
শফীউদ্দীন সরদার কর্তৃক রচিত pdf উপন্যাস ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।
১। অন্তরে প্রান্তরে
২। অপূর্ব অপেরা
৩। অবৈধ অরণ্য
৪। আওয়ারা
৫। ঈমানদার
৬। খোঁজ
৭। গুনাহগার
৮। গৌড় থেকে সোনার গাঁ
৯। চলন বিলের পদাবলী
১০। চার চান্দের কেচ্ছা
১১। ঝড়মুখী ঘর
১২। ঠিকানা
১৩। থার্ড পন্ডিত
১৪। দখল
১৫। দিঘলীতলার কান্না
১৬। দেশপ্রেম
১৭। দ্বীপান্তরের বৃত্তান্ত
১৮। পথহারা পাখী
১৯। পরীরাজ্যের রাজকণ্যা
২০। প্রেম ও পূর্ণিমা
২১। বখতিয়ারের তিন ইয়ার
২২। বখতিয়ারের তোলয়ার
২৩। বিদ্রোহী জাতক
২৪। বিপন্ন প্রহর
২৫। বুড়ির ঘুড়ি
২৬। বৈরী বসতি
২৭। ভূতের মেয়ে লীলাবতী
২৮। মুসাফির
২৯। দেশপ্রেম
৩০। যাদুর বাঁশী
৩১। যায় বেলা অবেলায়
৩২। রাজনন্দিনী
৩৩। রাজবিহঙ্গ
৩৪। রাজার ছেলে কবিরাজ
৩৫। রাজ্য ও রাজকন্যারা
৩৬। রূপনগরের বন্দী
৩৭। রোহিনী নদীর তীরে
৩৮। শেষ প্রহরী
৩৯। সূর্যাস্ত
✍️ ঐতিহাসিক উপন্যাসিক | শিক্ষক | সাহিত্য সাধক | বাংলা মুসলিম ঐতিহ্যের কণ্ঠস্বর
শফীউদ্দীন সরদার (১ মে ১৯৩৫ – ফেব্রুয়ারি ২০১৯) বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সাহিত্যিক, যিনি ঐতিহাসিক উপন্যাস, সামাজিক গল্প, নাটক, রম্যরচনা, শিশু সাহিত্য ও কল্পবিজ্ঞানসহ নানা শাখায় অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তাঁর লেখায় বাংলার মুসলিম ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস জীবন্ত হয়ে ওঠে। ঐতিহাসিক সত্য ও কল্পনার মেলবন্ধনে তাঁর উপন্যাসগুলো পাঠকদের আকৃষ্ট করেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
“ইতিহাসকে কেবল অতীতের আয়না হিসেবে নয়, ভবিষ্যতের দিকনির্দেশক হিসেবে তুলে ধরাই সাহিত্যিকের সাফল্য।” – শফীউদ্দীন সরদার
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
১৯৩৫ সালের ১ মে নাটোর জেলার হাটবিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শফীউদ্দীন সরদার। তাঁর পরিবার ছিল ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবার। শৈশবেই তিনি জ্ঞান ও সাহিত্যচর্চার প্রতি অনুরাগী হয়ে ওঠেন। ১৯৫০ সালে তিনি মেট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেন। এরপর রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও বিএ (অনার্স) শেষ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনে গমন করেন এবং সেখানে ডিপ্লোমা-ইন-এডুকেশন ডিগ্রি লাভ করেন।
“শিক্ষা শুধু বিদ্যার্জন নয়, এটি জাতির আত্মপরিচয় নির্মাণের প্রক্রিয়া।” – শফীউদ্দীন সরদার
কর্মজীবন ও শিক্ষকতা
শফীউদ্দীন সরদারের কর্মজীবন শুরু হয় নিজ গ্রামের স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে। পরে তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজ, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ, বানেশ্বর কলেজ ও নাটোর রাণী ভবাণী সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যাপনা করেন এবং অধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষক হিসেবে তাঁর প্রভাব ছিল গভীর; সাহিত্য ও ইতিহাসচর্চার প্রতি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেছেন সারা জীবন।
সাহিত্যকর্ম ও ঐতিহাসিক উপন্যাস
