
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা : নীতি, প্রয়োগ ও প্রাসঙ্গিকতা
প্রস্তাবনা
সাধারণভাবে অনেকেই মনে করেন, ইসলাম কেবল একটি ধর্ম, যার সীমাবদ্ধতা শুধু ব্যক্তিগত ইবাদত ও নৈতিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামী শরিয়ত মানবজীবনের সকল দিক—আধ্যাত্মিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয়—সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশ প্রদান করেছে।
“আমি কিতাবে কোনো কিছু অবর্ণিত রাখিনি।”
— কুরআন, সূরা আনআম : ৩৮
অতএব, ইসলামের রাষ্ট্রব্যবস্থা কোনো ঐচ্ছিক প্রথা নয়; বরং এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশিত একটি দায়িত্ব, যা মুসলিম সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর বিধান কার্যকর করার জন্য অপরিহার্য।
ইসলামের রাষ্ট্রচিন্তার উৎপত্তি
রাসূলে করিম (সা.) মক্কার দাওয়াতি জীবনের প্রথম থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন যে, ইসলামের পূর্ণাঙ্গ আদর্শ কেবল ব্যক্তিগত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। এজন্য দরকার এমন একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামো, যেখানে আল্লাহর হুকুম কার্যকর হবে।
আকাবার দ্বিতীয় শপথ (বায়আত) থেকেই মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে হিজরতের পর এই রাষ্ট্র সুসংগঠিত রূপ লাভ করে, যা মানব ইতিহাসের প্রথম ধর্মভিত্তিক কিন্তু মানবকল্যাণকেন্দ্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত।
কুরআন ও হাদিসে রাষ্ট্রব্যবস্থার নির্দেশ
কুরআন ও হাদিসে বারবার এসেছে শাসন, আইন প্রয়োগ, ন্যায়বিচার ও সমাজ পরিচালনার বিষয়। আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে শুধু দীন প্রচারের জন্যই নয়, বরং শাসন ও আইন প্রণয়ন-এর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল।
“হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে খলিফা করেছি। কাজেই তুমি মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার করবে।”
— কুরআন, সূরা ছোয়াদ : ২৬
রাসূলুল্লাহ (সা.)-ও বলেছেন:
“ইমাম (শাসক) হলো রক্ষক, আর তিনি তাঁর অধীনস্থদের ব্যাপারে জবাবদিহি করবেন।”
— সহিহ বুখারী
মদিনা সনদ ও প্রাথমিক ইসলামী রাষ্ট্র
মদিনায় হিজরতের পর রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রথমবারের মতো একটি লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করেন, যা ইতিহাসে মদিনা সনদ নামে পরিচিত। এতে মুসলিম, ইহুদি ও অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এটি মানবসভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম প্রাচীনতম সংবিধান, যেখানে সমতা, ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। এখান থেকেই ইসলামী রাষ্ট্রের বাস্তব রূপরেখা প্রকাশিত হয়।
শাসনব্যবস্থা ও নীতিমালা
- শুরা (পরামর্শ): রাষ্ট্র পরিচালনায় শাসক পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
- ন্যায়বিচার: মুসলিম-অমুসলিম সবার সাথে ন্যায্য আচরণ করতে হবে।
- আইনের শাসন: শরিয়ত হবে সর্বোচ্চ আইন।
- দায়িত্বশীলতা: শাসক জনগণের সেবক, শোষক নয়।
“তাদের কাজ হলো পরস্পরের সাথে পরামর্শ করা।”
— কুরআন, সূরা শুরা : ৩৮
শরিয়তের প্রয়োগ
শরিয়তের অনেক আইন কেবল রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মাধ্যমেই কার্যকর করা সম্ভব। যেমন—বিচার, ফৌজদারি আইন, যুদ্ধ ও শান্তি চুক্তি, সম্পদের বণ্টন ইত্যাদি। রাষ্ট্র ছাড়া এসবের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
