দংশিত বিবেক সম্বিত চেতনা বইয়ের প্রচ্ছদ

🧠 “দংশিত বিবেক সম্বিত চেতনা” গ্রন্থটি আমাদের সময়ের একটি চিন্তাশীল দার্শনিক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণমূলক রচনা।
ড. এ.কিউ.এম. বজলুর রশীদ তাঁর গভীর পর্যবেক্ষণ ও মানবিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে
এই বইয়ে আত্মা, সমাজ, নৈতিকতা এবং বিবেকের পারস্পরিক সম্পর্ককে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করেছেন।
গ্রন্থটি কেবল একটি সাহিত্যকর্ম নয়—এটি যুগচেতনার আহ্বান, বিবেকের পুনর্জাগরণের বার্তা।

বইটির মূল ভাব ও উদ্দেশ্য

এই গ্রন্থে লেখক সমাজের নৈতিক অবক্ষয়, আত্মার দংশন এবং মানবিক বোধের পতনকে
চিন্তার কেন্দ্রে স্থাপন করেছেন। তিনি বিশ্লেষণ করেছেন—কীভাবে মানুষ নিজের বিবেক হারিয়ে
প্রগতি ও প্রযুক্তির মোহে বন্দী হয়ে পড়ছে। তাঁর দৃষ্টিতে ‘দংশিত বিবেক’ মানে সেই আত্মা,
যে সত্য জানে কিন্তু তা প্রকাশে সাহস পায় না। আর ‘সম্বিত চেতনা’ হলো সেই জাগরণ,
যেখানে মানুষ পুনরায় নিজের সত্ত্বাকে খুঁজে পায়।

লেখকের উক্তি: “যে সমাজে সত্যের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, সেখানে বিবেক দংশিত হয় এবং চেতনা নিঃশেষ হয়ে যায়।”

গ্রন্থের গঠন ও বিন্যাস

বইটি দুটি পর্বে বিভক্ত — ‘বিবেকের দংশন’ এবং ‘চেতনার সম্বিত’
প্রথম পর্বে লেখক সমাজের বাস্তবতা, ভণ্ড সভ্যতার ছদ্মাবরণ ও নৈতিক বিভ্রান্তি তুলে ধরেছেন।
দ্বিতীয় পর্বে তিনি আত্মজাগরণের আহ্বান জানান; পাঠককে আত্মার গভীরে প্রবেশ করতে উৎসাহ দেন,
যেখান থেকে প্রকৃত পরিবর্তন শুরু হয়।

  • ১ম অধ্যায়: বিবেকের নীরবতা ও মানবিক ক্ষয়।
  • ২য় অধ্যায়: আধুনিক সভ্যতার সংকট ও নৈতিক বিপর্যয়।
  • ৩য় অধ্যায়: আত্মপরিচয় ও মানবতার অনুসন্ধান।
  • ৪র্থ অধ্যায়: সত্যের পুনর্জন্ম ও চেতনার আলোকবর্তিকা।
  • ৫ম অধ্যায়: সামাজিক ন্যায়বিচার ও জাগ্রত মননের ভূমিকা।

বিবেক ও চেতনার দার্শনিক বিশ্লেষণ

ড. বজলুর রশীদ এই বইয়ে দর্শনের সাথে বাস্তবতার সংযোগ ঘটিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বিবেক নিস্তব্ধ হয়ে গেলে মানুষ অন্যের বেদনা অনুভব করতে পারে না,
সেই সমাজে নৈতিকতা হারিয়ে যায়। তাঁর ব্যাখ্যায়, চেতনা হচ্ছে সেই জ্বালানি
যা মানুষকে নিজের ও সমাজের কল্যাণে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।

উদ্ধৃতি: “চেতনা হলো জীবনের কেন্দ্রবিন্দু; আর বিবেক তার দিকনির্দেশনা।”

লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি ও গবেষণার গভীরতা

ড. এ.কিউ.এম. বজলুর রশীদ সমাজবিজ্ঞান, দর্শন ও মনোবিজ্ঞানের সমন্বয়ে
এক অনন্য বোধের দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। তাঁর ভাষা সাহিত্যনির্ভর,
তবু বোধগম্য ও যুক্তিপূর্ণ। তিনি উদাহরণ টেনেছেন ইতিহাস, ধর্ম, এবং
সমসাময়িক রাজনীতি থেকে। পাঠকের মননে প্রশ্ন জাগানোই তাঁর উদ্দেশ্য—
উত্তর দেওয়া নয়। তাঁর মতে, প্রশ্নই জাগরণ আনে।


কেন পড়বেন “দংশিত বিবেক সম্বিত চেতনা”?

যারা মানবিক চিন্তা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও আত্মউন্নয়ন নিয়ে ভাবেন,
তাদের জন্য এই গ্রন্থ অপরিহার্য। এটি আত্মসমালোচনার এক দর্পণ,
যেখানে পাঠক নিজের অন্তরের মুখোমুখি হন। বইটি পড়ে আপনি ভাবতে বাধ্য হবেন —
আমরা কি সত্যিই স্বাধীন চিন্তার অধিকারী, নাকি আমাদের বিবেক দংশিত?

  • নৈতিক ও সামাজিক পুনর্জাগরণের চিন্তা।
  • মানবিকতা ও আত্মচেতনার দার্শনিক বিশ্লেষণ।
  • চিন্তাশীল পাঠকের জন্য গভীর অনুপ্রেরণার উৎস।
  • সমকালীন সমাজের সমস্যা ও তার সমাধানমূলক দৃষ্টিভঙ্গি।

পাঠকগোষ্ঠী ও উপযোগিতা

এই বইটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রছাত্রী, চিন্তাশীল পাঠক, লেখক, গবেষক ও শিক্ষক —
সবাইয়ের জন্য উপযুক্ত। বিশেষ করে যারা দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, বা ইসলামী চিন্তাধারার
গভীরতা বুঝতে চান, তারা এতে নতুন অন্তর্দৃষ্টি পাবেন।
এটি কেবল একাডেমিক রচনা নয়; এটি আত্মশুদ্ধি ও নৈতিক চেতনার এক বাস্তব দিকনির্দেশনা।

ড. এ.কিউ.এম. বজলুর রশীদ কর্তৃক রচিত “দংশিত বিবেক সম্বিত চেতনা” pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।

সংগ্রহ: বইগুলি আপনার ভালো লাগলে দয়াকরে নিকটবর্তী লাইব্রেরী থেকে ক্রয় করুন।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ 💚