বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

গোলাম আহমাদ মোর্তজা: Golam Ahmad Mortoja Books

  আল্লামা গোলাম আহমাদ মোর্তজা কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।
১। ইতিহাসের ইতিহাস
৩। এ এক অন্য ইতিহাস ২য় খণ্ড
৫। বর্জকলম
৬। বাজেয়াপ্ত ইতিহাস

লেখক পরিচিতিঃ ইতিহাসবিদ আল্লামা গোলাম আহমদ মোর্তজা ১৯৩৮ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার মেমারিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বক্তা,গবেষক ও লেখক। তিনি দুই বাংলার অর্থাৎ ভারত বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে যেমন পলাশীর যুদ্ধ, অন্ধকূপ হত্যাকান্ড, মহামতি আকবরের কথা এমনি অনেক নতুন তথ্য তিনি প্রমাণসহ পেশ করেন। যা আসলে আমরা যেভাবে জানি সেভাবে বলা হয়নি। তাঁর পুস্তক পাঠে বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে পড়ে যায় পাঠক, কিন্তু গোলাম আহমাদ মোর্তজা এমনভাবে তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তাতে তাকে মেনে নিতে হয়েছে ভারতের বর্তমান ঐতিহাসিকদের। বিখ্যাত ইতিহাসবিদরা তার তথ্য মেনে নিয়েছেন এবং প্রশংসা করেছেন। ইতিহাসের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য দেন যা চাপা পরে ছিলো ইতিহাসের পাতায়। তিনি সেগুলোকে সামনে তুলে আনার চেষ্টা করেন। তাকে নিয়ে এ পর্যন্ত ভারতে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তিনি বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং পশ্চিমবঙ্গে তিনি "বক্তা সম্রাট' নামে পরিচিত। তিনি বিখ্যাত হয়েছেন তাঁর কয়েকটি ইতিহাসের বই ও ইতিহাস ভিত্তিক বিতর্কিত বক্তব্যের মাধ্যমে। ইতিহাসের ইতিহাস, চেপেরাখা ইতিহাস, বাজেয়াপ্ত ইতিহাস, পুস্তক সম্রাটসহ অনন্য ইতিহাসের বইয়ের মাধ্যমে তিনি সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন। ভারতের গতানুগতিক ইতিহাস বিষয়ক পাঠ্যপুস্তকগুলোতে মুসলিমদের নিয়ে লিখিত বিভিন্ন তথ্য তিনি বানোয়াট দাবী করেন। সেই তথ্যগুলোর বিরোধীতা করেন এবং সেগুলো মিথ্যা তথ্য তিনি প্রমাণসহকারে খণ্ডন করার চেষ্টা করেন এই গ্রন্থ গুলোতে। পাশাপাশি বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি, রাজা রামমোহন রায়, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, দেবেন্দ্ররনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে সমালোচনা করেন এবং তাদের চাপা পরা ইতিহাস সামনে তুলে এনে প্রমাণসহকারে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের সরকার ১৯৮১ সালে তাঁর একটি গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করেন। এরপর তিনি একেরপর এক ইতিহাসের বই প্রকাশ করতে থাকেন, যার সিংহভাগ বই'ই সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের সরকার বাতিল করেন। তাঁর উপর সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ আনায় গোলাম আহমাদ মোর্তজা তাঁর "বাজেয়াপ্ত ইতিহাস" গ্রন্থে এর প্রতিবাদ করেন।
 গ্রাম্য, দরিদ্র ও বিশেষত পিছিয়ে পড়া মুসলমান সমাজের দৈন্যদশা তাঁকে পীড়িত করেছিল। তাই, এই সমাজের শিক্ষাবিস্তারের লক্ষে ২০০৬ সালে নিজের জেলা বর্ধমানের মেমারিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করছিলেন “মামূন ন্যাশনাল স্কুল”। পরবর্তীকালে তিনি পানাগড় এবং পাণ্ডুয়াতেও এর শাখা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেগুলোতে সাধারণ, কারিগরি ও বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাদানের সুযোগ করা হয়েছে। অজস্র ছাত্রছাত্রী সেখানে শিক্ষালাভ করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ২০২১ সালে ১৫ এপ্রিল কলকাতার তালতলার জিডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুকালে ছয় পুত্র, এক মেয়সহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে যান তিনি।

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Whatsapp Button works on Mobile Device only