“জনগণের যাবতীয় ব্যাপার সুসম্পন্ন করা-রাষ্ট্র কায়েম করা দ্বীনের সর্বপ্রধান দায়িত্ব।”
— ইবনে তাইমিয়া, আস-সিয়াসাতুশ শরইয়্যাহ
ইবাদতের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক
ইবাদত শুধু নামাজ-রোজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং জীবনের প্রতিটি কাজ, যদি তা শরিয়তের নিয়মে করা হয়, ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়। এজন্য ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ইবাদতের পরিবেশ তৈরি করে।
“আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুধু এ উদ্দেশ্যে যে তারা আমারই ইবাদত করবে।”
— কুরআন, সূরা আয-যারিয়াত : ৫৬
ইসলামী চিন্তাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি
ইমাম গাজ্জালী, ইবনে তাইমিয়া, আল-মাওয়ার্দীসহ বহু চিন্তাবিদ ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তাদের মতে, রাষ্ট্র ছাড়া শরিয়তের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন অসম্ভব।
“ধর্ম ও রাষ্ট্র হলো যমজ ভাই। রাষ্ট্র ছাড়া ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয় না।”
— ইমাম গাজ্জালী
আধুনিক যুগে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা
আজকের বিশ্বে রাষ্ট্রীয় কাঠামো পশ্চিমা গণতন্ত্র, জাতিরাষ্ট্র ও পুঁজিবাদের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। এর ফলে মুসলিম সমাজে বিভক্তি ও নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে।
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। এটি যেমন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে, তেমনি সামাজিক সাম্য, অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও মানবাধিকারের প্রকৃত নিশ্চয়তা প্রদান করে।
প্রভাব ও উত্তরাধিকার
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা কেবল ইতিহাস নয়, বরং একটি জীবন্ত মডেল, যা মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। খোলাফায়ে রাশেদিন যুগ এর উজ্জ্বল উদাহরণ, যেখানে ন্যায়, শাসন ও উন্নয়নের সমন্বয় ঘটেছিল।
“যে আমার সুন্নাহ অনুসরণ করবে এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের পথ অবলম্বন করবে, সে-ই মুক্তি পাবে।”
— সহিহ হাদিস
উপসংহার
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা কোনো কল্পনা নয়, বরং ইতিহাসে এর বাস্তব দৃষ্টান্ত রয়েছে। এটি শুধু একটি রাজনৈতিক কাঠামো নয়, বরং আল্লাহর বিধান কার্যকর করার জন্য অপরিহার্য একটি ব্যবস্থা।
আজকের অশান্ত বিশ্বে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা মানবতার জন্য ন্যায়, শান্তি ও সমতার অনন্য বিকল্প হতে পারে। মুসলিম উম্মাহর কর্তব্য হলো—আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করা।
📚 ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা বিষয়ক বইসমূহ
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা বিষয়ক বই সরাসরি ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ☟ ক্লিক করুন।
১। আদর্শ রাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যবস্থায় ইসলাম — মজিবুর রহমান বাগদাদী
২। আধুনিক বিশ্বের প্রয়োজন ইসলামী রাষ্ট্র — ড. খুরশীদ আহমদ
৩। আধুনিক রাষ্ট্র — রবার্ট মরিসন ম্যাকাইভার
৪। আমাদের শাসক যদি এমন হত — হযরত আলী রাঃ
৫। আল কুরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিতে ভোট — ড. মোহাম্মাদ শফিউল আলম ভুঁইয়া
