যাকাত বা ইসলামী অর্থনীতি বিষয়ক বই: Bengali islamic economics books pdf

যাকাত বা ইসলামী অর্থনীতি বিষয়ক বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। অর্থনীতিতে রাসুল সাঃ এর দশ দফা – শাহ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান
২। অর্থনৈতিক সমস্যার ইসলামী সমাধান – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৩। আল কুরআনে অর্থনীতি ২য় খণ্ড – ইসলামিক ফাউন্ডেশন
৪। ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহ – মতিউর রহমান নিজামী
৫। ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ – ডঃ এম ওমর চাপরা
৬। ইসলাম ও আধুনিক অর্থনীতি ও ব্যবসায়নীতি – মুফতী তাকি উসমানী
৭। ইসলাম ও আধুনিক অর্থনৈতিক মতবাদ – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৮। ইসলাম ও নয়া আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থাঃ সামাজিক প্রেক্ষাপট – এম রুহুল আমিন
৯। ইসলামী অর্থনীতি – শাহ আবদুল হান্নান
১০। ইসলামী অর্থনীতি – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১১। ইসলামী অর্থনীতি দর্শন ও কর্মকৌশল – শাহ আবদুল হান্নান
১২। ইসলামী অর্থনীতি নির্বাচিত প্রবন্ধ – শাহ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান
১৩। ইসলামী অর্থনীতিতে পণ্য বিনিময় ও স্টক এক্সচেঞ্জ – এম আকরাম খান
১৪। ইসলামী অর্থনীতিতে মূদ্রানীতি ও ব্যংকিং ব্যবস্থার রুপরেখা – ড. এম উমর চাপরা
১৫। ইসলামী অর্থনীতির ভূমিকা – খন্দকার আবুল খায়ের
১৬। ইসলামী অর্থব্যবস্থায় যাকাত – জাবেদ মুহাম্মদ
১৭। ইসলামী অর্থব্যবস্থার মূলনীতি – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১৮। ইসলামী জীবনবীমাঃ বর্তমান প্রেক্ষিত – কাজী মোঃ মোরতুজা আলী
১৯। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থশাস্ত্রের ভবিষ্যৎ – ড. এম উমর চাপরা
২০। ইসলামী নীতিমালার আলোকে বরকত অর্জন – সালেহ ইবন আব্দুল আযীয
২১। ইসলামী বীমার মৌলিক ধারনা ও কর্মকৌশল – ড. আই.ই.ম নেছার উদ্দিন
২২। ইসলামী ব্যাংক কি ও কেন – ড. আহমদ আবদুল আজীজ আল নাজ্জার
২৩। ইসলামী বাংকগুলি কি ঘুরিয়ে সুদ খায় – হামিদা মুবাশ্বেরা
২৪। ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থা – মুহাম্মদ আবদুল মান্নান
২৫। ইসলামী ব্যাংকিং – আবদুর রকীব
২৬। ইসলামী ব্যাংকিং একটি উন্নতর ব্যাংক ব্যবস্থা – মোহাম্মদ শরীফ হুসাইন
২৭। ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থায়ন পদ্ধতি সমস্যা ও সমাধান  – মুহম্মদ তাকি উসমানী
২৮। ইসলামী ব্যাংকিং পূর্বশর্ত ইসলামী ব্যক্তিত্ব – কাজী ওমর ফারুক
২৯। ইসলামী ব্যাংকিং বৈশিষ্ট্য ও কর্ম পদ্ধতি – শাহ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান
৩০। ইসলামী সংস্কৃতিতে পণ্য বিনিময় ও স্টক এক্সেঞ্জ – আবদুর রকীব
৩১। ইসলামী সমাজে উশরের গুরুত্ব – মোফাজ্জল হক
৩২। ইসলামে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা – ইউসুফ আল কারযাভী
৩৩। ইসলামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং এর বিধান – মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম
৩৪। ইসলামে সম্পদ অর্জন ব্যয় ও বণ্টন – মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম
৩৫। ইসলামের অর্থনীতি – মুহাম্মদ আবদুর রহীম
৩৬। ইসলামের অর্থনৈতিক বিপ্লব – শাহ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান
৩৭। ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা – আবদুল আলী
৩৮। ইসলামের অর্থনৈতিক মডেল – গবেষণা পত্র
৩৯। ইসলামের ব্যবসা ও বাণিজ্য আইন – প্রকাশনায় বি আই এল আর
৪০। ইসলামের যাকাতের বিধান – ইউসুফ আল কারযাভী
৪১। ঈদুল ফিতর ও যাকাতুল ফিতর এর সংক্ষিপ্ত বিধি বিধান – গবেষণা বিভাগ দুরারুস সানিয়্য ফাউন্ডেশন
৪২। উপার্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ – হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ ইকবাল
৪৩। উশর – অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
৪৪। উশর – সাইয়েদ মুহাম্মদ আলি
