বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ইউসূফ আল কারযাভী: Yusuf al-Qaradawi Books

 ইউসুফ আল কারযাভী কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।
আমি বললাম

লেখক পরিচিতিঃ
জন্ম, শিক্ষাজীবনঃ
ড. কারযাভীর জন্ম ১৯২৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মিসরের উত্তর নীলনদী তীরবর্তী সাফাত তোরাব গ্রামে। দু’ বছর বয়সে তাঁর বাবা ইন্তিকাল করলে এক চাচা তাঁকে লালন পালন করেছেন। দশবছর বয়সেই তিনি সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেন এবং কুরআন তিলাওয়াতের নীতিমালা, তাজবীদের উপর ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু কায়রো থেকে ৯৪ কিলোমিটার উত্তরে তানতায়। ১৯৫৩ সালে তিনি পৃথিবী খ্যাত মিসরের প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন । ১৯৭৩ সালে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুল আল দ্বীন অনুষদ হতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. কারযাভী আল আযজহার ইন্সটিটিউট মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ার সময়ই তার প্রতিভার স্বাক্ষর হিসেবে শিক্ষকদের কাছ থেকে আল্লামা বা মহান পণ্ডিত খেতাবে ভূষিত হন। ১৯৫৮ সালে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের উপর ডিপ্লোমা করেন। এর আগে তিনি আরবি ভাষা অনুষদ থেকে শিক্ষকতার সনদ পান। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর মুসলিম স্কলারসের চেয়ারম্যান।

কর্মজীবনঃ
ড. কারযাভী মিসর সরকারের আওকাফ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বোর্ড অব রিলিজিয়াস এফেয়ার্স এর একজন সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি আলজেরিয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ইসলামিক সায়েন্টিফিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেদ্দাস্থ ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) ফিকাহ একাডেমী, মক্কাভিত্তিক রাবেতা আল আলম আল ইসলামীর ফিকাহ একাডেমী, রয়াল একাডেমী ফর ইসলামিক কালচার এন্ড রিসার্চ জর্ডান, ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টার অক্সফোর্ড এর সদস্য। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর ফতোয়া এন্ড রিসার্চ এর প্রেসিডেন্ট এবং কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্নাহ ও সিরাত স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক।

প্রফেসর ড. শায়েখ ইউসুফ আল কারযাভী আধুনিক বিশ্বের একজন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ। ইসলামের সঠিক ও স্বচ্ছ জ্ঞান চর্চা এবং এর আলোকে আধুনিক জটিল সমস্যার সমাধানে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। বাল্যকাল থেকেই তিনি ইসলামের একজন সক্রিয় কর্মী। ইসলামী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে তিনি বার বার ইসলাম বিদ্বেষী স্বৈরাচারী শাসকদের রোষানলে পড়েছেন। মিসরের স্বৈরাচারী বর্তমান সেনাশাসক আবদুল ফাত্তাহ আল সিসির ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড, গণতন্ত্র হত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও আলেমদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রতিবাদ করা এবং বিশ্বব্যাপী জনমত গঠনে ভূমিকা পালন করায় সম্প্রতি তিনি আবারও রোষানলে পড়েছেন। গত ২০১৪ সালের ডিসেম্বর সেনাশাসক আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। অবশ্য পরে বিশ্ব জনমতের চাপে মিসর সরকার তা অস্বীকার করেছে। 

ইতঃপূর্বে তাঁকে ১৯৪৯, ১৯৫৪-১৯৫৬ এবং ১৯৬৫ সালে কারাবরণ করতে হয়। আরব ও মুসলিম দেশসমূহের প্রতি পাশ্চাত্য বিশ্বের বিশেষ করে আমেরিকা ও ব্রিটেনের পররাষ্ট্রনীতির জন্য তিনি তাদের একজন কঠোর সমালোচক। একই সাথে ফিলিস্তিন প্রশ্নে ইসরাইলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্ধ, একপেশে ও নিঃশর্ত সমর্থনের তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা করেন। ইরাকে ইঙ্গো-মার্কিন হামলার বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনগণের মতামতকে শাণিত করতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখে। তিনি একজন মানবাধিকারের প্রবক্তা। নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের স্বপক্ষে তিনি সোচ্চার যা তাঁর লেখনিতে প্রতিফলিত হয়েছে। ড. কারযাভী একজন দা’য়ী হিসেবে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য, আরব ও মুসলিম দেশসমূহ ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করেছেন।

রচনাবলীঃ
এ পর্যন্ত তাঁর অর্ধশতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ইংরেজি, তুর্কি, ফার্সী, উর্দু, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অনেক ভাষায় তার বই অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা ভাষাও তাঁর বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো: ‘ইসলামে হালাল-হারামের বিধান’, ‘ইসলামের যাকাত বিধান’, ‘ইসলামী শরিয়তের বাস্তবায়ন’ ‘ইসলামী পুনর্জাগরণঃ সমস্যা ও সম্ভাবনা’ এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অন দ্যা কুরআন এন্ড সুন্নাহ, ‘দারিদ্র বিমোচনে ইসলাম’ প্রকাশ করেছে। তিনি একজন স্বনামধন্য কবি ও ইসলামী গানের গীতিকার। নিজস্ব কাব্য বৈশিষ্ট্যের জন্য তিনি আরব বিশ্বে সুপরিচিত। তিনি আল জাজিরাহ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত একটি সাপ্তাহিক আলোচনা অনুষ্ঠান উপস্থাপক। বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক শ্রোতা এ অনুষ্ঠান উপভোগ করে।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Whatsapp Button works on Mobile Device only