৬। আল কুরআনে রাষ্ট্র ও সরকার — মুহাম্মদ আবদুর রহীম
৭। আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন — অধ্যাপক গোলাম আযম
৮। আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন এবং এর পরিপন্থী বিষয় বর্জনের অপরিহার্যতা — আব্দুল আযীয বিন আব্দুল বাজ
৯। আল্লাহর খিলাফত প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি — অধ্যাপক গোলাম আযম
১০। ইসলাম ও আধুনিক রাজোনীতি — মুফতী তাকি উসমানী
১১। ইসলাম ও খিলাফত — ড. মফীজুল্লাহ কবীর
১২। ইসলাম ও গণতন্ত্র দুটি জীবনাদর্শের সংঘাত — মুহাম্মদ আজিজুর রহমান খান
১৩। ইসলাম ও গনতন্ত্র — অধ্যাপক গোলাম আযম
১৫। ইসলাম ও চরমপন্থা — ইউসুফ আল কারযাভী
১৬। ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ — মরিয়ম জামিলা
১৭। ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১৮। ইসলাম ও ধর্মহীন গণতন্ত্র — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১৯। ইসলাম ও বাস্তবতার আলোকে আরব জাতীয়তাবাদ — আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
২০। ইসলাম বিরোধী আইন জারীর বিধান ও ফিতনাতুত তাকফীর — নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
২১। ইসলামী আইন — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
২২। ইসলামী আইন ও বিচার ১/১২ বর্ষঃ ১/৪৭সংখ্যাঃ — আবদুল মান্নান তালিব
২৩। ইসলামী আইন ও রাষ্ট্র — আবুল কাশেম ছিফাতুল্লাহ
২৪। ইসলামী আইন না মানার বিধানঃ কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর — ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া
২৫। ইসলামী আইন বনাম মানব আইন — আব্দুল কাদের আওদা
২৬। ইসলামী আইনতত্ত্ব — গাজী শামছুর রহমান
২৭। ইসলামী আইনে কার কি লাভ ক্ষতি — খন্দকার আবুল খায়ের
২৮। ইসলামী আইনের উৎস — মুহাম্মদ রুহুল আমিন
২৯। ইসলামী আইনের মূলনীতি — ড. মুহাম্মদ হাশিম কামালী
৩০। ইসলামী ইসতেহার — গবেষণা পত্র
৩১। ইসলামী ঐক্য — ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
৩২। ইসলামী ঐক্যমঞ্চ চাই — অধ্যাপক গোলাম আযম
৩৩। ইসলামী কিন্ডারগার্টেন রূপরেখা ও বাস্তবায়ন — মুহাম্মদ আলমগির
৩৪। ইসলামী ক্ষুদ্রঋণঃ তত্ত্ব ও প্রয়োগ — ড. মাহমুদ আহমদ
৩৫। ইসলামী খিলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন — মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব
৩৬। ইসলামী খিলাফত সরকারের পররাষ্ট্রনীতির মডেল — গবেষণা পত্র
৩৭। ইসলামী খিলাফত সরকারের শিল্পায়নের মডেল — গবেষণা পত্র
৩৮। ইসলামী দণ্ডবিধি — খন্দকার আবুল খায়ের
৩৯। ইসলামী দন্ডবিধি — ড. আব্দুল আযীয আমের
৪০। ইসলামী বিচার ব্যবস্থা — মোঃ আতিকুর রহমান
৪১। ইসলামী রাজনীতি — আনসার আলী
৪২। ইসলামী রাজনীতি ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বিরোধিতা অন্তরালে
৪৩। ইসলামী রাজনীতির ভূমিকা — মুহাম্মদ আবদুর রহীম
৪৪। ইসলামী রাষ্ট্র ও নেতৃত্ব — নূর হোসেন মজিদী
৪৫। ইসলামে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার মূলনীতি — মুহাম্মদ আসাদ
৪৬। ইসলামী রাষ্ট্র ও সংবিধান — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৪৭। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমে সংগ্রামী একজন পীর — কছিমিয়া ট্রাস্ট
৪৮। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য — মুহাম্মদ আবদুর রহীম
৪৯। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব — মুহাম্মদ আবদুর রহীম
৫০। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা — ড. আবদুল করিম জায়দান
