religious books in Bengali

১। ঈশকেন কঠৌপিনষৎ ১ম খণ্ড

১। অষ্টাদশপুরাণম্

১০১। শিব সংহিতাঃ যোগশাস্ত্র ২য় খণ্ড
১০২। শূদ্রের পূজা ও বেদাধীকার – শ্রীযুক্ত বনমালী বেদান্ততীর্থ
১০৩। শ্রী গৌড়াঙ্গ প্রভুর লীলা বর্ণনা – শিশির কুমার ঘোষ
১০৪। শ্রীঅরবিন্দের মূল বাঙ্গলা রচনাবলী
১০৫। শ্রী চৈতন্যচরিতামৃত ১ম খণ্ড – কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী
১০৬। শ্রী চৈতন্যচরিতামৃত ২য় খণ্ড – কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী
✹ শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত একত্রে.zip
১০৭। শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত ১ম খণ্ড
১০৮। শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত ২য় খণ্ড
১০৯। শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত ৩য় খণ্ড
১১০। শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত ৪র্থ খণ্ড
১১১। শ্রীভক্তিসন্দর্ভ – পণ্ডিত রাধারমন গোস্বামী ও শ্রী কৃষ্ণগোপাল
১১২। শ্রীশ্রীগয়ামাহাত্ম্য – শ্রীনন্দকুমার কবিরত্ন ভট্টচার্য্য
১১৩। শ্রীশ্রীতারকেশ্বর মাহাত্ম বা শিব-সংকীর্ত্তণ – শ্রীপ্রাণবল্লভ মুখোপাধ্যায়
১১৪। সত্য সনাতন ধর্ম – শ্রীগিরিশচন্দ্র দাস
১১৫। সত্যার্থ প্রকাশ – মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী
১১৬। সনাতন – শ্রীবিজয় মানষ মণ্ডল
১১৭। সার নিত্য ক্রিয়া – স্বামী শিবনারায়ণ
১১৮। সিদ্ধান্তসার – বিহারীলাল সরকার
১১৯। সীতা – শ্রীঅবিনাশ চন্দ্র দাস
১২০। সীতা – শ্রীযোগীন্দ্রনাথ বসু
১২১। হিতোপদেশ – শ্রীবিষ্ণূ শর্মা
১২২। হিন্দু ধর্ম – ক্ষিতিমোহন সেন
১২৩। হিন্দু ধর্ম ১ম খণ্ড
১২৪। হিন্দু ধর্ম ২য় খণ্ড
১২৬। হিন্দু ধর্ম মর্ম – শ্রীযুত লোকনাথ বসু
১২৭। হিন্দু ধর্মতত্ত্ব – শ্রীরাখালদাস মুখোপাধ্যায়
১২৮। হিন্দু ধর্মনীতি – শ্রীঈশ্বানচন্দ্র বসু
১২৯। হিন্দুদের দেবদেবীর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ – হংসনারায়ন ভট্রাচার্য
১৩০। হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ – স্বামী বিবেকানন্দ
.

হিন্দু ধর্ম পরিচিতিঃ

বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মের কথা বললে হিন্দু ধর্মকেই উল্লেখ করা হয়। তবে জন্মলগ্ন থেকেই এর নাম হিন্দু ধর্ম ছিল না। এর প্রাচীন নাম সনাতন ধর্ম। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এদেশে হিন্দু ধর্ম কোনও একজন ব্যক্তির মতাদর্শের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠেনি। ভারতের ভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মতাদর্শ নিয়েই জন্ম নিয়েছে এই ধর্ম।

খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৫০০-এর মধ্যের সময়টি পরিচিত বৈদিক যুগ নামে। সেই যুগের পর অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হিন্দুত্বের জন্ম হয়। যে ধর্মের মানুষের মূল কথা, বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে যা যা রয়েছে, সেসবের মূলেই ঈশ্বর। ধর্ম, অর্থ, কর্ম ও মুক্তিতেই বিশ্বাসী এই ধর্মাবলম্বীরা। তাঁদের বিশ্বাস, ভগবানের অস্তিত্বেই সবকিছুর অস্তিত্ব। এদিকে ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্য জাতিরা ইউরোপের মধ্যে দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এবং তারাই ভারতে বেদ চর্চা শুরু করে। ধীরে ধীরে গোটা ভারতে তা ছড়িয়ে পড়ে।

এবার প্রশ্ন হল, হিন্দু শব্দটি কোথা থেকে এল? অনেকের মতে, আফগানদের থেকে এই শব্দটি শুনেছিল আর্যরা। কারণ সিন্ধু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু-সন্ন্যাসীদের হিন্দু বলে উল্লেখ করা হত। আর সেখান থেকেই নামটি প্রচলিত হয়ে ওঠে। এই সনাতন ধর্মের সন্ন্যাসীরাই বেদ, উপনিষদ, ভগবত গীতা শ্রুতিবদ্ধ করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। সেই যুগে বেদের নিয়ম মেনেই সমাজের বিভিন্ন কাজ করা হয়। চিকিৎসা, সমাজ চালনা, গণনার মতো কাজগুলি যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। যে সভ্যতা বৈদিক সভ্যতা হিসেবে পরিচিত। আর্য জাতির লোকেরা মূলত চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র। কাজের ভিত্তিতেই সম্প্রদায় ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে যা হিন্দু সমাজের রীতিতে পরিণত হয়েছে।

সেই সময় কোনও মূর্তি পুজোর চল ছিল না। ছিল না কোনও মন্দিরও। ইন্দ্র, বরুণ, অগ্নি এবং সোম, এই দেবতারা যজ্ঞ এবং বেদ পাঠের মধ্য দিয়ে পূজিত হতেন। যে কোনও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে যজ্ঞ করা আবশ্যক ছিল। এর অনেক পরে রামায়ণ ও মহাভারত প্রথমে শ্রুতিবদ্ধ এবং পরে লিপিবদ্ধ হয়। বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম এটি। গোটা বিশ্বের ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ভারতের পাশাপাশি নেপাল এবং মরিশাস ও ইন্দোনেশিয়াতেও এর বিস্তৃতি রয়েছে।

[বিঃ দঃ – বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রাচীন হওয়ার কারণে, তার সম্পূর্ণ খন্ড  গুলি সংগ্রহ করতে সম্ভব না হওয়াতেই, পরস্পর অসামঞ্জস্য থেকে যাওয়ায় আমরা দুঃখিত।]

আবার ভিজিট করবেন ধন্যবাদ !!!