বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মোঃ মতিয়ার রহমান: Dr. Md. Motiar Rahman Books

Dr. Md. Motiar Rahman Books

 প্রফেসর ডঃ মোঃ মতিয়ার রহমান কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচের নামের উপর ক্লিক করুন।
৭। ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থ না বুঝে কুরআন পড়া সওয়াব না গুনাহ
৮। ইবাদাত কবুলের শর্তসমূহ
৯। ইসলামী বক্তব্য লেকচার বা ওয়াজ উপস্থাপনের ফর্মূলা
১০। ইসলামের নির্ভুল জ্ঞান অর্জনের জন্যে কুরআন হাদীস ও বিবেক-বুদ্ধি ব্যবহারের ফর্মুলা
১১। ইসলামের মৌলিক বিষয় এবং গুরুত্বপূর্ণ হাদীস নির্ণয়ের সহজতম উপায়
১২। ঈমান থাকলেই বেহেশত পাওয়া যাবে
১৩। কুরআনের তাফসীর করা বা তাফসীর পড়ে সঠিক জ্ঞানের অর্জনের মূলনীতি
১৪। গুনাহের সংজ্ঞা ও শ্রেণী বিভাগ
১৫। তাকদীর পূর্ব নির্ধারিত তথ্যটির প্রচলিত ও প্রকৃত ব্যাখ্যা
১৬। নবী রাসুল সা. প্ররেণের উদ্দেশ্য এবং তাঁদের সঠিক অনুসরণের মাপকাঠি
১৭। নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে
১৮। বিবেক-বুদ্ধি অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত ও কল্যাণকর আইন কোনটি
১৯। বিবেক-বুদ্ধির গুরত্ব কতটুকু এবং কেন
২০। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য

লেখক পরিচিতিঃ
প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান, ল্যাপারোসকপিক যন্ত্রের দ্বারা পিত্তথলি পাথর অপারেশনের দেশসেরা বিশ্ববিখ্যাত অভিজ্ঞ সার্জন। একাধারে তিনি একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক, সমাজসেবক এবং একজন কোরআন গবেষক। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেরর সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, ইনসাফ বারাকাহ কিডনী এন্ড জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দি বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ডাক্তার হয়েও কেন তিনি কোরআন গবেষণা শুরু করলেন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি নিজেই বলেন, ছাত্র জীবনে আমি অংকে বেশ ভালো ছিলাম। তাই আমার ইচ্ছা ছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বো। এই লক্ষ্যে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম। ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করে ভর্তিও হয়েছিলাম। কিন্তু আমার মা-বাবা ও শিক্ষকরা বললেন, ‘তুমি মেডিকেল সায়েন্স নিয়ে পড়ো।’ তাদের কথা মান্য করতে গিয়েই আমি মেডিকেলে ভর্তি হলাম। মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পরে চিকিৎসাসেবার প্রতি আমার বেশ আগ্রহ জন্মে গেলো। কারণ আমি দেখলাম, চিকিৎসার মাধ্যমে যেভাবে মানুষের সরাসরি কল্যাণ বা সেবা করা সম্ভব হয়, সেটা অন্য কোনো পেশার মাধ্যমে সম্ভব না। আর চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে মানুষের সরাসরি দোয়া পাওয়া যায়। তা ছাড়া এই পেশার মাধ্যমে সৎভাবে ভালো উপার্জনও করা সম্ভব। মানুষের সম্মান পাওয়া যায় এবং সমাজে ভালো একটা অবস্থানও তৈরি হয়ে যায়। সবদিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, চিকিৎসা পেশা অত্যন্ত সুন্দর একটি পেশা। মূলত এই সব কারণ বিবেচনা করেই আমি ডাক্তার হয়েছি।

