ইলম বা জ্ঞান বিষয়ক বই: Islamic knowledge pdf books

ইলম বা জ্ঞান বিষয়ক বই

ইলম বা জ্ঞান বিষয়ক বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। আদর্শ ছাত্রজীবন – আব্দুল হামীদ আল মাদানী
২। আদর্শ জাতি গঠনে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাব্যবস্থা – ইসলামী ছাত্রীসংস্থা
৩। আমাদের শিক্ষা কোন পথে – আব্দুল্লাহ আল মুতী
৪। আরবি বাংলা ব্যবহারিক অভিধান – ড. মুহাম্মদ ফজলুর রহমান
৫। আল মুনীর আরবী-বাংলা অভিধান – ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান
৬। ইন্টারনেট ঈমান, আখলাক ও বুদ্ধি বিবেকের পরিক্ষা – মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহীম আল হামদ
৭। ইলম গোপনের পরিণতি – খন্দকার আবুল খায়ের
৮। ইলম হাসিল সম্পর্কে পূর্বসূরিদের কিছু বাণী – হিসামুদ্দিন সালীম কিলানী
৯। ইলমুত তাফসীর ইলমুল হাদিস ইলমুল ফিকহ – ইসলামিক সেন্টার
১০। ইলমে হাদিসের গুরুত্ব ও মর্যাদা – নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
১১। ইসলাম ও জ্ঞানতত্ত্ব – ড. রহমান হাবিব
১২। ইসলাম জ্ঞানতত্ত্ব – ড. রহমান হাবীব
১৩। ইসলামী বিশ্বকোষ – ইসলামিক ফাউন্ডেশন
১৪। ইসলামে মুসলিম চিন্তার পুনর্গঠন – মুহাম্মদ ইকবাল
১৫। ইসলামের আইন দর্শন – আবদুল আলী
১৬। কিতাবুল ইলম – মুহাম্মাদ ইবনে ছলিহ আল ইছাইমীন
১৭। কুরআন ও হাদীসের আলোকে শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা – আবদুস শহীদ নাসিম
১৮। গল্পের মাধ্যমে জ্ঞান – হাদিস ফাউন্ডেশন
১৯। ছাত্র ও যুব সমাজের মুখোমুখী মাওলানা মওদূদী র. – সেলিম মনসুর খালিদ
২০। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য নির্বাচিত ফাতওয়া – মিরফাত বিনতে কামিল আবদিল্লাহ উসরা
২১। জ্ঞান ইসলামিককরণ স্বরূপ ও প্রয়োগ – ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আবওয়াবী
২২। জ্ঞানঃ ইসলামী রূপায়ণ – ইসমাঈল রাজী আল ফারুকী
২৩। জ্ঞান ও ইমান – ড. ইব্রাহিম আহমদ উমর
২৪। জ্ঞানের ইসলামায়ন – আবদুলহামিদ আহমদ
২৫। জ্ঞানের বিকিরণ – মুহাম্মাদ মর্তুজা ইবন আয়েশ মুহাম্মাদ
২৬। জ্ঞানের সঞ্চার – মুহাম্মাদ মর্তুজা ইবন আয়েশ মুহাম্মাদ
২৭। জ্ঞানের সন্ধানে সত্য দর্শন – মোঃ আবদুর রউফ
২৮। তালিবানে ইলম পথ ও পাথেয় – মুহাম্মদ আবদুল মালেক
২৯। তালিবানে ইলমের রাহে মানযিল – মুহাম্মদ আবদুল মালেক
৩০। দীন ইসলামের শিক্ষাদানে বুনিয়াদী গলদ – অধ্যাপক গোলাম আযম
৩১। দ্বীনি শিক্ষার নৈতিকতা – আব্দুল হামীদ আল ফাইযী
৩২। দ্বীনি শিক্ষার প্রতিবন্ধকতা – আব্দুল হামীদ আল ফাইযী
৩৩। বিকালের আসর – আব্বাস আলী খান
৩৪। বিবেক বুদ্ধির গুরুত্ব কতটুকু এবং কেন – ড. মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান
৩৫। বিবেচনায় আনতে হবে অনেক কিছু – শামসুন্নাহার নিজামী
৩৬। যে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুসলিম জাতি এবং বিশ্বমানবতার মূল জ্ঞানে ভুল ঢোকানো হয়েছে
৩৭। শরীয়াহ ইলম সংক্রান্ত কিছু জরুরি জ্ঞাতব্য বিষয় – ইকবাল হোসাইন মাছুম
৩৮। শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রেক্ষিত ইসলাম – ড. এম জাফর ইকবাল
৩৯। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সেমিনার স্মারক ২০০৪ – আই সি এস প্রকাশনী
৪০। শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি – আবদুস শহীদ নাসিম
৪১। শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি – মুহাম্মদ আব্দুর রহীম
৪২। শিক্ষা সেমিনার – কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিভাগ
৪৩। শিক্ষাব্যবস্থা ইসলামী দৃষ্টিকোণ – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৪৪। শিক্ষাব্যবস্থাঃ মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি – জিয়াউল হক
৪৫। শিক্ষাব্যবস্থার ইসলামী রূপরেখা – অধ্যাপক গোলাম আযম
৪৬। সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ ১ম খণ্ড — ইসলামিক ফাউন্ডেশন
৪৬। সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ ২য় খণ্ড — ইসলামিক ফাউন্ডেশন
৪৭। সাধারণ জ্ঞান
৪৮। সাহাবী কবি কাব ও তাঁর অমর কাব্য – ড. মুহাম্মাদ মুজীবুর রহমান

