মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন: Mohammad Bin Saleh Al-Uthaimin Books

মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।

১। আলেমগণের মধ্যে মতভেদ কারণ এবং আমাদের অবস্থান
২। আল্লাহ তাআলার নান্দনিক নাম ও গুণসমগ্র কিছু আদর্শিক নীতিমালা
৩। আল্লাহর দিকে দাওয়াতের সম্বল
৪। আহলি সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা বা বিশ্বাস
৫। ইসলাম স্বীকৃত অধিকার
৬। ইসলামী পুনর্জাগরণে পথ ও পদ্ধতি
৭। ইসলামী মূল আকীদাহর বিশ্লেষণ
৮। ইসলামে দায়ীদের প্রতি পয়গাম
৯। ঈমানের মূলনীতি সমূহের ব্যাখ্যা
১০। উমরায় করণীয় কাজসমূহ
১১। উলামার মতানৈক্য আমাদের করণীয়
১২। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে পর্দা
১৩। কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত
১৪। কুরআন-সুন্নাহর আলকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা
১৫। জাকাত
১৬। জাকাতের হকদার
১৭। জানাযার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৭০ টি প্রশ্ন
১৮। তওবা
১৯। তাকওয়ার উপকারিতা
২০। নবী সাঃ এর গুণাবলী
২১। নবীর সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা ও তার প্রভাব

২২। নামাযের সময়সূচী
২৩। নারীর প্রাকৃতিক রক্তস্রাব
২৪। পর্দাঃ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে
২৫। প্রকৃতি ও শরীয়ত স্বীকৃত অধিকার
২৬। ফাতোওয়া আরকানুল ইসলাম
২৭। ফাতওয়া আরকানুল ইসলামঃ ঈমান
২৮। ফাতওয়া আরকানুল ইসলামঃ যাকাত
২৯। ফাতওয়া আরকানুল ইসলামঃ সাওম
৩০। ফাতওয়া আরকানুল ইসলামঃ হজ্জ
৩১। মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০ টি প্রশ্ন
৩২। যাকাত সম্পর্কিত ফাতওয়া
৩৩। যাকাতুল ফিতর
৩৪। রমযান মাসের ৩০ আসর
৩৫। শরিয়াতের স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও বিদআতের ভয়াবহতা
৩৬। সমাজ সংস্কারে নারীর ভূমিকা
৩৭। সালাত বর্জনকারীর বিধিন
৩৮। সালাতের সময়সূচী
৩৯। সিয়াম তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়
৪০। সৌন্দর্য প্রদর্শন বেপর্দা প্রসঙ্গে মুমিনদের জন্য কতিপয় নির্দেশনা
৪১। স্বর্ণ ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্নোত্তর
৪২। হজ্জ উমরাহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

✍️ বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন | প্রখ্যাত ফকীহ | শিক্ষক | দাওয়াতি নেতা

শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (১৯২৭ – ২০০১) ছিলেন সমসাময়িক যুগের অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামি চিন্তাবিদ, ফকীহ ও শিক্ষক। তিনি কুরআন, হাদীস, ফিকহ, আকীদা ও আরবি ভাষায় গভীর পারদর্শিতা অর্জন করে মুসলিম উম্মাহকে দলীলভিত্তিক জ্ঞানচর্চায় উৎসাহিত করেছেন। তাঁর জ্ঞান, চরিত্র ও দাওয়াতি কর্মকাণ্ড বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের নিকট সমাদৃত। শতাধিক গ্রন্থ, ফতোয়া, বক্তৃতা ও ধারাবাহিক দাওয়াতি কার্যক্রম তাঁকে সমসাময়িক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

“হক আমাদের কাছে সর্বাধিক প্রিয়; তা আমাদের প্রিয় ব্যক্তির কথারও ঊর্ধ্বে।” – শায়খ উসাইমীন

প্রারম্ভিক জীবন

১৯২৭ সালে সৌদি আরবের আল-কাছীম প্রদেশের উনায়যাহ শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারটি ছিল ধার্মিক ও জ্ঞানপরায়ণ, যার ফলে শৈশব থেকেই তিনি ইসলামি পরিবেশে বেড়ে উঠেন। তাঁর বংশপরিচয় “উসাইমীন” নামে পরিচিত হয় পুর্বপুরুষ উসমান আল-উসাইমীনের কারণে। ছোটবেলাতেই নানার কাছে কুরআন শিক্ষার সূচনা হয় এবং মাত্র ছয় মাসে পূর্ণ কুরআন হিফজ করেন।

শিক্ষাজীবন

শৈশবেই তিনি হাতের লেখা, অংক ও আরবি সাহিত্যের প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করেন। প্রথমে শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল আজীয আল-মুতাওয়ার কাছে তাওহীদ, ফিকহ ও আরবি ব্যাকরণ শিখেন। পরবর্তীতে উনায়যার বিখ্যাত আলেম শায়খ আব্দুর রহমান বিন নাসির আস-সা‘দীর সান্নিধ্যে দীর্ঘ ১৬ বছর তাফসীর, হাদীস, ফিকহ, উছূল, ফারায়েয, নাহু ও বালাগাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর জ্ঞানলাভ করেন। এছাড়া শায়খ আব্দুর রাযযাক আফীফী ও শায়খ আব্দুর রহমান আওদানের কাছ থেকেও বিশেষ শিক্ষাগ্রহণ করেন।