৫১। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থাঃ তত্ত্ব ও প্রয়োগ — ইউসুফ আল কারযাভী
৫২। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার পতন ও পুনরুত্থান — নোয়াহ ফেল্ডম্যান
৫৩। ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিম নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা — ড. আহমদ আলি
৫৪। ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিমদের অধিকার — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৫৫। ইসলামী শরিয়া মূলনীতি বিভ্রান্তি ও সঠিক পথ — আবদুস শহীদ নাসিম
৫৬। ইসলামী শরিয়াহঃ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য — ড. ইউসুফ হামিদ আল আলিম
৫৭। ইসলামী শরীয়াতে শাস্তির বিধান — ড. আব্দুল কারীম যাইদান
৫৮। ইসলামী শরীয়াতের উৎস — মুহাম্মদ আবদুর রহীম
৫৯। ইসলামী শরীয়াহর বাস্তবায়ন ও উম্মাহর উপর এর প্রভাব — আব্দুল্লাহ ইবন সউদ আল হুয়াইমিল
৬০। ইসলামী শাসন ব্যবস্থা মৌলিক দর্শন ও শর্তাবলী — জিয়াউল হক
৬১। ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রণয়ন — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৬২। ইসলামে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার মূলনীতি — মুহাম্মদ আসাদ
৬৩। ইসলামে সার্বভৌমত্বের সরূপ — ড. মুহাম্মদ আবদুল কাদের
৬৪। ইসলামের আইন দর্শন — আবদুল আলী
৬৫। ইসলামের আলোকে বাসস্থানের অধিকার ও নিরাপত্তা — ড. আহমদ আলি
৬৬। ইসলামের দন্ডবিধি — ড. আব্দুল হামিদ আহমদ আবু সোলাইমান
৬৭। ইসলামের দৃষ্টিতে অপরাধ — আফীফ আবদুল ফাত্তাহ্ তাববারা
৬৮। ইসলামের দৃষ্টিতে যুদ্ধ ও শান্তি — খলিফা আবদুল হাকিম
৬৯। ইসলামের দৃষ্টিতে রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ — আবদুলহামিদ আহমদ আবুসু
৭০। ইসলামের দৃষ্টিতে শান্তি ও যুদ্ধ — মজিদ কাদদুরী
৭১। ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ — ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
৭২। ইসলামের প্রতিরক্ষা কৌশল — জেনারেল আকবর খান
৭৩। ইসলামের রাজদণ্ড — খন্দকার আবুল খায়ের
৭৪। ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৭৫। ইসলামের রাষ্ট্রব্যবস্থা — মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম
৭৬। ইসলামের শক্তির উৎস — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৭৭। ইসলামের শাস্তি আইন — ড. আহমদ আলি
৭৮। কমিউনিস্ট শাসনামলে ইসলাম — ড. হাসান জামান
৭৯। কুরআনে ঘোষিত মুসলিম শাসকদের ৪ দফা কর্মসূচি — অধ্যাপক গোলাম আযম
৮০। খেলাফত একমাত্র সমাধান — গবেষণাপত্র
৮১। খেলাফত ও রাজতন্ত্র —
৮২। খেলাফত ও রাজতন্ত্র গ্রন্থের ওপর অভিযোগের পর্যালোচনা — মালিক গোলাম আলি
৮৩। খেলাফতে রাশেদা —
৮৪। খোলাফায়ে রাশেদীন —
৮৫। গণতন্ত্র একটি জীবন ব্যাবস্হা — আবু মুহাম্মদ আসীম আল মাকদিসী
৮৬। গণতন্ত্র প্রসঙ্গে আধুনিক চিন্তাবিদদের কিছু মন্তব্য ও তার পর্যালোচনা —
৮৭। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও শুরায়ী নিজাম —
৮৮। জনমত গঠন ও আদর্শবাদী আন্দোলন — নূরুযযামান
৮৯। জাতি গঠনে আদর্শ মা — জাবেদ মুহম্মদ
৯০। জাতির উত্থান পতন — আব্দুল হামিদ আল মাদানী
৯১। জাতিসমূহের আগামী দিনের পথ ইসলামী বিপ্লব — মসিহ মুহাজেরী
৯২। জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের ভিত্তি —
৯৩। জাতীয় জীবনে মূল্যবোধের অবক্ষয় — ড. মুহাম্মদ রেজাউল করীম
৯৪। দুর্নীতি পরিণাম ভয়াবহ — ড. আব্দুল্লাহ আল মারূফ
