বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মোশারাফ হোসেন খান: Mosharrof Hossain Khan Books

Mosharrof Hossain Khan Books
 মোশারাফ হোসেন খান কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।
১। আল কুরআনে নারী ১ম খন্ড
২। আল কুরআনে নারী ২য় খন্ড
৭। মুনশী মোহাম্মদ মেহের উল্লাহ্‌
৮। সংস্কৃতির তিন নকিব
১০। সাহসী মানুষের গল্প ১ম খণ্ড
১১। সাহসী মানুষের গল্প ২য় খণ্ড
১২। সাহসী মানুষের গল্প ৩য় খণ্ড
১৫। সীরাতুন্নবী সাঃ সংখ্যা ২০১২
১৬। সেমিনার স্মারক গ্রন্থ সংকলন ২০০৮
১৭। সেমিনার স্মারক গ্রন্থ সংকলন ২০১০
১৮। হাজী শরীয়তুল্লাহ

লেখক পরিচিতিঃ
কবি মোশাররফ হোসেন খান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ২৪শে আগস্ট একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারে। তাঁর জন্মস্থান-যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার অন্তর্গত কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত বাঁকড়া গ্রামে। পিতা-ডা.এম.এ. ওয়াজেদ খান এবং মাতা-বেগম কুলসুম ওয়াজেদ। 
তিনি ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য পত্রিকা-মাসিক ‘নতুন কলম’ ও মাসিক ‘নতুন কিশোরকণ্ঠের’ সম্পাদক।
কবিতা, গল্প, ছড়া, উপন্যাস, কিশোরতোষ ও সম্পাদনাসহ এ পর্যন্ত তাঁর আশির অধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে মুসলিম অবদান’সহ তিনি সম্পাদনা করেছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ও সংকলন। অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং পাঠকনন্দিত আধুনিক কবি হিসাবে তিনি পরিচিত।
তাঁর বিখ্যাত ও বহুল পঠিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-‘হৃদয় দিয়ে আগুন’, ‘নেচে ওঠা সমুদ্র’, ‘বিরল বাতাসের টানে’, ‘পাথরে পারদ জ্বলে’, ‘সবুজ পৃথিবীর কম্পন’, ‘দাহন বেলায়’, ‘স্বপ্নের সানুদেশ’, ‘পিতার পাঠশালা’, ‘বৃষ্টি ছুঁয়েছে মনের মৃত্তিকা’, ‘ক্রীতদাসের চোখ’, ‘কবিতাসমগ্র’-১ প্রভৃতি। 
কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি এ পর্যন্ত বেশ কিছু পুরস্কার, পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
কালদর্পণ
জীবন অমৃত, নাকি সে কেবল বিষ-হলাহল !
নাকি অবিশ্রান্ত বেদনার দাবদাহ, কোলাহল !
প্রগাঢ় তিমিরে হাঁটে ভয়ানক লোলুপ হায়েনা
প্রমত্ত পদ্মাও কম্পমান ! সেও গন্তব্য জানে না-
শুধু দেখেÑপ্রলয়ের মাঝে এক তটস্থ নাবিক
প্রবল ঘূর্ণিতে তড়পায় দিশাহীন, দিগি¦দিক !
কাল তার রেখে যায় নিয়তির তীব্র পরিহাস,
এভাবেই লেখা হয় জীবনের দীর্ঘ ইতিহাস !
কালপাথর
কালটা যেন পাথর সমান!
কিংবা তার চেয়েও অধিক কিছু।-
ঘামতে ঘামতে এতদূর
এতোটা কাল!
বৃষ্টিহীন জীবন তো খরাদগ্ধ পোড়ামাটি!
অনেক শ্রান্তির পর।-
এখন সকাল, নাকি দ্বিপ্রহর!
এবার ফেরা যাক-
আমি হাঁটতে হাঁটতে
ঘামতে ঘামতে
একশো একাত্তর বাই তিন নম্বর
বাসার চারতলায় উঠে
দরজার কলিংবেলে হাত রেখে ভাবলাম,
বাসাটা আমার তো!
আমি ঘামতে ঘামতে মুহূর্তেই
রেল লাইনমুখী হলাম।
আমার ভূ-স্বর্গ 
সবুজ-শ্যামল দেশ, আমারই ভূমি
এখানে বাতাস বয় অযুত মৌসুমী
এ আমার দেশ; স্বর্ণফলা এই মাটি
নিয়ত নিকোনো আর পূর্ণ পরিপাটি।
পাখির কলগুঞ্জন, ডাহুকের ডাক
বিপুল বৈচিত্র্য আর প্রকৃতি অবাক!
শত ঝঞ্ঝা বুকে নিয়ে আমার এ দেশ
উড়িয়ে দিয়েছে ঊর্ধ্বে বিজয়ের কেশ।
অজস্র তটরেখায় নদী বহমান
যেখানে সাগর স্ফীত সদা চলমান।
পাহাড় পর্বত আর শুভ্র মেঘমালা
শুষে নেয় অবিরত হৃদয়ের জ্বালা।
উপমারহিত দেশ-আমার ভূ-স্বর্গ
কাউকে দেব না ছেড়ে ভূমি এক বর্গ ॥
তরঙ্গে দাও তুমুল নাড়া
এখনো ঘুমিয়ে আছো? জেগে ওঠো সাহসী তরুণ
আঁধার চৌচির করে ছিঁড়ে আনো নবীন অরুণ। 
তোমাদের পদক্ষেপ হোক সুকঠিন দৃঢ় শিলা।
বক্ষ হোক টান টান একেকটি ধনুকের ছিলা।
চেয়ে দেখো কারা যায় স্বপ্নের মিছিল নিয়ে দূরে
আকাশ বাতাস মুখরিত আজ তাদেরই কণ্ঠসুরে।
কেউ বলে লাভাস্তূপ কেউ বলে সাহসের গতি
কেউ বলে ছুটেছে তুরকি ঘোড়া, কেউ বলে জ্যোতি।
সাগর মথিত করে তুমিও তাদের সাথী হও
মুক্তির মিছিলে তুমিও যুবক জাগ্রত সদা রও।
ফুঁসেছে জোয়ার কে রুখবে তার
এবার জাগাও ঘুমের পাড়া,
দরিয়ার বুকে আঘাত হানো বারবার
তরঙ্গে দাও তুমুল নাড়া। 
ছিঁড়ে যাক পাল ভেঙে যাক হাল আসুক তমসা ঘোর
সপ্তসিন্ধু পাড়ি দিয়ে তবু আনতেই হবে নতুন ভোর।

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Whatsapp Button works on Mobile Device only