এ কে এম নাজির আহমদ: A K M Najir Ahmod Books

এ কে এম নাজির আহমদ
এ কে এম নাজির আহমদ কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।

১। অপপ্রচারের মুকাবিলায় মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ
২। আখেরাতের সফলতা
৩। আদর্শ কর্মীর পরিচয়
৪। আদর্শ মানব মুহাম্মদ সাঃ
৫। আদর্শ সংগঠকের পরিচয়
৬। আল্লাহর দিকে আহবান
৭। আল্লাহর পরিচয়
৮। আল্লাহ্‌র পরিচয় ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রয়াস
৯। আসহাবে রাসুলের জীবনধারা
১০। ইসলামী জাগরণে তিন পথিকৃৎ
১১। ইসলামের দৃষ্টিতে সাংগঠনিক আচারণ
১২। ইসলামী নেতৃত্ব
১৩। ইসলামী বিপ্লবের স্বাভাবিক পদ্ধতি
১৪। ইসলামী শিক্ষা সংস্কৃতি
১৫। ইসলামী সংগঠন

১৬। ইসলামের সোনালী যুগ
১৭। উপমহাদেশের অতীত রাজনীতির খণ্ড চিত্র
১৮। উসমানী খেলাফতের ইতিকথা
১৯। চিন্তার বিশুদ্ধ সাধন
২০। ছাওম যাকাত ঈদুল আযহা
২১। পর্দার আসল রুপ
২২। পুরুষ ও মহিলাদের স্বাভাবিক কর্মক্ষেত্র
২৩। যুগে যুগে ইসলামি আন্দোলন
২৪। রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী
২৫। সত্যের সেনানী
২৬। সফল জীবনের পরিচয়
২৭। সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী

✍️ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ | ইসলামী আন্দোলনের দিকপাল | সাহিত্যিক | সমাজসেবক

অধ্যাপক এ.কে.এম. নাজির আহমদ (১৮ জানুয়ারি ১৯৩৯ – ৭ জানুয়ারি ২০১৪) ছিলেন বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা, সাহিত্যচর্চা ও সামাজিক সংস্কারের এক উজ্জ্বল প্রজন্ম–নির্মাতা ব্যক্তিত্ব। তিনি একদিকে একজন উচ্চশিক্ষিত শিক্ষক, অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনের নীতিবোধসম্পন্ন নেতৃত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর চিন্তাধারা, দাওয়াহ কার্যক্রম এবং সাহিত্যকর্ম আজও তরুণ সমাজকে আদর্শিক ও নৈতিক দিকনির্দেশনা দেয়। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তিনি নৈতিকতা, আত্মত্যাগ এবং জ্ঞানচর্চাকে সর্বোচ্চ মূল্য দিয়েছেন।

“ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে জ্ঞানের আলো ও কলমের শক্তিকে কাজে লাগানোই আমার জীবনের উদ্দেশ্য।” – অধ্যাপক এ.কে.এম. নাজির আহমদ

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষাজীবন

১৯৩৯ সালের ১৮ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার বোয়ালিয়া গ্রামে এক ধর্মপ্রাণ পরিবারে জন্ম নেন তিনি। শৈশবে গ্রামের বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তী ধাপগুলোতেও ছিলেন সবসময় মেধার শীর্ষে। ১৯৫৭ সালে ম্যাট্রিক, ১৯৫৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বি.এ. (অনার্স) সম্পন্ন করেন। মাত্র এক বছর পর কৃতিত্বের সঙ্গে এম.এ. পাশ করে শিক্ষাজীবনে নতুন অধ্যায় রচনা করেন। পাশাপাশি তিনি আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জনের জন্য ঢাকা সেন্ট্রাল ল’ কলেজে অধ্যয়ন করেন, যা তাঁর পাণ্ডিত্যকে আরও সুসংহত করে।

ছাত্রজীবন ও ইসলামী আন্দোলন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই তিনি মুসলিম ছাত্র মজলিসের সঙ্গে পরিচিত হন এবং ইসলামী ছাত্রসংঘের আদর্শ তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে ছাত্রসমাজকে ইসলামী আদর্শে সংগঠিত করা এবং নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় তিনি অনন্য ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৬ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন এবং কুমিল্লা অঞ্চলে দলের নেতৃত্বে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে একজন আদর্শিক নেতায় পরিণত হন।

কর্মজীবন

স্বাধীনতার পর তিনি পুনরায় শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লা কলেজ এবং আবুজর গিফারী কলেজে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে অধ্যাপনা করেন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর মৃত্যু পর্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও নৈতিক উন্নয়নে তাঁর অবদান দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করেছে।

সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যচর্চায় তিনি ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাধর। ইসলামী আন্দোলন, ইতিহাস, সমাজ সংস্কার, শিক্ষা ও নৈতিকতা নিয়ে তাঁর লেখা প্রায় ৩৬টি গ্রন্থ পাঠকসমাজে বহুল প্রশংসিত। সহজ ভাষায় জটিল বিষয় ব্যাখ্যা করার দক্ষতা তাঁর রচনা পড়তে পাঠকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে— *আল্লাহর দিকে আহবান*, *মহানবীর (সা.) মহান আন্দোলন*, *ইসলামী সংগঠন*, *ইসলামের সোনালী যুগ*, *দ্বীন প্রতিষ্ঠার সঠিক পদ্ধতি* ইত্যাদি।

“তাঁর রচনাবলী পাঠ করলে মনে হয় একজন শিক্ষক আমাদের সামনে বসে শিক্ষা দিচ্ছেন।” – পাঠক মতামত

সমাজসেবা ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণ

তিনি ঢাকা ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটি, বরুড়া আল-ফালাহ সোসাইটি এবং কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া ট্রাস্টের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। শিক্ষা, দাওয়াহ, দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা ছিল অনুকরণীয়। তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ১৪টিরও বেশি ভ্রমণ করেন এবং সেখানে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি পবিত্র হজব্রত পালন করেন যা তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।

ব্যক্তিজীবন ও মৃত্যু

১৯৬৭ সালের ১২ নভেম্বর তিনি মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের সংসারে রয়েছে তিন পুত্র ও দুই কন্যা। ২০১৪ সালের ৭ জানুয়ারি রাত ১১টা ১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন তিনি। তাঁর মৃত্যু জাতি ও মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

আরও পড়ুন

👉 মুযাফফার বিন মুহসিন
👉 ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

সংগ্রহ: বইগুলি আপনার ভালো লাগলে দয়াকরে নিকটবর্তী লাইব্রেরী থেকে ক্রয় করুন।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ 💚

error: Content is protected !!
Scroll to Top