জালালুদ্দিন আবদুর রহমান সুয়ূতি কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।
৩। খাসায়েসুল কুবরা ২য় খণ্ড
৪। জাগ্রত অবস্থায় জিয়ারতে মোস্তফা (সাঃ)
৮। দোযখের আযাব ও বেহেশতের সুখ শান্তি
৯। দোয়া কিভাবে কবুল হয়
১০। নবী করিম (ﷺ) এর ওসীয়ত
১১। নবী বংশের মর্যাদা সম্পর্কিত ৬০ হাদিস
১২। নবীগণ (আঃ) স্বশরীরে জীবিত
৪। জাগ্রত অবস্থায় জিয়ারতে মোস্তফা (সাঃ)
৮। দোযখের আযাব ও বেহেশতের সুখ শান্তি
৯। দোয়া কিভাবে কবুল হয়
১০। নবী করিম (ﷺ) এর ওসীয়ত
১১। নবী বংশের মর্যাদা সম্পর্কিত ৬০ হাদিস
১২। নবীগণ (আঃ) স্বশরীরে জীবিত
১৫। বিশ্বনবী সাঃ এর এলমে গায়েব
১৬। মুমিনের কবর জীবন
১৭। হযরত আয়েশা রাঃ
১৮। হাদিসের আলোকে রুজী বৃদ্ধির আমল
১৯। হায়াতুল আম্বিয়া (আঃ)
২০। হুসনুল মাকসিদ ফি আমালিল মাওলিদ
১৬। মুমিনের কবর জীবন
১৭। হযরত আয়েশা রাঃ
১৮। হাদিসের আলোকে রুজী বৃদ্ধির আমল
১৯। হায়াতুল আম্বিয়া (আঃ)
২০। হুসনুল মাকসিদ ফি আমালিল মাওলিদ
লেখক পরিচিতিঃ
জালালুদ্দিন সয়ুতী নামে পরিচিত আর প্রখ্যাত তাফসীর গ্রন্থের লেখক প্রখ্যাত এই ব্যাক্তির আসল নাম হল আব্দুর রহমান। জালালূদ্দিন হল ইনার উপাধি। উপনাম আবুল ফজল। পিতার নাম আবু বকর
মুহাম্মদ কামালুদ্দিন সুয়ূতি। সুয়ূতি হল একটি শহরের নাম । যেটা মিশরের নীল নদের পূর্ব দিকে
অবস্থিত। এখানে ৮৪৯ হিজরীতে ১লা রজব তিনি জন্মগ্রহন করেন।
৮৫৫ হিজরীতে মাত্র ৫ বছর বয়সে ইনার পিতা মারা যান । পিতার ইন্তেকালের পর উনার বাবার সাথীগণ উনার পড়ালেখার দায়িত্বভার গ্রহন করেন । বিশেষভাবে শায়খ কামালূদ্দিন ইবনুল হুমাম হানাফী তাকে বিশেষভাবে দেখাশুনা করেন । আট বছর বয়সে পবিত্র কোরআন হিফজ শেষ করেন । তার বালাগাত, ফিকাহ, ফারায়েজ, হাদীস, তাফসীর, তাসাউফ, আকাঈদ, চিকিৎসাশাস্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান নেন । তিনি বলেন “আমি হজের সময় এ নিয়তে জমজম কূপর পানি পান করেছি যে, ফিকাহ শাস্ত্রে শায়খ সিরাজউদ্দিন বালকীনী আর হাদিস শাস্ত্রে হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানীর পর্যায়ে পৌছাতে পারি । তিনি আরো বলেন আল্লাহ তায়ালা আমাকে সাতটি শাস্ত্রে তথা হাদিস, তাফসীর, ফিকাহ, নাহু, মা’আনী, বয়ান, এবং শাস্ত্রে বুৎপত্তি দান করেছেন ।