৪৫। উশর বা ফসলের যাকাত – ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
৪৬। ওশর একটি ফরজ ইবাদত – মোফাজ্জল হক
৪৭। কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে সদকা-খায়রাত – মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয
৪৮। জাকাত – মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন
৪৯। জাকাতের হকদার – মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন
৫০। দানে বাড়ে সম্পদ বৃদ্ধি পায় মর্যাদা – কামাল উদ্দিন মোল্লা
৫১। দৈনন্দিন জীবনে ইসলামঃ যাকাত অধ্যায় – শরীফুল ইসলাম বিন যয়নুল আবেদীন
৫২। পুজিবাদ ও ইসলাম – আধুনিক প্রকাশনী
৫৩। পূর্ণাঙ্গ নামায ও যাকাতের বিধান – আমিনুল ইসলাম
৫৪। প্রশ্নোত্তরে যাকাতুল ফিতর ও উশর – মুহাম্মদ নোমান আলি
৫৫। বাংকের সুদ কি হালাল – মুশতাক আহমাদ কারীমি
৫৬। বিশ্বপরিস্থিতি অর্থনীতি ও ইসলাম বিষয়ক বিশ্লেষণ – শাহ আবদুল হান্নান
৫৭। বিশ্ববাজার ধসের মূল কারণ সুদ – মুহম্মদ শফী উসমানী
৫৮। ব্যবসায়িক পণ্যের যাকাত – আব্দুল্লাহ আল-মামুন
৫৯। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শরীআহ বোর্ড – মোঃ মুখলেছুর রহমান
৬০। ব্যাংকের সুদ কি হালাল – মুশতাক আহমদ কারিমী
৬১। ব্যবসা বাণিজ্যঃ করণীয় ও বর্জনীয় – জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
৬২। ব্যবসায় ইসলামি নৈতিকতা – রফিক ইসা বীকুন
৬৩। মহানবীর সাঃ অর্থনৈতিক শিক্ষা – অধ্যাপক মুহাম্মদ আকরাম খান
৬৪। মাল্টি লেবেল মার্কেটিং এর বিধান – মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
৬৫। মাল্টি লেবেল মার্কেটিং এর রূপরেখা – মুবাসসির মারজান
৬৬। মাল্টি লেবেল মার্কেটিং প্রসঙ্গ – শাহ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান
৬৭। যাকাত – মুহাম্মদ আব্দুর রহীম
৬৮। যাকাত ও খয়রাত – আবু সালমান আব্দুল হামীদ আল মাদানী
৬৯। যাকাত ও সাওম বিষয়ক দুটি পুস্তিকা – আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
৭০। যাকাত ও সাদকা – আত-তাহরীক ডেস্ক
৭১। যাকাত ওশর ও দানের গুরুত্ব ও বিধি বিধান – হাফিয মুহাম্মদ আইয়ুব
৭২। যাকাত কেন ও কিভাবে দেবেন – আবুল কালাম আযাদ
৭৩। যাকাত দারিদ্র বিমোচনই নয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি – মুহাম্মদ হেদায়েত
৭৪। যাকাত বিধানের সারসংক্ষেপ – রামি হানাফী মাহমুদ
৭৫। যাকাতঃ সংক্ষিপ্ত আহকাম – সাইফুদ্দীন বিলাল মাদানী
৭৬। যাকাত সম্পর্কিত ফাতওয়া – মুহাম্মাদ বিন সালিহ উসাইমীন
৭৭। যাকাত সাওম ইতেকাফ – আবদুস শহীদ নাসিম
৭৮। যাকাতুল ফিতর – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
৭৯। যাকাতের আইন ও দর্শন – ফারিশতা জ দ যায়াস
৮০। যাকাতের আধুনিক মাসায়েল – আবুল হাসান মোঃ আবদুল্লাহ
৮১। যাকাতের ব্যবহারিক বিধান – এ.জি.এম বদরুদ্দুজা
৮২। যাকাতের মাসায়েল – মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
৮৩। যাকাতের হাকীকত – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৮৪। সদকা ও খয়রাত – মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয
৮৫। সুদ – শাহ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান
৮৬। সুদঃ এক ভয়াবহ অভিশাপ পরিত্রাণের উপায় – শাহ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান
৮৭। সুদ ও আধুনিক ব্যাংকিং – সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী
৮৮। সুদ ও ইসলামি ব্যাংকিং কি কেন কিভাবে – মুহাম্মদ ফযলুর রহমান আশরাফী
৮৯। সুদ ও এর কুফল – ইমাম আয যাহাবী রহঃ
৯০। সুদ নিষিদ্ধ পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় – মুফতী তাকি উসমানী
৯১। সুদ সমাজ অর্থনীতি – মুহাম্মদ শরীফ হোসেন
৯২। সুদবিহীন ব্যাংকিং – মুহাম্মাদ তাকি উসমানী
৯৩। সুদমুক্ত অর্থনীতি – ডাঃ জাকির নায়েক
৯৪। সুদের ক্ষতি অপকার কুপ্রভাব – সায়ীদ বিন আলি বিন ওয়াহাফ আল কাহতানী
৯৫। স্বর্ণ ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্নোত্তর – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন

ইসলামী অর্থনীতি পরিচিতঃ ইসলামী অর্থনীতি বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় অর্থব্যবস্থা। মুসলিম দেশ ছাড়াও বহু অমুসলিম দেশ এই ব্যবস্থাকে গ্রহণ করেছে। মুসলিম দেশের পাশাপাশি পৃথিবীর অনেক অমুসলিম দেশেও ইসলামী ব্যাংকিং চালু আছে। এ অর্থনীতি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তায় ভরা।

ইসলামী অর্থনীতি কোরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসা হালাল করেছেন ও সুদকে হারাম করেছেন।’ বাকারা: ২৭৫
ইসলামী অর্থনীতিতে আসমান ও জমিনের সব সম্পদে সবার সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব সৃষ্টি করেছেন।

অতঃপর তিনি আকাশের প্রতি মনঃসংযোগ করেন। অতঃপর সপ্ত আকাশ সুবিন্যস্ত করেন এবং তিনি সর্ব বিষয়ে মহাজ্ঞানী।’ বাকারা: ২৯
ইসলামী অর্থনীতিতে বৈধ লেনদেন ও ইজারা ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জন ও রিজিক তালাশের স্বাধীনতা আছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদের যা উপজীবিকা স্বরূপ দান করেছি সেই পবিত্র বস্তু ভক্ষণ করো এবং আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, যদি তোমরা তাঁরই উপাসনা করে থাকো।’ বাকারা: ১৭২
ইসলামী অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত কল্যাণের যত্ন করা হয়। তাই প্রতিবেশীকে শুফার অধিকারসহ বিভিন্ন হক প্রদান করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আত্মীয়-স্বজনকে তার প্রাপ্য দেবে এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ ইসরা: ২৬