৯৫। দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার মূলনীতি — দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
৯৬। দুর্নীতি রোধে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও জবাবদিহিতাঃ ইসলামী দৃষ্টিকোণ — ড. মোঃ আকতার হোসেন
৯৭। দেশ গড়ার ডাক — অধ্যাপক গোলাম আযম
৯৮। প্রচলিত রাজনীতি নয় জিহাদই কাম্য —
৯৯। প্রশাসনিক উন্নয়ন ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি — মুহাম্মদ আল-ব্যুরে
১০০। প্রাচ্যের রাজনৈতিক চিন্তা — একেএম শহীদুল্লাহ
১০১। বিচারালয় — ইমাম কুরতুবী
১০২। বিবেক-বুদ্ধি অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত ও কল্যাণকর আইন কোনটি — মোঃ মতিয়ার রহমান
১০৩। বিশ্ব নবী প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র আদর্শ — সিরাজুল ইসলাম আলি আকবর
১০৪। বিশ্ববিজয়ী এক শক্তিধর শাসক যুল কারনাইন — ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
১০৫। ভূমির মালিকানা বিধান —
১০৬। ভোট দেবো কেন ও কাকে — খন্দকার আবুল খায়ের
১০৭। ভোটের ইসলামী শরয়ী বিধান — মুফতী মুহাম্মদ শফী
১০৮। ভোটের ফযিলত — আবদুল গাফফার
১০৯। মরণ ব্যাধি দুর্নীতি — মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম
১১০। মাকতুবাত — ইমাম গাযযালী রহঃ
১১১। মাকাসিদ আশ শরী আহ ও ইসলামের সৌন্দর্য — মুহাম্মাদ হমাতুল্লাহ খন্দকার
১১২। মুরতাদের শাস্তি — সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১১৩। মুসলিম আন্তর্জাতিক আইন — মজীদ খাদ্দুরি
১১৪। মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষা — মুহাম্মদ ইসহাক খান
১১৫। মুসলিম রাষ্ট্র পরিচালন ব্যবস্থা — ডঃ মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ
১১৬। মুসলিমদের ভূমিকে রক্ষা করা — ড. আব্দুল্লাহ আযযাম
১১৭। রাজদরবারে আলিমদের গমন একটি সতর্কতা — জালালুদ্দিন সুয়ূতী
১১৮। রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের সংস্কার — মতিউর রহমান নিজামী
১১৯। রাজনীতি শিক্ষা সংস্কৃতি — বদরুদ্দীন উমর
১২০। রাজনীতির স্বার্থে ধর্ম বনাম ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি — মতিউর রহমান নিজামী
১২১। রাজনৈতিক দলের সংস্কার — অধ্যাপক গোলাম আযম
১২২। রাজনৈতিক সংকট ও জনতার দৃষ্টিপাত — এস এম হাবিবুর রহমান
১২৩। রাষ্ট্রক্ষমতার উত্থান পতনে আল্লাহ তায়ালার ভূমিকা — অধ্যাপক গোলাম আযম
১২৪। রাষ্ট্রনীতি রাজনীতি আইন ও মানবাধিকার — ড. মোঃ মাইমুল আহসান খান
১২৫। রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইসলামী প্রেক্ষিত — আবদুল রশিদ মতিন
১২৬। রাসূল সাঃ এর মন্ত্রীপরিষদ — আব্দুল আজিজ শানাবি
১২৭। রাসূল সাঃ এর সরকার কাঠামো — ড. মুহাম্মদ ইয়াসীন মাজহার সিদ্দিকী
১২৮। রাসূল সাঃ লেনদেন ও বিচার ফায়সালা করতেন যেভাবে — মুহাম্মদ ইবনে ইবরাহীম আত তুআইজিরী
১২৯। রাসূল্লাহর বিচারালয় — ইমাম কুরতুবী রহঃ
১৩০। রাসূলুল্লাহর বিচার ব্যবস্থা — আবদুস শহীদ নাসিম
১৩১। শরীয়ত আগে না হুকুমাত আগে — মোহাম্মদ নাছির হোসাইন
১৩২। শরীয়াতি রাষ্ট্রব্যবস্থা — ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ
১৩৩। শাহ ওয়ালী উল্লাহ ও তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারা — উবায়দুল্লাহ সিন্ধী
১৩৪। শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান — অধ্যাপক গোলাম আযম
১৩৫। সার্বভৌমত্ব ইসলামি দৃষ্টিকোণ — ড. আহমদ আলি
১৩৬। হযরত আলির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক চিঠি — এ.জেড.এম শামসুল আলম