তিনি এত প্রখর মেধাশক্তির অধিকারী ছিলেন যে ইলমে হাদিসের জগতে উনার সমকক্ষ তখনকার জমানায় কেউ ছিল না । তিনি নিজেই বলেন আমার ২লাখ হাদীস মুখস্থ আছে, যদি এর চেয়েও বেশী হাদীছ আমি পেতাম তবে তাও মুখস্থ করতাম । সম্ভবত তখন এর চেয়ে হাদীস ছিল না ।
ইলম শেখার জন্য তিনি বহু দেশ সফর করেছেন । বহু উস্তাদ এর সংস্পর্শ পেয়েছেন । জানা যায় তিনি প্রায় ৫০০ উস্তাদ ও শায়খের কাছ থেকে জ্ঞান নিয়েছেন ।
আল্লামা সূয়ূতি রহ. ছাত্রজীবন শেষ করার পর হিজরী ৮৭০ সনে ফতওয়া দেয়ার কাজ শুরু করেন । ৮৭২ সনে ফতওয়া লেখার কাজ শুরু করেন । তিনি প্রয় ৫০০শথ গ্রন্থ রচনা করেছেন । ৪০ বছর বয়সে তিনি বিচার কাজ ও ফতওয়ার কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়ে নির্জনতা অবলম্বন গ্রহন করেন । রিয়াজত, মুজাহাদা, ইবাদত, ও হেদায়াতের কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন । পরহেগারিতার ব্যাপারে তিনি এমন পথ অবলম্বন করেন যে, বিভিন্ন সময় আমীর এবং ধনাঢ্য ব্যাক্তির কাছ থেকে কোন হাদিয়া বা উপঢৌকোন আসলে তিনি তা নিতেন না । একবার সুলতান ঘোরী উনার জন্য উপঢৌকন হিসেবে একহাজার স্বর্ণমুদ্রা ও একজন গোলাম পাঠালে তিনি গোলামকে আযাদ করে রাসূলে করিম ( দরূদ ) এর হূজরা মোবারকের খাদিম হিসেবে পাঠিয়ে দেন আর স্বর্ণমুদ্রা ফেরত পাঠান ।
তিনি একজন বড় মাপের কবিও ছিলেন । অসংখ্য কবিতা লিখেছেন । বড়মাপের ওলিও ছিলেন । এ ব্যাপারে তার একটা কারামত প্রসিদ্ধ যে, তার বিশেষ খাদেম মুহাম্মদ ইবনে আলী হাব্বাক বর্ণনা করেন যে, একদিন দুপুরে খাবারের পর তিনি বললেন যে, তুমি যদি আমার মৃত্যু অব্দি এ কথা কাউকে না বলো তবে আমি তোমাকে আজ আসরের নামাজ মক্কা শরীফে পড়ার ব্যবস্থা করে দেব । খাদেম রাজী হলেন । সূয়ূতী রহ. তাকে চোখ বন্ধ করতে বললেন এবং ২৭ কদম যাবার পর চোখ খুলতে বললেন । চোখ খুলে দেখলেন উনারা মক্কায় বাবে মুয়াল্লায় হাজির । অত:পর হেরেম শরীফ পৌছে তাওয়াফ করলাম এবং জমজমের পানি পান করলাম । তারপর তিনি বললেন আমাদের জন্য জমিন সংকোচিত হয়ে গেছে । এতে আশ্চর্যবোধ কর না । হেরেমের আশেপাশে মিশরের আমাদের অনেক পরিচিত লোক আছে তুমি চাইলে তাদের সাথে আসতে পার আর নয়ত আমার সাথে যেতে পার । আমি বললাম আমি আপনার সাথেই যা । তারপর আমি আবার চোখ বন্ধ করলাম এবং ৭ কদম যাবার পর চোখ খুলে দেখলাম আমারা মিশরে পৌছে গেছি ।
৯১১ হিজরীতে হাতের মাঝে ফোড়া হয়ে ১৯শে জুমাদাল উলা বৃহস্পতিবার তিনি ইন্তেকাল করেন ।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