ইলম (জ্ঞান) পরিচিতি

ইলম আরবি শব্দ এর অর্থ হল জ্ঞান জানা অবগত হওয়া বিদ্যা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় ইলম হল কোন বস্তুর প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করা। অপরদিকে ইসলাম অর্থ আনুগত্য করা ও আত্মসমর্পণ করা।

তাই প্রতিটি মুসলিম কার আনুগত্য করবে এবং কীভাবে করবে? কার নিকট আত্মসমর্পণ করবে? এবং কীভাবে আত্মসমর্পণ করবে? তা অবশ্যই জানতে হবে৷ ইলম ব্যতীত তা জানা যাবে না। তাই ইসলামে ইলমের গুরুত্ব অপরিসীম।

ইসলামে ইলমের গুরুত্বঃ ইসলামে ইলম (জ্ঞান) এর গুরুত্ব এত বেশি যে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন নাজিলের সূচনা করেছেন পড়ুন (اِقْرَاْ) শব্দ দ্বারা। আল্লাহ ঘোষণা করেছেনঃ
اِقْرَاْبِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِىْ خَلَقَ

অর্থঃ পড়ুন আপনার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করছেন। সূরা আলাক আয়াত: ১

সুতরাং পড়ার মাধ্যমে জ্ঞানার্জন হয় বিধায় মনুঘ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে এবং পরিপূর্ণ মানুষরূপে গড়ে উঠতে জ্ঞানচর্চা অপরিহার্য। জ্ঞানবান ব্যক্তি ও অজ্ঞ ব্যক্তি কখনো সমান হতে পারে না।

জ্ঞান জ্ঞানীর মর্যাদা সমৃদ্ধ ও সমুন্নত করে। যেমন মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
يَرْفَعِ اللّٰهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مِنْكُمْ وَالَّذِقْنَ اُوْتُواالْعِلْمَ دَرَجٰتٍ

অর্থঃ তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদের মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। সূরা আল মুজাদালা আয়াত: ১১

ইসলাম জ্ঞানার্জনকে সকল মুসলিমের উপর ফরজ আবশ্যক করেছে। মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেনঃ
طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيْضَةٌ عَلٰى كُلِّ مُسْلِمٍ

অর্থঃ ইলম (জ্ঞান) অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ। ইবনে মাজাহ