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি-ডুমুরিয়া গ্রামের এক ধার্মিক পরিবারে মতিয়ার রহমানের জন্ম। নিজ গ্রামের কাওমী মাদরাসায় তার শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়। মাদরাসায় ছয় বছর পড়ার পর ডুমুরিয়া হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন তিনি। ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালে যথাক্রমে ডুমুরিয়া হাই স্কুল ও খুলনাস্থ দৌলতপুর সরকারি বিএম কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। দ্বিতীয় ও ফাইনাল প্রফেশনাল এমবিবিএস পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে ষষ্ঠ ও দশম স্থান অধিকার করেন মতিয়ার রহমান।

প্রশ্ন করা হয়- বাংলাদেশের যেসব প্রতিষ্ঠানে কোরআন পড়ানো হয় বা গবেষণা করা হয়, আপনি কী মনে করেন, কোরআন বোঝার জন্যে মেডিকেল সায়েন্সের কিছু বিষয়ও তাদের সিলেবাসে যুক্ত করা দরকার? প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান বলেন, হ্যাঁ, এটা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। মেডিকেল সায়েন্সের কিছু বিষয় যদি তাদের সিলেবাসে যুক্ত করা হয়, তাহলে তাদের কোরআন বুঝতে সুবিধা হবে। শুধু কোরআন কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানে নয়, আমি মনে করি, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এসএসসি বা ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত আমরা যেমন বাংলা, ইংরেজি, অংক ও সাধারণ বিজ্ঞান সম্পর্কে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করি, তেমনি মেডিকেল সায়েন্স সম্পর্কেও কিছু বেসিক জ্ঞান সবাইকে শিক্ষা দেওয়া দরকার। কারণ অন্যান্য বিষয়ের মতো মেডিকেল সায়েন্সের বিষয়টাও আমাদের জীবনের সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত এবং মেডিকেল সায়েন্স কোরআন বোঝার জন্য বিশেষভাবে সহায়ক।

সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর ১৯৭৯ সালে ইরাক চলে যান তিনি এবং ইরাকের জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চার বছর চাকরি করেন। এরপর তিনি উচ্চশিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান এবং ১৯৮৬ সালে গ্লাসগো রয়েল কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস থেকে সার্জারিতে এফআরসিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। ইংল্যান্ডে রেসিডেন্ট পারমিট থাকলেও তা ত্যাগ করে তিনি ১৯৮৭ সালে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট হিসেবে যোগদান করেন।

অধ্যাপক মতিয়ার রহমান জানান, কোরাআন পড়া শেষ করার পরও তিনি লিখতে আরাম্ভ করনেনি কারণ হাদীস বিষয়ে তার পড়াশোনা ছিলো না। তাই তিনি হাদীস নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং এরপর কলম ধরেন।

কোরআন গবেষণা এবং লেখালেখি করা জনাব মতিয়ার রহমানের একটি বিশেষ গুণ। ইসলামের নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর এখন পর্যন্ত তার লেখা ৩৩টি গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে ‘মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য’, ‘নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে?’, ‘মুমিনের এক নম্বর কাজ এবং শয়তানের এক নম্বর কাজ’, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় সবকিছু হয় কথাটির প্রকৃত ব্যাখ্যা’, ‘তাকদীর (ভাগ্য!) পূর্বনির্ধারিত তথ্যটির প্রচলিত ও প্রকৃত ব্যাখ্যা’, ‘Common sense -এর গুরুত্ব কতটুকু এবং কেন’, ‘অমুসলিম পরিবার ও সমাজে মানুষের অজানা মুমিন ও বেহেশতী ব্যক্তি আছে কি?’ ইত্যাদি সাড়া জাগানো গ্রন্থ।

এছাড়াও ‘আল কোরআন যুগের জ্ঞানের আলোকে অনুবাদ’ গ্রন্থের প্রধান সম্পাদক তিনি। এ ধরনের অনুবাদ পৃথিবীতে প্রথম। পড়াশোনা, চাকরি এবং আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনারে যোগ দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন গুণী এই চিকিৎসক।

আবারর ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Whatsapp Button works on Mobile Device only