তিনি মূলত ঐতিহাসিক উপন্যাসের জন্য সর্বাধিক খ্যাত। তাঁর লেখায় মুসলিম শাসন, সংস্কৃতি, সমাজ ও বীরত্বগাঁথার বাস্তবচিত্র ফুটে ওঠে। এছাড়া তিনি সামাজিক উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও শিশু সাহিত্য রচনা করেছেন।
ঐতিহাসিক উপন্যাস
- বখতিয়ারের তলোয়ার – বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা ও বখতিয়ার খলজির বীরত্বগাঁথা।
- গৌড় থেকে সোনার গাঁ – বাংলার মুসলিম শাসন ও সংস্কৃতির বিবর্তন।
- বার পাইকার দুর্গ – ঐতিহাসিক দুর্গ ও তার রক্ষাকর্তাদের কাহিনি।
- বখতিয়ারের তিন ইয়ার – বখতিয়ার খলজির তিন সহযোগীর জীবনকাহিনি।
সামাজিক উপন্যাস ও অন্যান্য রচনা
- যায় বেলা অবেলায় – এক সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রাম।
- সূর্যাস্ত – সমাজের পরিবর্তন ও মানুষের মনস্তত্ত্বের কাহিনি।
- দিঘলীতলার কান্না – বৈষম্য ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লেখা।
- ঈমানদার – সত্যনিষ্ঠ এক মানুষের আত্মত্যাগ ও বিশ্বাস।
“ইতিহাস নির্ভর সাহিত্য পাঠককে শুধু আনন্দ দেয় না, বরং অতীতের শিক্ষা দিয়ে বর্তমানকে শক্তিশালী করে।” – সমালোচক মতামত
লেখনীর বৈশিষ্ট্য ও প্রভাব
তাঁর লেখনীর প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ঐতিহাসিক প্রামাণ্যতা। তাঁর রচনায় ইতিহাসের সত্যনিষ্ঠ উপস্থাপনা দেখা যায়। মুসলিম শাসন, সংস্কৃতি ও রাজনীতি তাঁর উপন্যাসের মূলভিত্তি ছিল। তিনি সহজবোধ্য অথচ গভীর অর্থবহ ভাষায় লিখতেন, এবং বীরত্বগাঁথা ও ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে পাঠকদের দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত করেছেন। শফীউদ্দীন সরদারের রচনা ইতিহাসপ্রেমী পাঠকদের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। তাঁর উপন্যাসগুলোতে মুসলিম শাসনামলের বীরত্ব, সমাজের বৈচিত্র্য এবং ঐতিহ্যের সৌন্দর্য পাঠককে গর্বিত করেছে।
- ঐতিহাসিক প্রামাণ্যতা: তার রচনায় ইতিহাসের সত্যনিষ্ঠ উপস্থাপনা দেখা যায়।
- ইসলামি ঐতিহ্য: মুসলিম শাসন, সংস্কৃতি ও রাজনীতি তার উপন্যাসের মূলভিত্তি।
- প্রাঞ্জল ভাষা: সহজবোধ্য অথচ গভীর অর্থবহ লেখনী।
- দেশপ্রেম: বীরত্বগাঁথা ও ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে পাঠকদের অনুপ্রাণিত করেছেন।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
অবসর জীবনে তিনি নাটোর শহরের শুকুলপট্টিতে বসবাস করতেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু বাংলা সাহিত্য ও ইতিহাসচর্চার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। শফীউদ্দীন সরদার ছিলেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসনির্ভর উপন্যাসের এক অগ্রদূত। তিনি ইতিহাসকে কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ রাখেননি; বরং কাহিনির মোড়কে পাঠকের হৃদয়ে জীবন্ত করে তুলেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে, ঐতিহ্যকে ভালোবাসতে ও গর্বিত হতে উদ্বুদ্ধ করবে।
“একজন সাহিত্যিক চলে গেলেও তার কলমের ছাপ থেকে যায় যুগের পর যুগ।”
আরও পড়ুন
👉 ঈমান বিষয়ক বই
👉 তাওহীদ বিষয়ক বই
সংগ্রহ: বইগুলি আপনার ভালো লাগলে দয়াকরে নিকটবর্তী লাইব্রেরী থেকে ক্রয় করুন।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ 💚