হযরত মুহাম্মদ স. অন্যত্র জ্ঞানার্জনকে উত্তম ইবাদত বলে অভিহিত করছেন। ইলমের অনেক শাখা প্রশাখা রয়েছে। এর মধ্যে যে ধরনের ইলম অর্জন করলে সত্য মিথ্যার পার্থক্য করা যায় বৈধ অবৈধ বোঝা যায় এবং আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুটি লাভ করা যায় তাই হল উত্তম ইলম।

ইলম এর প্রকারভেদঃ ইলম দুই ভাগে বিভক্ত যেমনঃ
দীনি ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) ও দুনিয়াবি ইলম (পার্থিক জ্ঞান)

দীনি ইলম বলতে সাধারণত ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত জ্ঞানকেই বুঝায়। যেমন কুরআন হাদিস ফিকাহ তাফসির ইত্যাদি বিষয়ের জ্ঞান। আর দুনিয়াবি ইলম বলতে শুধু পার্থিক উন্নতির সাথে সম্পৃক্ত জ্ঞানকেই বুঝায়৷ যেমন গণিত বিজ্ঞান ভূগোল সাহিত্য পদার্থ রসায়ন ইত্যাদির জ্ঞান।

অন্যভাবে ইলমকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমনঃ গ্রহণীয় জ্ঞান, বর্জনীয় জ্ঞান

গ্রহণীয় জ্ঞান হল যে জ্ঞান ইহকাল ও পরকালে মানুষের কল্যাণে আসে যেমন নৈতিক জ্ঞান চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রকৌশল পদার্থ রসায়নসহ সকল কল্যাণকর জ্ঞান। আর বর্জনীয় জ্ঞান হল যে জ্ঞান মানুষের কোন কল্যাণে আসে না বরং যার দ্বারা ইহকাল ও পরকালে অকল্যাণ সাধিত হয়।

যেমন অনৈতিক জ্ঞান চুরি ডাকাতি অন্যায় জুলুম জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ইসলামের প্রাথমিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

তবে প্রত্যেক সম্প্রদায় বা দেশ থেকে একদলকে অবশ্যই ইসলাম ধর্মের জ্ঞানে পন্ডিত হতে হবে অন্যখায় সকলকেই আল্লাহর নিকট পরকালে কৈফিয়ত দিতে হবে। মহান আল্লাহ বলেনঃ

فَلَوْ لَا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْ قَةٍمِّنْهُمْ طَآ ئِفَةٌلِّيَتَفَقَّهُوْا فِى الدِّيْنِ وَلِيُنْذِرُوْا قَوْ مَهُمْ اِذَارَجَعُوْآ اِلَيْهِمْ

অর্থঃ তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ বের হয় না কেন যাতে তারা দীন সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করতে পারে এবং তাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে যখন তারা তাদের নিকট ফিরে আসবে। সূরা আত তাওবা আয়াত: ১২২

সুতরাং আমাদের মধ্যে একদল লোককে অবশ্যই দীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে দীনি শিক্ষার ব্যাপারে যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমনিভাবে পার্থিব শিক্ষা অর্জনেরও গুরুত্ব রয়েছে।
তবে তা অবশ্যই আল্লাহর কোন বিধানের পরিপন্থী হতে পারবে না।

বরং তার সাথে নৈতিকতার সমন্বয় থাকতে হবে। কারণ শিক্ষার সাথে নৈতিকতা থাকলেই কেবল মানুষের মনুষ্যত্ব বিকশিত হয়। আর শিক্ষার সাথে নৈতিকতা না থাকলে মানুষের মনুষ্যত্ব ধ্বংস হয়ে যায়।

মূলত ইসলামের উদ্দেশ্য হল মানুষের কল্যাণ করা। যেমন মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন দীন হল কল্যাণ করা। মুসলিম

তাই যেসব ইলম মানবজীবনে কল্যাণ সাধন করে তা অর্জন করা অবশ্য মই কর্তব্য। সুতরাং যে ইলম মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ সাধন করবে তা আমারা শিখব ও শিখাব।

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ

error: Content is protected !!
Scroll to Top