📜 “ইসলামের ইতিহাস” গ্রন্থটি জগদ্বিখ্যাত আকবর শাহ খান নজীবাবাদী রচিত তারীখে ইসলাম গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত এই প্রামাণ্য অনুবাদটি ইসলামের অতীত, সাফল্য ও নৈতিক পাঠকে সহজলভ্য করেছে। গ্রন্থটি ইতিহাসের সংজ্ঞা ও পাঠের প্রয়োজনীয়তা থেকে শুরু করে আরব দেশ, মানুষের জীবনযাত্রা এবং পরবর্তী পর্যায়ে নবী মুহাম্মদ (সা)-এর জীবনী বিশ্লেষণ পর্যন্ত বিস্তৃতভাবে আলোচনা করে। বইটি কুরআনের ঐশী বাণী ও মহাবিশ্বের বিস্ময়কর রহস্যের মধ্যে সম্পর্ক উদঘাটনের এক গভীর প্রচেষ্টা। লেখক দেখিয়েছেন—১৪০০ বছর পূর্বে নাজিল হওয়া কুরআনের বহু আয়াতে এমন বৈজ্ঞানিক সত্য নিহিত রয়েছে, যা আধুনিক বিজ্ঞান সম্প্রতি আবিষ্কার করতে পেরেছে। এটি এক ঐতিহাসিক দলিল যা প্রমাণ করে ইসলামই জ্ঞানের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস।
ইতিহাস ও উদ্দেশ্য: খুলাফায়ে রাশেদীন আমল
আকবর শাহ খান নজীবাবাদী বহু বছর ধরে ইসলাম ও গবেষণার সমন্বয়ে কাজ করছেন। তাঁর অন্যতম লক্ষ্য—মানুষ যেন ইতিহাসের মাধ্যমে অতীতের সাফল্য, ব্যর্থতা ও পাঠ গ্রহণ করে ভবিষ্যৎকে মসৃণভাবে গড়ে তুলতে পারে। প্রাক-ইসলামি যুগে যেখানে জ্ঞানচর্চা সীমিত ছিল, সেখানে কুরআন নাজিলের পর থেকেই জ্ঞানের দুয়ার উন্মোচিত হয়।
“ইসলামের ইতিহাস” গ্রন্থে খুলাফায়ে রাশেদীন আমল থেকে ইসলাম প্রচার, দেশের বিস্তার এবং শাসনব্যবস্থার প্রাথমিক রূপ-রেখা ইত্যাদি নিখুঁতভাবে উপস্থাপিত আছে। পরবর্তীতে বইটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাকেন্দ্রে ইসলাম ও ইতিহাসের আলোচনায় রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে, যা এর গুরুত্বকে আরও বাড়িয়েছে।
উক্তি: “ইতিহাস মানবজাতিকে পূর্বসূরীর অভিজ্ঞতা জানায়; তা না জানলে জাতি একই ভুল বারবার করে। তাই ইতিহাস শিক্ষায় সাবধানতা ও বিচক্ষণতা আসে—যা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আলো দেয়।” — আকবর শাহ খান নজীবাবাদী (ভাবানুবাদ)
গ্রন্থের বিষয়বস্তু ও বিন্যাস
বইটির একাধিক খণ্ড রয়েছে, যেখানে ইতিহাসের সংজ্ঞা, ভৌগোলিক পরিচিতি ও সামাজিক-মানবিক প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে নবী (সা) এবং খুলাফায়ে রাশেদীনের শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে ইসলামের নিদর্শন ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
- ১ম খণ্ড: প্রারম্ভিক আলোচনা — ইতিহাসের সংজ্ঞা, গুরুত্ব ও পাঠের মানসিক প্রস্তুতি। আরবভূমির ভৌগোলিক পরিচিতি ও আবহাওয়া সংক্রান্ত বিশ্লেষণ। প্রাক-ইসলামি আরবের সামাজিক ও মানবিক উপস্থাপনা।
- ২য় খণ্ড: নবী মুহাম্মদ (সা)-এর জীবনী ও ইসলামের বিস্তার। খুলাফায়ে রাশেদীন আমল থেকে ইসলাম প্রচার, দেশের বিস্তার ও শাসনব্যবস্থার প্রাথমিক রূপ-রেখা।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে কুরআনের ব্যাখ্যা
