ড. মুহাম্মদ রেজাউল করীম: জীবন, কর্ম ও রাজনৈতিক অবদান
✍️ জামায়াতে ইসলামীর নিবেদিতপ্রাণ নেতা | বক্তা | চিন্তাবিদ | রাজনৈতিক সংগঠক
প্রস্তাবনা
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করীম বাংলাদেশের অন্যতম ইসলামপন্থী রাজনৈতিক নেতা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবন মূলত দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করা, ইসলামী আদর্শ প্রচার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
“নিপীড়নের মাধ্যমে কোনো আদর্শকে দমন করা যায় না; সত্য ও ন্যায় সবসময়ই বিজয়ী হবে।” – ড. রেজাউল করীম
প্রারম্ভিক পরিচিতি ও শিক্ষা
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করীমের শৈশব ও প্রাথমিক জীবনের বিস্তারিত তথ্য সহজলভ্য না হলেও তিনি উচ্চশিক্ষায় বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেন। তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন, যা তার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ বহন করে। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি মূলত ঢাকা কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত হন।
রাজনৈতিক জীবন
ড. করীম দীর্ঘকাল ধরে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। তিনি দলীয় শৃঙ্খলা, সংগঠনী দক্ষতা এবং প্রজ্ঞার মাধ্যমে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বে পরিণত হন।
ঢাকা মহানগরী উত্তর সেক্রেটারি
তিনি জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার সেক্রেটারি হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে থেকে তিনি রাজধানীর উত্তরাঞ্চলে সভা-সমাবেশ, আন্দোলন, কর্মসূচি এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তার নেতৃত্বে এই অঞ্চলে ইসলামী আন্দোলনের ভিত্তি সুদৃঢ় হয়।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মতো সুসংগঠিত দলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য হওয়া একটি বড় দায়িত্ব। ড. করীম এই পদে থেকে দলের নীতি-নির্ধারণ, কৌশল প্রণয়ন ও রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
বক্তা ও চিন্তাবিদ
তিনি কেবল সাংগঠনিক নেতা নন, বরং একজন শক্তিশালী বক্তা। বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক ইস্যুতে তিনি জামায়াতের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন। তার বক্তৃতায় প্রায়ই সরকারের সমালোচনা, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি এবং ইসলামী সমাজব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা উঠে আসে।
চিন্তাধারা ও বক্তব্য
ড. করীম তার বক্তৃতা ও লেখনীতে ইসলামী মূল্যবোধ এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের ওপর জোর দেন।
- সরকার সমালোচনা: তিনি প্রায়শই সরকারের দমননীতি, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের সমালোচনা করেন।
- ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা: শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
- ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা: তার মতে, মহানবী (সা.)-এর প্রতিষ্ঠিত মদিনার রাষ্ট্রই ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ আদর্শ, এবং বাংলাদেশে সেই মডেল অনুসরণ করলে প্রকৃত পরিবর্তন আসবে।
- সংগঠন শক্তিশালীকরণ: তিনি উল্লেখ করেন যে, নিপীড়নের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর শক্তি ভাঙা সম্ভব নয়।
“বাংলাদেশকে দুর্নীতি ও অন্যায় থেকে মুক্ত করতে হলে ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শের ভিত্তিতেই নতুন সমাজ গঠন করতে হবে।” – ড. রেজাউল করীম
রাজনৈতিক প্রভাব
ড. করীমের সক্রিয় রাজনৈতিক ভূমিকা বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীর উপস্থিতি সুদৃঢ় করেছে। বিশেষত ঢাকা মহানগরীতে তিনি আন্দোলন, সভা ও জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার নেতৃত্বে অনেক তরুণ ও সাধারণ মানুষ ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
উপসংহার
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করীম কেবল একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক ও আদর্শিক চিন্তাবিদ। তার অবদান জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে দলের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য ইসলামী আদর্শই একমাত্র কার্যকর পথ।
আরও পড়ুন
👉 বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
👉 ইসলামিক বই সমাহার
📚 মুহাম্মদ রেজাউল করীম এর বইসমূহ
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করীম কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।
১। আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী
২। ওয়ান ইলেভেন সংস্কারের রাজনীতি নয় রাজনীতির সংস্কার
৩। জাতীয় জীবনে মূল্যবোধের অবক্ষয়
৪। দুঃসাহসিক অভিযাত্রা
৫। বাংলাদেশঃ গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব
৬। রাসূলুল্লাহর শিক্ষানীতি