ইসলামী সমাজ বিষয়ক বই: Books on Islamic Society

প্রস্তাবনা

মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সামাজিক জীব। একসাথে মিলে মিশে বসবাস করাই তার প্রকৃত স্বভাব।
এই প্রাকৃতিক সত্যকে সামনে রেখে ইসলাম একটি আদর্শ সমাজব্যবস্থার কথা বলে,
যা মানুষের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে।

“মানুষ ছিল একই উম্মাত। পরে তারা মতভেদ সৃষ্টি করলো।” (সূরা ইউনুস : ১৯)

ইসলামের মতে, পৃথিবীতে সব মানুষই হযরত আদম (আ.)-এর সন্তান এবং মাটি হতে সৃষ্ট।
তাই এখানে জাতি, বর্ণ, ভাষা বা সম্পদের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য নেই।
ইসলামী সমাজ গড়ে উঠেছে সমতা, ন্যায় ও ভ্রাতৃত্বের মূলনীতির ওপর।

প্রারম্ভিক জীবন ও উৎপত্তি

মানব সমাজের ইতিহাসের শুরু থেকেই মানুষ সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করেছে।
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেন:

“হে মানব জাতি! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী হতে সৃষ্টি করেছি।
তারপর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পারো।
আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান সেই ব্যক্তি যে সর্বাধিক মুত্তাকী।” (সূরা আল-হুজুরাত : ১৩)

এই আয়াত প্রমাণ করে—ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে মানবতার ভিত্তিতে,
বিভাজনের ভিত্তিতে নয়। মূলত মানুষ এক উম্মত হিসেবেই পৃথিবীতে এসেছে।

শিক্ষাজীবন – ইসলামী সমাজ থেকে শিক্ষণীয় দিক

ইসলামী সমাজ প্রত্যেক সদস্যকে শিক্ষা দেয় যে জীবন শুধু দুনিয়ার ভোগ-বিলাসের জন্য নয়,
বরং ন্যায়নীতি, ভ্রাতৃত্ব ও আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া আবশ্যক।

  • ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও অন্যায় প্রতিরোধ।
  • মানবতার ভিত্তিতে একে অপরকে সম্মান করা।
  • সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা প্রদান।
  • আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর হক আদায়।

নবী করীম (সঃ) বলেছেন:

“তোমরা অবশ্যই সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখবে।
অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের উপর নিকৃষ্টতম লোককে শাসক করে দেবেন।” (তাবারানী)

কর্মজীবন – ইসলামী সমাজে বাস্তব প্রয়োগ

ইসলামী সমাজ শুধু তাত্ত্বিক আলোচনায় সীমাবদ্ধ নয়।
এটি বাস্তব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকর।
ইসলামী সমাজে মানুষের কর্মকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি

কুরআনের ঘোষণা:

“বলুন, আমার নামায, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য।” (সূরা আন‘আম : ১৬২)

সুতরাং একজন মুসলিমের কর্মজীবন আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হতে হবে।
এভাবেই সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়।

রচনাবলী – কুরআন ও হাদীসে ইসলামী সমাজ

ইসলামী সমাজ নিয়ে অসংখ্য আয়াত ও হাদীস পাওয়া যায়।
যেমন রাসূল (সঃ) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ভালবাসে, আল্লাহর জন্য ঘৃণা করে,
আল্লাহর জন্য দান করে এবং আল্লাহর জন্য বিরত থাকে –
সে ব্যক্তি ঈমানের পূর্ণতা লাভ করেছে।” (সহীহ বুখারী)

অন্য এক হাদীসে এসেছে:

“মুসলমানরা একটি দেহের ন্যায়।
শরীরের একটি অঙ্গ অসুস্থ হলে পুরো শরীর কষ্ট পায়।” (সহীহ মুসলিম)

চিন্তাধারা – ইসলামী সমাজের দর্শন ও মূলনীতি

ইসলামী সমাজব্যবস্থা কিছু মূলনীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে:

  1. তাওহীদ: আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস।
  2. রিসালাত: হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে চূড়ান্ত নেতা ও আদর্শ হিসেবে মানা।
  3. কুরআন ও সুন্নাহ: সমাজের আইন-কানুনের মাপকাঠি।
  4. ন্যায় ও সাম্য: বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা।
  5. ভ্রাতৃত্ব: মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি।

আল্লাহ বলেন:

“তোমরা আল্লাহর রশি দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং বিভক্ত হয়ো না।” (সূরা আলে-ইমরান : ১০৩)

প্রভাব – ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ইসলামী সমাজের প্রভাব

ইসলামী সমাজব্যবস্থা মানুষের জীবনে বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলে:

  • আধ্যাত্মিক প্রভাব: আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
  • নৈতিক প্রভাব: ন্যায়নীতি, সততা ও সৎকর্মের অনুশীলন হয়।
  • সামাজিক প্রভাব: সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • অর্থনৈতিক প্রভাব: সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়।

