মাসুদা সুলতানা রুমী: Masuda Sultana Rumi Books

মাসুদা সুলতানা রুমী

মাসুদা সুলতানা রুমী: জীবন, কর্ম ও অবদান

✍️ প্রখ্যাত ইসলামি সাহিত্যিক | কবি | প্রবন্ধকার | সমাজসচেতন লেখক

প্রস্তাবনা

মাসুদা সুলতানা রুমী (জন্ম: ৮ এপ্রিল ১৯৬০) বাংলাদেশের ইসলামী সাহিত্য অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তিনি কেবল একজন কবি নন; বরং একজন চিন্তাশীল সাহিত্যিক, যিনি মুসলিম উম্মাহর দুঃখ-দুর্দশা, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যতের স্বপ্নকে কলমে ফুটিয়ে তুলেছেন।
গল্প, কবিতা, শিশু সাহিত্য, প্রবন্ধ—সব ক্ষেত্রেই তাঁর সৃজনশীল পদচারণা তাঁকে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।

“ইসলামী সাহিত্য নারী-পুরুষের জন্য সমানভাবে প্রয়োজনীয়। আমি চাই আমার লেখার মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে ঈমানের আলো জ্বলে উঠুক।” – মাসুদা সুলতানা রুমী

প্রারম্ভিক জীবন

১৯৬০ সালের ৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার নওহাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাসুদা সুলতানা রুমী।
পিতা মো: ফখরুল ইসলাম মোলা ছিলেন নীতিবান ও ধর্মপ্রাণ, আর মাতা বেগম মমতাজ ইসলাম ছিলেন সংসার ও সন্তান গঠনে প্রজ্ঞাবান।
শৈশব থেকেই রুমী ছিলেন কৌতূহলী, মেধাবী এবং সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগী।
গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পারিবারিক শিক্ষা তাঁর সাহিত্যিক জীবনের ভিত্তি গড়ে তোলে।

শিক্ষাজীবন

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি তিনি সাহিত্যচর্চা অব্যাহত রাখেন।
ছাত্রাবস্থাতেই তাঁর মধ্যে ইসলামী চেতনা ও সাহিত্যপ্রেম বিকশিত হয়।

“জ্ঞান অর্জন মানে কেবল চাকরির জন্য প্রস্তুতি নয়; বরং আত্মাকে সমৃদ্ধ করা এবং জাতিকে আলোকিত করা।” – মাসুদা সুলতানা রুমী

কর্মজীবন

সাহিত্যিক জীবন

স্কুলজীবনেই কবিতা লেখা শুরু করেন রুমী।
তাঁর প্রথম কবিতা “উম্মে আয়মান” প্রকাশিত হয় মাসিক সংস্কার পত্রিকায়, যা ছিল তাঁর সাহিত্যজীবনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।
পরে তিনি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।

পারিবারিক প্রেরণা

স্বামী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ সর্বদা তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
পারিবারিক দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি অবিচলভাবে সাহিত্যচর্চা চালিয়ে গেছেন।
শিশু সাহিত্য, প্রবন্ধ, ইসলামি চিন্তাধারা ও সমাজ সংস্কারমূলক লেখাতেও রেখেছেন দারুণ ছাপ।

রচনাবলী

রুমীর সাহিত্যকর্ম বহুমাত্রিক—ইসলামী ইতিহাস, নৈতিক শিক্ষা, মানবিকতা ও আধ্যাত্মিকতার বার্তা তাঁর কলমে সমৃদ্ধভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

প্রসিদ্ধ গ্রন্থাবলি

  • যুগে যুগে দাওয়াতী দ্বীনের কাজে মহিলাদের অবদান – দাওয়াতি কাজে নারীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা
  • মহিমান্বিত তিনটি রাত – শবে বরাত, শবে মিরাজ ও শবে কদরের মাহাত্ম্য
  • কুসংস্কারাচ্ছন্ন ঈমান – ভ্রান্ত বিশ্বাস ভেঙে শুদ্ধ ঈমানের আহ্বান
  • স্মৃতির অ্যালবামে তুলে রাখা কয়েকটি দিন – আত্মজীবনীমূলক রচনা
  • নামাজ বেহেশতের চাবী – নামাজের গুরুত্ব ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য
  • ভালবাসা পেতে হলে – মানবিক সম্পর্ক ও নৈতিকতার শিক্ষা
  • তাকওয়াই হোক মুমিন জীবনের লক্ষ্য – আধ্যাত্মিক জীবন গড়ার দিকনির্দেশনা