লেখক বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন যে, কুরআনের ভাষা ও এর শব্দাবলী কীভাবে নিখুঁত বৈজ্ঞানিক সত্যের প্রতীক। তিনি কুরআনের আয়াতের মূল আরবি শব্দ বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন—কীভাবে প্রতিটি শব্দই মহাবিশ্বের একেকটি রহস্যের দিকে ইঙ্গিত করে। এই বইটি প্রমাণ করে যে কুরআন শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় নির্দেশিকা নয়, বরং এটি জ্ঞান ও বিজ্ঞানের ভান্ডার।
পরামর্শ: জ্ঞানার্জনে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, আর কুরআন হলো জ্ঞানের প্রধান উৎস।
গ্রন্থটির অনন্য বৈশিষ্ট্য
আকবর শাহ খান নজীবাবাদী তাঁর গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে, এই বইটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
- প্রামাণ্য দলিল, ঐতিহাসিক দলিল ও সাক্ষ্যভিত্তিক লেখা যা পাঠকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেয়।
- কেবল যুদ্ধ-ইতিবৃত্ত নয়; গৃহস্থ, কৃষি, বাণিজ্য ও শহরজীবনের বিবর্তনও চিত্রায়িত হয়েছে।
- সহজবোধ্য ভাষায় জটিল ঐতিহাসিক ও সামাজিক বিষয় ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
- নৈতিক পাঠ ও শিক্ষা: বিজয়-পরাজয়ের গল্প থেকে নৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সহায়ক বিশ্লেষণ।
- ঐতিহাসিক ও সামাজিক উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে পাঠযোগ্য।
কেন পড়বেন এই গ্রন্থটি?
“ইসলামের ইতিহাস” শুধু একটি তত্ত্বীয় আলোচনা নয়, এটি বিশ্বাস ও যুক্তির সমন্বয়ের মাধ্যমে আল্লাহর নিদর্শনের প্রমাণ দেয়।
- ইতিহাস মানবজাতিকে পূর্বসূরীর অভিজ্ঞতা জানায়; তা না জানলে জাতি একই ভুল বারবার করে।
- ইসলাম ও বিজ্ঞান নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো দূর করতে।
- আল্লাহর সৃষ্টির বিশালতা ও নিখুঁত কাঠামো উপলব্ধি করতে।
- ইসলাম ও বিশ্ব সভ্যতার ঐতিহাসিক বিবর্তন বুঝতে।
কুরআনের আয়াত: “তুমি কি দেখ না, আল্লাহ আসমানসমূহ ও পৃথিবীকে সত্যসহ সৃষ্টি করেছেন? নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীলদের জন্য।” — (সূরা আনকাবুত: ৪৪)
পাঠকগোষ্ঠী ও উপযোগিতা
এই বইটি ইসলাম, ইতিহাস ও জ্ঞানের সমন্বয় নিয়ে যারা আগ্রহী, সকল গবেষক, শিক্ষার্থী, বিজ্ঞানী এবং সাধারণ পাঠকের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এটি জ্ঞান অর্জনে উৎসাহ দেয় এবং চিন্তাশীল মনকে আল্লাহর সৃষ্টির দিকে ধাবিত করে। এটি ইসলামি শিক্ষার প্রচার-প্রসারে এক মূল্যবান সম্পদ। এটি পারিবারিক লাইব্রেরির জন্যও এক অপরিহার্য সংযোজন।
আকবর শাহ খান নজীবাবাদী কর্তৃক রচিত “ইসলামের ইতিহাস” pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