ইসলামী অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত কল্যাণের ওপর সামাজিক কল্যাণ প্রাধান্য দেওয়া। ইসলামী অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত কল্যাণের ওপর দলের ও সমাজের কল্যাণ প্রাধান্য আছে। তবে তা হতে হবে ন্যায় ও নীতির ভিত্তিতে। তাই জনসাধারণ চলাচলের জন্য রাস্তার জমিও ছাড় দিতে হয় এবং মানুষের চাহিদা মেটানোর প্রয়োজনে গুদামজাতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন, ‘ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ৪০ দিন যাবৎ খাবার গুদামজাত করবে সে আল্লাহর জিম্মা থেকে পবিত্র। আল্লাহও তার জিম্মাদারি থেকে মুক্ত।’ তেমনি যে মহল্লাবাসীর মধ্যে ক্ষুধার্ত ব্যক্তি থাকবে তারা আল্লাহর জিম্মা থেকে মুক্ত।’ মুসনাদ আহমদ: ৪৮৮০

ইসলামী অর্থনীতিতে সব ক্ষেত্রে সুদ হারাম করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের বকেয়া যা আছে তা ছেড়ে দাও—যদি তোমরা মুমিন হও।’ বাকারা: ২৭৯

ইসলামী অর্থনীতিতে সর্বনিম্ন জীবিকার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। ইসলামে প্রত্যেকের সর্বনিম্ন জীবিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই কেউ অক্ষম হলে তার দায়িত্ব ছেলে বা মা-বাবা বা স্বামী বা আত্মীয়-স্বজনকে গ্রহণ করতে হয়। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘ধনীদের ধন-সম্পদে আছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের হক।’ জারিয়াত: ১৯

ইসলামী অর্থনীতি সৎ চরিত্র দ্বারা বেষ্টিত। তাই একে অন্যকে ধোঁকা, প্রতারণা ও ক্ষতিসাধনের অনুমতি নেই। ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেন, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ওপর হাতিয়ার উঠাবে সে আমার দলের নয়। আর যে প্রতারণা করবে সে আমার দলের নয়।’ মুসলিম: ১০১

ইসলামী অর্থনীতিতে অপব্যয় বৈধ নয়। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘…অপব্যয় ও অমিতচার করবে না। কেননা আল্লাহ অপব্যয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ আরাফ: ৩১

করজে হাসানা ইসলামে স্বীকৃত বিষয়। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘কে আছ যে আল্লাহকে উত্তমভাবে ঋণদান করবে? অনন্তর তিনি তাকে দ্বিগুণ বহুগুণ বর্ধিত করেন এবং আল্লাহ সংকুুচিত বা সচ্ছল করে থাকেন এবং তাঁর দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।’ বাকারা: ২৪৫

ইসলামী অর্থনীতির উৎস হলো কোরআন, সুন্নাহ, আহকামে ফিকহিয়্যা ও শরয়ি মূলনীতি। (আল ইকতিসাদুল ইসলামী, ওজারাতুল আওকাফ আস সাউদিয়্যা, পৃষ্ঠা ৪)

ইসলামী অর্থনীতির স্তম্ভ তিনটি। এক. ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত মালিকানার স্বীকৃতি। দুই. ইসলামী শরিয়াহর আলোকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। তিন. ভারসাম্যতার মাধ্যমে সামাজিক ইনসাফ। (দারুল ইফতা মিসরিয়্যা, ফতাওয়া দারিল ইফতা মিসরিয়্যা, খণ্ড ১০, পৃষ্ঠা ৩০৮)

ইসলামী অর্থনীতিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানা স্বীকৃত। যেমন—মালে গনিমত, খুমুস, ফাই ইত্যাদি।

ইসলামী অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতামূলক স্বাধীনতা আছে। ফলে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণ সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। (মুনাজ্জামাতুল মুতামারুল ইসলামী, মাজাল্লাতুল ফিকহিল ইসলামী, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা ৮২০)

সারকথা হলো, ইসলামী অর্থনীতির সঙ্গে বিশ্বাস ও শরিয়তের বিধানের সম্পর্ক আছে। তবে ইসলামে ব্যক্তিমালিকানা স্বীকৃত এবং নির্দিষ্ট সীমারেখায় স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। ফলে ইসলামী অর্থনীতিতে কিছু মূলনীতি খেয়াল করতে হয়।

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ

error: Content is protected !!
Scroll to Top