বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

অধ্যাপক গোলাম আযম: Prof. Ghulam Azam Books

Prof. Ghulam Azam Books
  অধ্যাপক গোলাম আযম কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। অমুসলিম নাগরিক ও জামায়াতে ইসলামী      
৪২। নাফস রূহ কালব অথবা এটি      

লেখক পরিচিতি
প্রাথমিক জীবনঃ
গোলাম আযম ৭ নভেম্বর, ১৯২২ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম গোলাম কবির ও মায়ের নাম সৈয়দা আশরাফুন্নিসা। তিনি তার গ্রাম বিরগাও-এর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া ) একটি মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা ও ঢাকা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(ডাকসু) এর জিএস পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে তৎকালীন সময়ে সংঘটিত হওয়া বাংলা ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৪৭ সালে ডাকসু'র জিএস পদে থাকাকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কাছে ডাকসু'র পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন, যাতে উর্দুর পাশাপাশি বাঙলাকেও রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করা হয়। বাংলাভাষা আন্দোলনে শরীক হওয়ার কারণে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের হাতে তিনবার গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের উপর বিএ ও ১৯৫০ সালে এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন। অধ্যাপক গোলাম আযম: Prof. Ghulam Azam Books

কর্মজীবনঃ
ছাত্রজীবন শেষে গোলাম আযম ১৯৫০ সালেই তাবলীগ জামায়াতের তৎপরতার সাথে জড়িত হন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি তাবলীগ জামায়াতের রংপুরের আমীর ছিলেন। ১৯৫০ সালের ৩রা ডিসেম্বর তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। গোলাম আযম তমদ্দুন মজলিসের কাজেও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হয়ে পড়েন ১৯৫২ সালেই। ১৯৫৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি তমদ্দুন মজলিসের রংপুর জেলার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৪ সালেই গোলাম আযম সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদীর ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হন। ১৯৫৪ সালের ২২ এপ্রিল তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালের এপ্রিলে জামায়াতে ইসলামীতে সহযোগী (মুত্তাফিক) হিসেবে যোগদান করার পর ১৯৫৫ সালে গ্রেফতার হয়ে রংপুর কারাগারে অবস্থানকালেই জামায়াতের রুকন হন। ১৯৫৫ সালের জুন মাসে তিনি রাজশাহী বিভাগীয় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। এর এক বছর পর তিনি পূর্ব পাকিস্তান  জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এবং রাজশাহী বিভাগীয় আমীরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্রমেই দলে তার পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেতে থাকে ও ১৯৫৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদাক পদ গ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে আইয়ুব খান সরকারবিরোধীতার জন্য মৌলবাদী ধর্মীয় কাজকর্মের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ও আযম গ্রেফতার হন। তাকে আট মাস আটক করে রাখা হয়। ১৯৬৯ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর (সভাপতি) পদে অধিষ্ঠিত হন এবং এই পদটি তাকে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে হয়েছিল। তিনি ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান গণতান্ত্রিক জোট গঠনের অন্যতম অংশগ্রহণকারী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। গোলাম আযম জামায়াতে ইসলামীর তাত্ত্বিক নেতা বা গুরু হিসেবেও পরিচিত।
গোলাম আযম ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যবরণ করেন।
অধ্যাপক গোলাম আযম: Prof. Ghulam Azam Books

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ
  1. সার্বিক কল্যাণ কামনা করি। ধন্যবাদের ভাষা নেই। খুবই সুন্দর সংগ্রহ। অত‍্যন্ত উপকৃত হলাম। শুকরিয়া।

    উত্তরমুছুন

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Whatsapp Button works on Mobile Device only