ইসলামী সমাজ মানুষকে পারস্পরিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করে।
রাসূল (সঃ) বলেছেন:

“তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে।” (বুখারী, মুসলিম)

মৃত্যু ও আখিরাতের দৃষ্টিতে ইসলামী সমাজ

ইসলামী সমাজ শুধু দুনিয়াবি কল্যাণ নিশ্চিত করে না, বরং আখিরাতের কল্যাণও কামনা করে।
কুরআনে বলা হয়েছে:

“হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং আখিরাতে কল্যাণ দাও।” (সূরা আল-বাকারা : ২০১)

তাই ইসলামী সমাজব্যবস্থার উদ্দেশ্য হলো দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ের সাফল্য নিশ্চিত করা।

উপসংহার

সারসংক্ষেপে বলা যায়, ইসলামী সমাজ একটি পূর্ণাঙ্গ আদর্শ সমাজব্যবস্থা
এটি মানুষের সার্বিক উন্নয়ন, ন্যায়নীতি, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে।
এ সমাজ ছাড়া ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
তাই প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য হলো—ইসলামী সমাজের নীতিমালা মেনে চলা
এবং সমাজে কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা।


📚 ইসলামী সমাজ বিষয়ক বইসমূহ

ইসলামী সমাজ বিষয়ক বই সরাসরি ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ☟ ক্লিক করুন।

বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।

১। অধঃপতনের অতল তলে — আবু তাহের বর্ধমানী
২। অমুসলিম সমাজ বা পরিবারে মানুষের অজানা মু’মিন ও বেহেশতী ব্যাক্তি আছে কিনা — মোঃ মতিয়ার রহমান
৩। আদর্শ সমাজ গঠনে সুরা মাউন এর শিক্ষা — ইমামুদ্দিন বিন আব্দুল বাছীর
৪। আদাবুল মুআশারাতঃ ইসলামের সামজিক বিধান — আশরাফ আলী থানবী
৫। আদবে জিন্দেগী — ইউসুফ ইসলাহি
৬। আধুনিক যন্ত্রপাতির ইসলামি আহকাম — মুহাম্মদ শফী উসমানী
৭। আমাদের মযহাব কি বিভিন্ন ভাগে বিভিক্ত — মুহাম্মদ ইকবাল বিন ফাখরুল
৮। আর্তনাদের অন্তরালে — আবুল হোসেন ভট্টাচার্য
৯। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যাকাতের ভূমিকা — মোঃ এনামুল হক
১০। আলেমগণ নানামতে যেতে হবে নবীর পথে — আবদুল গাফফার
১১। আলেমগণের মধ্যে মতভেদ কারণ এবং আমাদের অবস্থান — মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
১২। আলোকের ঝর্নাধারা — নুরুল মোমেন
১৩। ইছলাহুন মুসলিমীন — আশরাফ আলী থানবী
১৪। ইসলাম ও জাহেলিয়াত — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১৫। ইসলাম ও জাহেলিয়াতের চিরন্তন দন্দ — আব্বাস আলী খান
১৬। ইসলাম ও জাহেলিয়াতের দ্বন্দ্ব — সাইয়েদ মাহমুদ শুকরী আলুসী
১৭। ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার দ্বন্দ্ব — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১৮। ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার দ্বন্দ — সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী
১৯। ইসলাম ও পাশ্চাত্য সমাজে নারী — ড. মুসতাফা আস সিবায়ী
২০। ইসলাম ও সামজিক সুবিচার — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
২১। ইসলাম ও সামাজিক সুবিচার — সাইয়েদ কুতুব শহীদ
২২। ইসলাম ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি — সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী
২৩। ইসলামী অনুষ্ঠানের তাৎপর্য — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
২৪। ইসলামী সমাজ বিপ্লবের ধারা — সাইয়েদ কুতুব শহীদ
২৫। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদা — গবেষণা পত্র
২৬। ইসলামী সমাজে নারী — সাইয়েদ জালালুদ্দিন আনসার উমরী
২৭। ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার — মুহাম্মদ আবদুর রহীম
২৮। ইসলামে দারিদ্র বিমোচন — ইউসুফ আল কারযাভী
২৯। ইসলামে দারিদ্রতা — ইমাম গাযযালী রহ.
৩০। ইসলামে দাস বিধি — আব্দুল্লাহ নাসেহ উলওয়ান
৩১। ইসলামে পর্দা — ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
৩২। ইসলামে পোশাকের বিধান — ড. জামাল আল বাদাবী
৩৩। ইসলামে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা — ড. সালেহ ইবন ফাওযান
৩৪। ইসলামে মসজিদের ভূমিকা — এ এন এম সিরাজুল ইসলাম
৩৫। ইসলামে সমাজ বিজ্ঞান — ড. এম মোসলেহ উদ্দিন
৩৬। ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পদ আহরণ ভোগ ব্যবহার ও বিকেন্দ্রিকরণ — ড. মুহাম্মদ ছামিউল হক ফারুকি
৩৭। ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পদ বণ্টন — মুহাম্মদ শফী উসমানী
৩৮। ইসলামের সমাজ দর্শন — সদরূদ্দীন ইসলাহী
৩৯। ইসলামের সামজিক আচরণ — হাসান আউব
৪০। ইসলামের সামজিক বিধান — জামাল আল বাদাবী
৪১। ইসলামের সোনালী যুগ — এ.কে.এম. নাজির আহমদ
৪২। ইসলামের স্বর্ণযুগে সামাজিক ন্যায়নীতি — সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ
৪৩। ইসলাহী নেসাব — আশরাফ আলী থানবী
৪৪। ইসলাহুল উম্মাহ পরিচিতি
৪৫। উম্মাহর ঐক্য পথ ও পন্থা — মুহাম্মদ আবদুল মালেক
৪৬। উলামার মতানৈক্য — আব্দুল হামীদ আল মাদানী
৪৭। উলামার মতানৈক্য আমাদের করণীয় — মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
৪৮। একজন মুসলিমের দৈনন্দিন জীবন — মোঃ মোশফিকুর রহমান
৪৯। ওলামাদের মতনৈক্যে আমাদের কর্তব্য — মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
৫০। জাহেলিয়াতের যে সব রীতিনীতির বিরোধিতা রাসুল করেছেন — মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব
৫১। দাস প্রথা ও ইসলাম — মুহাম্মদ আবদুর রহীম
৫২। দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম — ইসলামিক ফাউন্ডেশন
৫৩। পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ইসলাম — মাওলাই মোস্তাফা বারজাওয়ী
৫৪। ফিতনার নীতিমালা — আব্দুল হামীদ আল ফাইযী
৫৫। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুসলমানদের করণীয় — সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী
৫৬। বিভ্রান্তির বেড়া জালে মুসলিম সমাজ — আব্দুল হামীদ আল ফাইযী
৫৭। বিভ্রান্তির বেড়াজালে মুসলমান — সরকার শাহাবুদ্দীন আহমদ
৫৮। ব্যক্তি ও সমাজ সংশোধনে ইসলামী দিক নির্দেশনা — মুহাম্মদ বিন জামীল যাইন
৫৯। ভিক্ষুক ও ভিক্ষা — হুসাইন বিন সোহরাব
৬০। মাযহাব অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ — ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস
৬১। মাযহাব ও তাকলীদ — সালাফী পাবলিকেশন্স
৬২। মাযহাব কি এবং কেন — মুহম্মদ তাকি উসমানী
৬৩। মাস্তানের জবানবন্দী — জহুরী
৬৪। মুসলিম কি চার মযহাবের কোন একটি অনুসরণ বাধ্য — মুহম্মদ সুলতান আল মাসুমী
৬৫। মুসলিম সমাজে প্রচলিত ১০১ ভুল — আবদুস শহীদ নাসিম
৬৬। মৃত্যু রোগ থেকে শুরু করে মৃত ব্যাক্তি কেন্দ্রিক মৃত্যের যাবতীয় করনীয় ও বর্জন — মুহাম্মদ নাসেরুদ্দিন আলবানী
৬৭। মোবাইল ফোন ব্যবহারঃ বৈধতার সীমা কতটুকু — মূফীজুল ইসলাম আব্দুল আযীয
৬৮। যে কেউ কোন জাতির সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে চলবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে — ড. নাসের আবদিল
৬৯। রাসূলের সাঃ যুগে মদিনার সমাজ — ড. আকরাম জিয়া আল উমরী
৭০। সত্যের জয় ও আল্লাহর অবাধ্য জাতির করুণ পরিণতি — আব্বাস আলি সরকার
৭১। সভ্যতার উথান পতন ও আলকোরআন — মো সিরাজুল ইসলাম
৭২। সভ্যতার সংকট — ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস
৭৩। সমাজ পরিবর্তনে ইসলামী পদ্ধতি
৭৪। সমাজ বিপ্লবের ধারা — মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব
৭৫। সমাজ সংগঠন ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গী — আব্দুদ্দাইয়ান মুহাম্মদ ইউনুস
৭৬। সমাজ সংস্কারে নারীর ভূমিকা — মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
৭৭। সাপ্তাহিক ছুটি ও ইসলামী দৃষ্টিকোণ — ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী
৭৮। সাম্য একমাত্র ইসলামে — মুহাম্মদ আনসার আলী খান
৭৯। হাদীসের আলোকে মানবজীবন — এ কে এম ইউসুফ
৮০। হাদীসের আলোকে সমাজ জীবন — দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ 💚
error: Content is protected !!
Scroll to Top