উচ্চশিক্ষা

১৩৭২ হিজরীতে তিনি রিয়াদের আল-মা‘হাদুল ইলমীতে ভর্তি হন এবং শায়খ আশ-শানকীতী, শায়খ আব্দুল আযীয রশীদ ও অন্যান্য বিশিষ্ট আলেমের কাছে জ্ঞানার্জন করেন। সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতী শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায তাঁর জীবনে সবচেয়ে গভীর প্রভাব রাখেন। পরে তিনি রিয়াদের ইমাম মুহাম্মাদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরীয়াহ অনুষদে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

“জ্ঞান হলো এমন এক আলো, যা মানুষের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।” – শায়খ উসাইমীন

কর্মজীবন

শিক্ষাজীবন চলাকালীন ১৩৭০ হিজরীতে তিনি উনায়যার আল-জামিউল কাবীর মসজিদে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৩৭৪ হিজরী থেকে আল-মা‘হাদুল ইলমীতে শিক্ষকতা করেন এবং পরে ইমাম মুহাম্মাদ বিন সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কাছীম শাখায় শরীয়াহ অনুষদের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি শিক্ষকতা, দাওয়াত, ফতোয়া প্রদান ও গ্রন্থ রচনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।

দাওয়াতি কার্যক্রম

শিক্ষাদানই তাঁর দাওয়াতি কাজের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেও তিনি বিভিন্ন স্থানে মানুষের কাছে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিতেন।

  • হজ মৌসুমে হাজীদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান
  • মসজিদে নববী ও মসজিদে হারামে মৌসুমি দরস
  • বেতার, টেলিফোন ও আন্তর্জাতিক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান
  • “নূরুন আলাদ দারব” অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা

পরিষদে দায়িত্ব

১৪০৭ হিজরী থেকে আমৃত্যু তিনি সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পরিষদ ও শরীয়াহ অনুষদের নীতিনির্ধারণী পদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

চিন্তাধারা

শায়খ উসাইমীন দলীলনির্ভর মতামতের প্রতি অত্যন্ত অনুগত ছিলেন। তিনি হাম্বলী মাযহাবকে সম্মান করলেও অন্ধ অনুসরণের বিরোধী ছিলেন এবং প্রয়োজনে দলীলভিত্তিক ভিন্ন ফতোয়া প্রদান করেছেন। তাঁর বক্তব্য ছিল—সত্য সবচেয়ে মূল্যবান, ব্যক্তির প্রতি প্রীতি তার পরে।

রচনাবলী

তাঁর রচিত গ্রন্থ সংখ্যা শতাধিক, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

  • মাজমূউ ফাতাওয়া ও রাসাইল – ৪২ খণ্ড
  • আশ-শারহুল মুমতি – ১৬ খণ্ড
  • আল-কাওলুল মুফীদ আলা কিতাবিত তাওহীদ
  • শারহু রিয়াযিছ ছালিহীন – ৭ খণ্ড
  • শারহুল আকীদা আল-ওয়াসিতিয়্যাহ – ২ খণ্ড
  • মাজালিসু শাহরি রামাযান
  • আল-মানহাজ লিমুরীদিল উমরা ওয়াল হজ্জ

“আশ-শারহুল মুমতি সমসাময়িক ফিকহে এক অনন্য সংযোজন।”

প্রভাব

শায়খ উসাইমীনের প্রভাব সৌদি আরব ছাড়িয়ে পুরো ইসলামি বিশ্বে বিস্তৃত। তাঁর ব্যাখ্যাগ্রন্থ, ফিকহ বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দাওয়াতি বক্তব্য আজও মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ পাঠকের মাঝে সমানভাবে জনপ্রিয়। তিনি তরুণদের সঠিক আকীদা, আমল ও শরীয়াহ অনুযায়ী জীবন গঠনে উৎসাহিত করেছেন।

মৃত্যু

২০০১ সালের ১০ জানুয়ারি জেদ্দায় তিনি ইন্তেকাল করেন। পরদিন মসজিদে হারামে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় এবং তাঁকে তাঁর শিক্ষক শায়খ বিন বাযের পাশে মক্কার আল-আদল কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুর পরও তাঁর রচনাবলী, ফতোয়া ও দিকনির্দেশনা মানুষের জীবনে আলো হয়ে আছে।

“একজন আলেম চলে গেলে তাঁর লেখনী প্রজন্মকে সত্যের পথে ধরে রাখে।”

আরও পড়ুন

👉 আল-উসাইমীন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
👉 ইসলামি বইয়ের তালিকা

সংগ্রহ: বইগুলি আপনার ভালো লাগলে দয়াকরে নিকটবর্তী লাইব্রেরী থেকে ক্রয় করুন।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ 💚

error: Content is protected !!
Scroll to Top