“আমার কলমের উদ্দেশ্য কেবল গল্প বলা নয়; বরং সত্য, ন্যায় ও ঈমানের আহ্বান জানানো।” – মাসুদা সুলতানা রুমী

চিন্তাধারা

রুমীর চিন্তার মূল কেন্দ্রে ইসলাম ও সাহিত্য।
তিনি বিশ্বাস করতেন সাহিত্য সমাজ পরিবর্তনের এক শক্তিশালী মাধ্যম।
তাঁর কবিতা ও প্রবন্ধে মুসলিম ইতিহাসের বেদনাদায়ক অধ্যায় যেমন উঠে এসেছে, তেমনি উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি তরুণদের ইসলামের জন্য নিবেদিত হওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।

প্রভাব

মাসুদা সুলতানা রুমীর সাহিত্য নারী-পুরুষ উভয়ের কাছেই প্রভাব বিস্তার করেছে।
বাংলাদেশে ইসলামী সাহিত্য রচনায় নারী লেখকদের মধ্যে তিনি পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন।
তাঁর লেখা পড়ে অসংখ্য তরুণ-তরুণী ইসলামি দাওয়াত ও নৈতিকতায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

“রুমী শুধু সাহিত্যিক নন, তিনি ইসলামী জাগরণের এক নির্ভীক কণ্ঠস্বর।” – সমকালীন সমালোচক

উপসংহার

মাসুদা সুলতানা রুমী ছিলেন ইসলামী সাহিত্য অঙ্গনের সাহসী ও প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর।
তাঁর কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও শিশু সাহিত্য প্রমাণ করেছে সাহিত্য কেবল বিনোদন নয়, বরং নৈতিকতা, ঐতিহ্য ও ঈমানের আলো ছড়ানোর এক শক্তিশালী মাধ্যম।
তিনি প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন একজন কলম সৈনিক হিসেবে, যিনি ইসলামের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে জীবন্ত করে তুলেছেন তাঁর সাহিত্যকর্মে।


📚 মাসুদা সুলতানা রুমী এর বইসমূহ

মাসুদা সুলতানা রুমীর pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।

১। অন্যরকম কষ্ট
২। আমরা কেমন মুসলমান
৩। আমার সিয়াম কবুল হবে কি
৪। আমি বারোমাস তোমায় ভালোবাসি
৫। আল্লাহ তার নুরকে বিকশিত করবেনই
৬। কবে আসবে সেই শুভদিন
৭। কিছু সত্য বাচন
৮। কুসংস্কারাচ্ছন্ন ঈমান ১ম খণ্ড
৯। কুসংস্কারাচ্ছন্ন ঈমান ২য় খণ্ড
১০। চরমনের পীর সাহেব আমাকে জামায়াতে ইসলামিতে নিয়ে এলেন
১১। তাকওয়া অর্জনই হোক মুমিনীনের লক্ষ্য
১২। দাউস কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না
১৩। নামায জান্নাতের চাবি
১৪। নামের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমার পরিচয়
১৫। নারী ও পুরুষ পরস্পরের বন্ধু ও অভিভাবক
১৬। নিশ্চয়ই প্রত্যেক মুশকিলের সাথে আসানীও রয়েছে
১৭। নেক আমল বিধ্বংসী বদ আমল সমূহ
১৮। ভালোবাসা পেতে হলে
১৯। মহিমান্বিত তিনটি রাত
২০। যা পড়ি তা বুঝতে হবে
২১। যুগে যুগে দাওয়াতী দ্বীনের কাজে মহিলাদের অবদান
২২। শাফায়াত মিলবে কি
২৩। শিরকের শিকড় পৌঁছে গেছে বহুদুর
২৪। সংসার সুখে হয় পুরুষের গুণে
২৫। সৌন্দর্যের প্রতীক ইউসুফ আলাইহিসালাম
২৬। স্বস্তির বাতি ঘর
২৭। স্মৃতির এ্যলবামে তুলে রাখা কয়েকটি দিন

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ 💚
error: Content is protected !!
Scroll to Top